Adsterra

নির্বাচনের বৈধতা থাকবে না যদি বিএনপি ও বিরোধী জোট নির্বাচনে না যায় : মির্জা ফখরুল

Bangla news

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, গভর্নমেন্ট পূর্বের মতো একতরফা নির্বাচন করার জন্য চায়।  এ জন্য তারা সব জাতিসংঘের (নির্বাচনে সহযোগিতার) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। উনি বলেন, বিএনপি ও বিরোধী জোট যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে ইলেকশনের বৈধতা থাকবে না।


 আজ ঠিক শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২–দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের যেই লক্ষ্য, তারা ঠিক আগের কায়দায় নির্বাচন দেখিয়ে আবার ক্ষমতায় ও যাবে, সেভাবে তারা সব কিছু পরিকল্পনা করেছে। সেই জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন যে তাঁরা (সরকার) সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট। সেই কারণে গতকালও (বৃহস্পতিবার) উত্তম নির্বাচন কর্মকর্তার মুখ দিয়ে তো বেরিয়েছে যে যদি সবাই অংশগ্রহণ যদি না করে, তাহলে সেই সব নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।’


 বৈঠকে সরকার এর পদত্যাগসহ আরও ১০ দফা আদায়ে প্রচলিত যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।


১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার সাহেব বলেন, ‘একটা গণ-আন্দোলন সব সময় সমগতিতে চলতে পারে না। তার ওঠানামা, তীব্রতা তার সাথে পশ্চাৎপদতা থাকে। সেই সব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা ঠিক আগুয়ান হচ্ছি। আজকে আমি এ কথাটুকু বলতে চাই, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রয়াস অবশ্যই আমাদের আগামী দিনে জয়যুক্ত করবে, এই সরকারের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী করে তুলবে।’


তারাই এটার সাথে জড়িত

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেন, বঙ্গবাজার এর মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা  তদন্ত হলে ক্ষমতাসীনদের লোকদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসবে।


গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে টিমের সাধারণ এডিটর ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, বঙ্গবাজার ও তার আশপাশের বিপণিবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির ‘হাত’ রয়েছে কি না, তা তাঁরা তদন্তের দরকার অনুভব করছেন।


এ ব্যপারে প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রকৃত অনাসক্ত তদন্ত যদি হয়, তাহলে সম্ভাবনা আছে এটা বেরিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত যে এটি সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। বেশি বছর ধরে আওয়ামী লীগের কয়েকটি শাসকগোষ্ঠীর অতি প্রভাবশালী লোক—তাঁরা সেই বঙ্গবাজারকে আধিপত্য করার ট্রাই করছিলেন, কাজ করছিলেন। আমরা যেটা চেয়েছি, একটা  তদন্ত।’


অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক দিন পর ওই জায়গা বহুতল বিল্ডিংয়ের আলোচনা আরম্ভ হয়ে গেছে, এটাকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সেই একই কথাটাই বলেছি যে প্রকৃত উদাসীন তদন্ত যদি ঠিক হয়, তাহলে বেরিয়ে সব আসবে, যারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী, তারাই এটার সাথে জড়িত।’


এ টাইম টিমের স্থায়ী কমিটির মেম্বার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথনীয় ধরে আপনি (সাংবাদিক) প্রশ্ন করার সময় অন্যরা (সাংবাদিকেরা) যেভাবে তিনি হাসছিলেন, আমার মনে হয় এই রোজার দিনে কষ্টে থাকা মানুষদের হাসানোর জন্য তিনি এই কথনীয় দিয়েছেন।’


লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এইরকম উপস্থিত ছিলেন ১২–দলীয় জোটের নেতা উপকার পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও  বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম সাহেব, জাতীয় টিমের সৈয়দ এহসানুল হুদা ও এনডিপির আবু তাহের ও  ইসলামী ঐক্য জোটের মাওলানা আবদুর রকীব ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম এবং ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম ও জাগপার ইকবাল হোসেন। 


বিএনপির পক্ষে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম ব্যতীতও স্থায়ী কমিটির মেম্বার নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

No comments

Powered by Blogger.