১৫ মিনিটের শহর ।। 15 minutes city
এমন এক শহর যেখানে সব নাগরিক সুবিধা একদম হাতের নাগালে। ১৫ মিনিটের মধ্যে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে যাওয়া যাবে অফিস, আদালতে। বাজার-সদাই থেকে শুরু করে বিনোদনের আয়োজন, যে কোনো গন্তব্যে যেতে ১৫ মিনিটই যথেষ্ট। রূপকথা নয় নগরবাসীদের স্বস্তি দিতে দেশে দেশে শহরের ভিতরেই তৈরি হচ্ছে ১৫ মিনিটের নতুন শহর। এই ১৫ মিনিটের শহর আসলে কেমন?
১৫ মিনিটের শহর
নগর ব্যবস্থাপনার নতুন এক ধারণা। যে এলাকাতেই বসবাস হোক, ১৫ মিনিটের দুরত্বের
মধ্যেই মিলবে দরকারি সব নাগরিক সুবিধা। কেমন হতে পারে এ শহর, তা বোঝার জন্য আপাতত ঢাকা শহরকে বেছে নেয়ে যাক।
গ্রামে পাওয়ার
কথা এমন তাজা ফলমূল সবজি, মাছ, আপনি পেয়ে যাবেন রাস্তার মোড়ে। গরমে তৃষ্ণা
মেটাতে বহুতল অফিস ভবণের পাশে দেখা মিলবে ডাব বিক্রেতা। সন্তানের স্কুল কলেজ ও
হাঁটা দুরত্বে।
কোভিট-১৯
মহামারির সময় গোটা দেশ যখন গৃহবন্দী তখন এলাকা ভিত্তিক সমাধানের উপায় হিসেবে সেই
সময়ু আসে ১৫ মিনিটের ধারণা। তখনকার বিশেষ পরিস্থিতি উপর নির্ভর করে তৈরি এই ধারণা
বা প্রস্তাবনা ঘিংজি শহরের জন্য চমৎকার সমাধান হতে পারে। নতুন শহরের পরিকল্পনা
কিংবা পুরোনো শহরকে নতুন করে গোছাতে চাইলে ১৫ মিনিট শহরের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার
কথা বলছে নগর পরিকল্পনাবিদ গণ ।
১৫ মিনিটের শহরের যে কল্পনা যেখানে ৬টি চাহিদা মৌলিক ভাবে গুরুত্ব পাবে। বাসস্থান, কাজের জায়গা, কেনাকাটা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও বিনোদন। যানবাহন নির্ভরতার বদলে এ শহরে শুধু হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে। স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনার দিক থেকে যৌক্তিক হলেও ব্যবহারকারীদের মানসিকতা, সামাজিক কাঠামো ও অবস্থান ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল এই শহরের সাফল্য।
এটি নিয়ে চলছে
আলোচনা, সমালোচনা। ধারণাটিকে অনেকেই পরিকল্পিত লকডাউন বা ১৫ মিনিটের জেলখানা আখ্যা
দিয়েছেন। তারা বলছেন, স্বাধীন জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রণ করাই এই
ধারণার মূল উদ্দেশ্য।
নগরবীদদের অনেকে
১ ধাপ এগিয়ে গেছেন।তারা বলছেন "ফাইভ মিনিট" ধারণা নিয়ে। ১৫ মিনিট বা ৫
মিনিটের শহর নতুন করে উঠে আসা ক্ষুদ্র নাগরিকতার এসব ধারণা ভবিষ্যতের প্রয়োজনে
সামনে এসেছে। ঢাকার মত বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া অপরিকল্পিত নগরে এ ধারণা
বাস্তবায়ন করতে পারলে, সেটি হবে অসংখ্য নগর সমস্যার যাদুকরী সমাধান।
No comments