Adsterra

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অভিযাত্রী হিসেবে পায়ে হেঁটে দুর্গম "গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল" পাড়ি দেয়ায় গৌরব অর্জন করলেন ইকরামুল হাসান শাকিল



বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অভিযাত্রী হিসেবে পায়ে হেঁটে দুর্গম "গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল" পাড়ি দেয়ায় গৌরব অর্জন করলেন ইকরামুল হাসান শাকিল

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অভিযাত্রী হিসেবে পায়ে হেঁটে দুর্গম "গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল" পাড়ি দেয়ায় গৌরব অর্জন করলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের ৩৩ তম এবং সর্বকনিষ্ঠ অভিযাত্রী হিসেবে পায়ে হেঁটে দুর্গম "গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল" জয় করলেন তিনি।

পদে পদে ছিল বিপদের শঙ্কা। ছিল মৃত্যু ঝুঁকিও। তবুও অদম্য শাকিল এর কাছে সেসব ঝুঁকি যেন পাত্তাই পেলো না। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অভিযাত্রী হিসেবে এ দুর্গম পথ জয় করলেন শাকিল।
হিমালয়ের পর্বতমালার মধ্য দিয়ে নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যাওয়া পথটি গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল। এই অভিযানে ৫৭৫৫ মিটার উঁচু পর্বতের চূড়ায় তিনি উড়িয়েছেন লাল সবুজের পতাকা। ঝুঁকিপূর্ণ এই পথটি এতটাই বিপদজনক যে সারা বিশ্বের মাত্র ৩৩ জন এই কাজে সফলতা পেয়েছেন।
ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়াশোনা করা গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া গ্রামের ২৯ বছরের ইকরামুল হক শাকিল নেপালের পশ্চিম প্রান্তে হিলশা সীমান্ত থেকে শুরু করে, পূর্বাঞ্চলীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্প পর্যন্ত অভিযানে তিনি ২৯টি দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করেছেন। যার মধ্যে ১৪টি হলো ৫ হাজার মিটারের অধিক উচ্চতার দুর্গম ও বিপদজনক কঠিন পাস।
ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন- “ আমি ২০১৩ সালে কলকাতা থেকে ঢাকা পায়ে হেঁটে এসেছিলাম। এটা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তখন এমন বড় ধরণের ট্রেকিং কেউ করে নাই। আমি যেহেতু প্রথম এইটা করেছিলাম তখনও ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তারপর থেকে অ্যাডভেঞ্চার করার জন্য পর্বতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে।”
পাহাড়-পর্বত জয়ের স্বপ্ন বা নেশা তার ছোট বেলা থেকেই। নানা চেষ্টার পাশাপাশি ভারতের সেনাবাহিনীর কাছেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
শাকিল জানান, “অ্যাডভেঞ্চারের যতগুলো শাখা রয়েছে সবগুলো এই একটির মধ্যে আমি সব পাচ্ছি। যেহেতু এটার নির্দিষ্ট কোনো পথ নেই, নির্দিষ্ট রাস্তা নেই, আমাকেই তৈরি করতে হবে; প্রতিটি মূহুর্তই চ্যালেঞ্জিং সেই কারণেই মনে হলো যে আমি এটাই বেছে নিবো।”
গত ২৭ জুলাই কাঠমুন্ডুতে বাংলাদেশ দ্রুতাবাসের পক্ষ্য থেকে তাকে সংবর্ধনাও দেয়া হয়। ৯ জুলাই কাঞ্চনজঙ্ঘা উত্তর বেজক্যাম্প পাংপেমাতে পৌঁছায় তিনি । ৫ হাজার ১৪২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই বেজক্যাম্পে পৌঁছার মাধ্যমে তার স্বপ্ন ছুঁয়ে অভিযান শেষ করে ২৮ জুলাই দেশে ফিরেন তিনি।
এর আগেও শাকিল অভিযান করেছেন হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী-কা-ডান্ডা-২’ ও ‘হিমলুং’, ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গ।
শাকিলের এমন গৌরবময় কাজে তার মা শিরিন আক্তার, আত্মীয়স্বজন, গ্রামবাসী আনন্দিত।
গ্রেট হিমালয় বা বৃহত্তর হিমালয় বা হিমাদ্রি হলো হিমালয় চেঞ্জের সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এবং অন্যান্য উচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে পর্বতশৃঙ্গ, নাঙ্গা পর্বত বৃহত্তর হিমালয় রেঞ্জের অংশ। শাকিলের এবারের স্বপ্ন সে এভারেস্ট চূড়ায় উড়াবে দেশের লাল সবুজ পতাকা।

No comments

Powered by Blogger.