ডা. রাম বরণ যাদব || মুক্তিযুদ্ধে বিদেশির অবদান
ডা. রাম বরণ যাদব || মুক্তিযুদ্ধে বিদেশির অবদান
নেপালের প্রথম প্রেসিডেন্ট ডা. রাম বরণ যাদব ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নেপালের ধানুসা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। রাম বরণ যাদব ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসানের পর ২০০৮ সালে প্রথম নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পূর্বে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীয় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নেপালি কংগ্রেসে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নেপালের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর দুইবার সদস্যও ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে কলকাতায় মেডিকেল কলেজের ছাত্র হিসেবেই। তখন থেকেই তিনি বেশ কিছু নেপালি রাজনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন- বিপি কৈরালা, গণেশ মান সিং, সুবর্ণ শমসের রানা, পুষ্প লাল শ্রেষ্ঠা এবং সুরয কৈরালা প্রমুখ। তিনি দীর্ঘদিন গ্রামে ডাক্তারি করেছেন। ১৯৮০-১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কৈরালার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন। ১৯৯০ সালে নেপালে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক বিধান পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যাদবকে বেশ কিছু সময় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়।
ডা.যাদব
১৫ বছর ধরে নেপালের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সংসদীয় বোর্ডের
সদস্য ছিলেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা কমিটিরও সদস্য ছিলেন। নেপাল বাংলাদেশের প্রতিবেশী
রাষ্ট্র। অন্যান্য দেশের মত নেপালও অকৃত্রিম বন্ধুর মত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের
মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দিয়েছে।
ডা রাম বরণ যাদব একাত্তরে
কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেই সময়ে তিনি কলকাতায় বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে
ঘুরে ঘুরে অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন
সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা বন্ধে এবং বাংলাদেশের জনগণকে
সহযোগিতার জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করেন।
বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতার
চার দশক পর একাত্তরে তাঁর অবদানেরজন্য তাঁকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
No comments