রাজনীতি-অর্থনীতির জন্য ব্রিকস কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
বাংলাদেশ এবার সদস্য পদ না পেলেও ভবিষ্যৎ রাজনীতি আর অর্থনীতির জন্য ব্রিকসকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, ব্রিকসে যোগ দিলেই সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান কোনো উপকার মিলবে না বলেই মনে করেন কেউ কেউ।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিন দশকের বেশি সময় বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
এক তরফা দাপট। ২০০৯ এর বিশ্বমন্দায় সেই দাপটে কিছুটা কাঁপন সৃষ্টি করে এশিয়ার দেশগুলো।
মন্দার ধাক্কায় পশ্চিমা বিশ্ব যখন দুলছে, তখন তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল এশিয়ার বেশিরভাগ
দেশের অর্থনীতি।
এরপর থেকে পুরো পৃথিবীতেই নতুন মেরুকরণের মৃদুস্বর। কিন্তু অতীত পরাশক্তি রাশিয়া বা
সাম্প্রতিক
বিশ্ববাজারে রাজত্ব করা চীন, কেউ এককভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বিপরীত শক্তি
হয়ে উঠতে পারেনি। এরকম প্রেক্ষাপটেই আলোচনা, ৫ দেশের জোট ব্রিকস মার্কিন নেতৃত্বাধীন
পশ্চিমা বিশ্বকে টক্কর দিতে পারবে কি না।
সম্প্রতি আলোচনায় ব্রিকসের সদস্য বাড়ানো। এবং তাতেই প্রশ্ন, ব্রিকস কি সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে দেবে মার্কিন একাধিপত্যকে? বাংলাদেশের জন্য হিসাবটা বেশ জটিল। একদিকে, দেশের
সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ইউরোপ আর আমেরিকা, অন্যদিকে এশিয়ার দুই প্রতিবেশি এবং শক্তিশালী
অর্থনীতি চীন এবং ভারত, যেখানে বাংলাদেশের বিশাল বাজার ঘাটতি।
বর্তমান হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা অর্থনৈতিক শক্তির জোট ব্রিকস। তাই ব্রিকসে
এবার যুক্ত না হলেও, এই জোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের, এমনটাই
মত কূটনীতি বিশ্লেষকদের।
No comments