গিজা পিরামিডের অমীমাংসিত রহস্য
সমসাময়িক পৃথিবীর আশ্চর্যজনক মনুষ্য নির্মিত স্থাপনাগুলো সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান পায়। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকরা প্রথম এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। সপ্তাশ্চর্যের সর্বশেষ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালের ৭ জুলাই। এ তালিকায় প্রথমেই স্থান পেয়েছে গিজার পিরামিড। এটি মিসরের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও আকর্ষণীয় পিরামিড। যা খুফুর পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত এই গিজার পিরামিড। এর নির্মাণশৈলী নিয়ে আজো হাজারো প্রশ্ন ওঠে প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ, বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মনে। কিন্তু নানা ধরনের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও এসব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি।
মিসরে প্রচলিত একটি প্রবাদ হলো - 'ম্যান ফিয়ারস
টাইম, টাইম ফিয়ারস দ্য পিরামিডস'। প্রচলিত ধারণা
অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ হাজার বছর আগে গিজার
পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় মিসরের মানুষের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পরবর্তী
জীবনই হলো অনন্ত জীবন। তাই মৃত্যুর পর দেহ অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করতে এবং পরলোকে
অনন্ত শান্তির জীবন পেতে তারা সম্রাটদের অর্থাৎ ফারাওদের দেহকে কবর দেয়ার জন্য
চুনাপাথরের ইট দিয়ে তৈরি করে পিরামিড। খুফুর পিরামিড তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায়
২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ। বিশাল বিশাল পাথর খণ্ড দিয়ে নির্মিত
পিরামিডের পাথর খণ্ডগুলোর এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো। বিশ্বে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া একমাত্র
আট পার্শ্বযুক্ত পিরামিড এটি। গিজার গ্রেট পিরামিডের চার পার্শ্ব সামান্য অবতল। যে
কারণে এই পিরামিডের কেন্দ্রটি অসাধারণ একটি কৌণিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে।
পিরামিড তৈরিতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে কল্পনাও করা যায়নি। অনেক বিজ্ঞানী এটাকে মানুষের তৈরি বলে মনে
করেন না, তারা বলেন যে পিরামিড ভিনগ্রহের প্রাণি বা
এলিয়েনদের তৈরি।
যাইহোক, পিরামিডের মাত্র অর্ধেক সম্পর্কে কিছু খোলাসা
হয়েছে বাকি অর্ধেক এখনো অমীমাংসিত রহস্য। খোলাসার এই অর্ধেকই মানুষের মধ্যে তীব্র
রহস্যের উত্থাপন করেছে যার প্রথমে প্রশ্ন আসে মিসরীয়রা পিরামিডটি ৫০০০ বছর আগে
কিভাবে এত বিশাল স্থাপত্য তৈরি করেছিল? এছাড়াও আরো
প্রশ্ন জাগে, মিসরীয়রা কিভাবে পিরামিড তৈরি করেছে? পিরামিডের মধ্যে ৪০০০ বছর আগে বাল্বের ছবি কিভাবে আসলো? কিভাবে কোন কম্পাস ছাড়া পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে পিরামিডের অবস্থা? পিরামিড এত নিখুঁত কিভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্য রয়ে গেছে।
আসুন জেনে নেই গিজার এই সব পিরামিডের রহস্য এক এক করে।কীভাবে গিজার পিরামিড তৈরি
হয়েছিল?
ইতিহাস থেকে এমন কোনো চাকা বা শক্তিশালী বাহণের খোঁজ পাওয়া যায়নি যা ৪ হাজার বছর আগে বর্তমানের চেয়েও অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত
ছিল। কিন্তু তারপরও পিরামিড তৈরিতে মিসরীয়রা ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করেছে। তাও কোনো
সাধারণ পাথর না! এই পাথরগুলির মধ্যে বেশ কিছুর ওজন ২৭-৭০ হাজার কেজি পর্যন্ত। আর
বর্তমানে সর্বাধুনিক ক্রেনের ক্ষমতা ২০ হাজার কেজির বেশি নয়। তাহলে কি আজকের
বিশ্বের চেয়েও এগিয়ে ছিলো তৎকালীন মিসরীয়রা? জানা যায়, ৪ হাজার বছর আগে মিসরীয় মানুষেরা পাথরের তৈরি হাতুড়ি এবং তামার সাহায্যে
পিরামিড তৈরি করেছিল। আবার, কোথাও এমনটা বলা হয়েছে যে, সে সময় নীল নদের পানিতে ভাসিয়ে আনা হতো এই বিশালাকৃতির পাথরগুলো। এটাও কতটা
যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজ্ঞানীরা । কিন্তু কোন জবাব পান নি। তাই
মিশরের লোকেরা কীভাবে এত বিশাল পাথর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে এসেছে এবং
কীভাবে তারা এত বড় ইমারত তৈরি করেছে তা আজও রহস্যই রয়ে গেছে।
পিরামিড কি বাল্বের আলোতে নির্মিত হয়েছিল?
পিরামিডের পাশেই এক মন্দিরে বাল্বের মতো কোন কিছুর প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। ‘ডেনডেরা লাইট কমপ্লেক্স’ নামে মিসরে একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটি
বহুকাল ধরে অজ্ঞাত ছিল অর্ধেক মাটির নিচে। ১৮৮৫ সালে যখন মন্দিরটি সম্পূর্ণভাবে বের
করা হলো তখন যা সামনে এল তা সবাইকে চমকে দিয়েছে।
সেই মন্দিরে একটি ছবি পাওয়া গেল যাতে একটি আধুনিক বাল্ব ছিল। একে বলে ডেনডেরা
লাইট। এই ছবিটি কিন্তু ৪ হাজার বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ে বিদ্যুতের
বাল্ব জ্বালানোর কথা মানুষ কোথা থেকে জানত? কতিপয় বিজ্ঞানীরা
তত্ত্ব দেন যে সেই সময়ে মানুষের কাছে বিদ্যুৎ ছিল এবং বৈদ্যুতিক আলোও ছিল। আবার
কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে এই বাল্ব এবং বিদ্যুতের জ্ঞান এলিয়েনরা মিসরের
মানুষকে দিয়েছিল। কিন্তু পিরামিডে এই বাল্ব রহস্যের কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
আকাশের তারার নিচে অবস্থান
রাতে যদি পিরামিডের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনটি
পিরামিডের অবস্থা তারকামন্ডলের তিনটি তারার অবস্থানের সাথে হুবহু মিলে যায়। যে
তারকা তিনটির নাম 'অরিয়ন বেল্ট'। মাটি থেকে
দেখা হলে, তিনটি পিরামিডের উপরে একটি নিখুঁত সরল রেখায়
তিনটি তারা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, তারার সাথে
অবস্থানের মিল রেখে এমন নিখুঁত আকার তৈরি করতে বা এই কাজটি করতে মহাকাশে যেতে হবে।
তাহলে কি মিসরের মানুষও মহাকাশে গিয়েছিল? নাকি এই কাজটি
এলিয়েনরা করেছিল? যদিও এমন কোন তথ্য বা প্রমাণ কিছুই পাওয়া যায়
না।
আবার, অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে আজও মানুষের
পক্ষে এমন নিখুঁত কাঠামো তৈরি করা অসম্ভব। তাদের মতে, এটি অবশ্যই এলিয়েনদের কাজ যারা এই তিনটি তারা থেকে আসত। তাহলে প্রশ্ন উঠাই
স্বাভাবিক যে পিরামিড মানুষের তৈরি নাকি এলিয়েনের?পিরামিড কেন নির্মিত হয়েছিল?
খু্বই সাধারণ একটি প্রশ্ন- পিরামিড কেন নির্মিত হয়েছিল? এর প্রচলিত উত্তর- মিসরের রাজা, রাণীকে মমি
বানিয়ে রাখতে কিংবা তাদের মরদেহ সংরক্ষণের জন্য। এক্ষেত্রে, জানিয়ে রাখি যে, এখন পর্যন্ত সমস্ত পিরামিড নিয়ে যত গবেষণা
হয়েছে তার মধ্যে একটি মমিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পিরামিডের ভিতরে কয়েকটি চেম্বার রয়েছে। এর মধ্যে রাজার চেম্বার আর রাণীর
চেম্বার উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন হয়ত রাজার চেম্বারে রাজার মমি আর
রাণীর চেম্বারে রাণীর মমি থাকতে পারে। এই উদ্দেশে হয়ত পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল।
হতে পারে তৎকালীন কোনো রাজা তার শক্তি-সামর্থ দেখানোর জন্য এই বিশাল স্থাপত্য তৈরি
করেছিল। কিন্তু অনুসন্ধান করে কোনো মমির খোঁজ না পাওয়ায় আজও একটা বিশাল প্রশ্ন, “পিরামিড আসলে কেন তৈরি করা হয়েছিল?”
গিজার পিরামিড এত নিখুঁত কীভাবে?
গিজার পিরামিড পুরো পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থান করছে। যদি পৃথিবীর উপর থেকে নিচে
এবং ডান থেকে বামে রেখা টানা হয়, তাহলে পিরামিড ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে।
এখানেও প্রশ্ন জাগে যে, ৪০০০ বছর আগে মানুষ কিভাবে পৃথিবীর মাঝখানটা
খুঁজে পেল! কিংবা কীভাবে তারা এই কাঠামোটি পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে তৈরি করেছিল? কিন্তু তখন তো মানুষ বিশ্বাস করত পৃথিবী সমতল; আর চন্দ্র-
সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। চন্দ্র-সূর্য যে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে এই আবিষ্কার
তো অনেক পরের কথা। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, মিশরের লোকেরা
জানত পৃথিবী গোলাকার এবং কোনটি পৃথিবীর মাঝখান। আবার, পিরামিডের নিখুঁত নির্মাণ দেখে অনেক তাত্ত্বিকের মত, লেজার টেকনলোজি ছাড়া এটি নির্মাণ অসম্ভব।পিরামিড পাথর এই পৃথিবীতে নেই!
যে পাথর থেকে পিরামিড তৈরি করা হয়েছে সেটি কোনো সাধারণ পাথর নয়-
প্রত্নতত্ত্ববিদ আর গবেষকদের পরীক্ষা থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। পিরামিড নির্মাণে
ব্যবহৃত পাথরগুলি যেকোনো সাধারণ চুনাপাথরের চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী। বিজ্ঞানীরা
গবেষণা করে বলেছেন যে, এই ব্লকগুলি মোটেও পাথর নয়। পৃথিবীতে এই
ধরণের আরও অনেক পাথর আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু পিরামিডে ব্যবহৃত এমন পাথর সারা
পৃথিবীতে কোথাও পাওয়া যায়নি। এ কারণেই ধারণা করা হয়, পিরামিড তৈরীতে ব্যবহৃত পাথরগুলি অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছে।
পিরামিডের তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস কিভাবে?
নিশ্চয়ই জানেন যে, পিরামিড মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। অর্থাৎ, এর তাপমাত্রা সর্বদা ৪০° থেকে ৫০° সেলসিয়াসের
মধ্যে থাকে। কিন্তু থার্মাল পরীক্ষায় পিরামিডের ভেতরে তাপমাত্রা সবসময় ২০° সেলসিয়াসই পাওয়া গেছে। তা বাইরে যতই গরম হোক না কেন! গবেষকরা ৫-৬ বছর আগে
খুঁজে পেয়েছে গিজার 'দ্য গ্রেট পিরামিডের' মধ্যকার তাপমাত্রার তারতম্য থাকার কারণ। থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে গুপ্ত কুঠুরি
খুঁজতে গিয়ে গিজার পিরামিডের কয়েকটি স্থানের পাথরে তাপের তারতম্য পর্যবেক্ষণ
করেছেন স্থপতি আর বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল। গবেষকরা ধারণা করেন, হাজার বছর ধরেই এই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডটি। দেখা গেছে, পিরামিডের অভ্যন্তরে এক ধরনের প্রাকৃতিক বায়ুর ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান
সময়ে এ ধরনের ভবন নির্মাণ করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু ৪-৫ হাজার বছর আগে
মিশরীয়রা কীভাবে এটি তৈরী করেছিল? যেখানে
বর্তমানে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ২০° সেলসিয়াস।মহান
স্ফিংস
পিরামিড যতটা রহস্যময়, পিরামিডের সামনে উপস্থিত ‘দ্য গ্রেট স্ফিংস’ ততটাই রহস্যময়। এই মূর্তির মুখ মানুষের
কিন্তু শরীর সিংহের। এটি ২০ মিটার উঁচু এবং প্রস্থ ৭৩.৫ মিটার দীর্ঘ। আশ্চর্যের
বিষয় হলো, এটি পিরামিডের মতো পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি
করা হয়নি, বরং একটি বৃহদাকার পাথর কেটে তৈরি করা
হয়েছে।
এই স্ফিংসটির তুলনামূলক ক্ষুদ্র মাথা দেখে বোস্টনের জিওলজিস্ট রবার্ট স্কচ
ধারণা করছেন যে, এই মূর্তিটির শুরুতে সিংহের মাথা ছিল। যেটাকে
পরে রহস্যময় হাসিতে পূর্ণ ফারাওর মুখে রূপান্তর করা হয় তাও সেই ফারাওর নির্দেশে।
টানেলস অব পিরামিড
মিসরীয় পিরামিডগুলোর আরেকটি রহস্য হচ্ছে এর ভেতরে নির্মিত টানেল বা সুরঙ্গ পথ।
এসব পিরামিডের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সুরঙ্গ পথ। আদৌ কেন এই সুরঙ্গপথগুলো তৈরি করা
হয়েছিলো তার সঠিক উত্তর আজ পর্যন্ত কেউই দিতে পারেনি। প্রথমদিকে বিশ্বাস করা হতো
পিরামিডের ভেতরের সুরঙ্গ পথগুলো মূলত পিরামিডে ভেন্টিলেশনের জন্য হয়তো তৈরি করা
হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে উৎসুক প্রত্মতাত্বিকরা যখন একটি রোবটকে পিরামিডের ভেতরে
পাঠালেন তখন এই তথ্যটিও ভুল প্রমাণিত হয়। অর্থাৎ পিরামিডগুলোর ভেতরে যে সুরঙ্গ পথ
তা কোনো ধরনের ভেন্টিলেশনের জন্য তৈরি করা হয়নি। কেননা এই স্যরঙ্গ পথগুলো কংক্রিট
দিয়ে বিপরীত বন্ধ করা ছিলো। তাহলে কিসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এসব সুরঙ্গ পথ?
মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত গিজা নামক স্থানে গেলে দেখা
মিলবে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বড় পিরামিডটির। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সভ্যতাগুলোর একটি
গড়ে উঠেছিল মিসরে। মেসোপটেমিয়ার অধিবাসীরা সর্বপ্রথম পিরামিড আকৃতির স্থাপনা
তৈরি করেছিল। মানবসভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম রহস্যময় নিদর্শন হলো এই পিরামিড। এর
সুবিশাল উচ্চতা ও শৈলীর সামনে দাঁড়ালে বাকরুদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। সারা
বিশ্বের কাছে মিসরের পরিচিতি আছে তাদের পিরামিডগুলোর জন্য। প্রাচীনকালের পৃথিবীর
সপ্তমাশ্চর্যের মধ্যে পিরামিডই সবচেয়ে পুরনো এবং অনেকাংশে অক্ষত। নীল নদের পশ্চিম
তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন মিসরে নির্মিত প্রাচীন সব পিরামিডগুলো ধ্বংস
করতে ব্যর্থ হয়েছে শক্তিশালী সব প্রাকৃতিক দুর্যোগও। এমন দৃঢ় স্থাপনা আধুনিক
প্রযুক্তিতেও নির্মাণ সম্ভব কি-না তা সন্দেহাতীত।
No comments