গ্রামীণ অর্থনীতিতে রেলওয়ের ভূমিকা
অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা। সীমিত সম্পদ ও অফুরন্ত চাহিদা এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। Economics একটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ গৃহস্থালি পরিচালনা। অর্থনীতি মানুষের বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্কবিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে জাতীয় আয় উৎপাদন, বেকারত্ব হার, মুদ্রাস্ফীতি, সামগ্রিক ভোগ, বিনিয়োগ ব্যয় ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত। প্রবৃদ্ধি দীর্ঘকালীন একটি দেশের মাথাপিছু উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাপ। বিনিয়োগ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হার এর অন্তর্ভুক্ত। উৎপাদন ও সম্পদ বণ্টনের ব্যবহারিক বিজ্ঞানই অর্থনীতি। গ্রামকে কেন্দ্র করে পরিচালিত অর্থনৈতিক কার্যাবলিই গ্রামীণ অর্থনীতি। গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি ও কুটির শিল্প। নগরায়ণ ও প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলস্বরূপ এখন গ্রামাঞ্চলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যাপ্তি লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের গুরুত্ব অত্যধিক। গ্রামীণ অর্থনীতি আরো গতিশীল করা সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রেলপথ চালু হয় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। ১৯৪৭ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান সীমানাভুক্ত অংশ
Eastern Bengal Railway নামে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চলে যায়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সরকারি রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তর রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনের জন্য যেমন ট্রেন পরিচালনা করে, তেমনি পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক ধরনের ওয়াগন ও লাগেজ ভ্যান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিকটস্থ স্টেশন মাস্টার অথবা গুডস সহকারীর কাছ থেকে মালপত্র বোঝাইয়ের নিয়মাবলি, ভাড়ার হার জেনে রেলযোগে পণ্য পরিবহনের সুযোগ নিতে পারেন। সম্পদ ও বুককৃত পণ্যের নিরাপত্তার জন্য স্টেশন এবং বিভিন্ন যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত থাকে। পণ্য পরিবহনে রেলওয়ে তাই তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।
গ্রামীণ অর্থনীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী উৎস। এটি টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণ অর্থনীতি বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার ঘটানো জরুরি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক যুগ আগেও চিরুনি, রেশম, তাঁত শিল্পসহ অনেক শিল্প চমক সৃষ্টি করে আবার ধ্বংস হয়ে গেছে। যশোরের চিরুনি শিল্প ১৯০১-১৯৫৮ সাল পর্যন্ত একচেটিয়া ব্যবসা করছে। ১৯৬০ সালের পর যশোর-খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে ওঠে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, যা আবার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আবার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যেতেই পারে। এসব অঞ্চলে সাদা সোনা চিংড়ি, রজনীগন্ধাসহ নানা ফুল, মুক্ত পানির মাছ, রেণু-পোনা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালনের ব্যবসা চলছে অনেক দিন ধরে। এশিয়ার বৃহত্তম বীজবহন খামার রয়েছে ঝিনাইদহের দত্তনগরে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বীজের চাহিদা পূরণ সম্ভব। ফসলের প্রাণশক্তি বীজ, উন্নত মানের বীজ কৃষি বিপ্লবের উৎস। দত্তনগর, বাবাদী, সাধহাটিসহ সরকারি বীজ খামারগুলো থেকে কৃষকের চাহিদানুযায়ী বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা জোরদার হলে সারা দেশেই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তুলা আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্পিনিং মিলগুলোর বৈদেশিক নির্ভরতা কমানো যাবে। কৃষি ও শিল্প একে অন্যের পরিপূরক। তাই গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করার স্বার্থে এ দুটো খাতের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া জরুরি। সবুজ বিপ্লব ঘটাতে হলে উচ্চফলনশীল বীজ ও উন্নত সারের মাধ্যমে ফলন বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে ২৫-৪৯ জন শ্রমিক কাজ করেন এমন উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং মাইক্রো শিল্প বলতে ১০-২৪ জন শ্রমিক কর্মরত প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়।
Integrated Rural Developement Programme (IRDP)-এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কভিড-১৯-এর কারণে গ্রামীণ কর্মসংস্থান কমে গেছে, আয় কমে গেছে। অর্থনীতিবিদ সালেহউদ্দিন আহমেদের মতে, গ্রামীণ খাত গতিশীল ও সম্প্রসারণ করে কর্ম ও আয় সংস্থান বাড়ানোর জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষি, মত্স্য, পশুপালন, পোলট্রি, সবজি চাষ, ফুল চাষ, আরবরি কালচার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। জিডিপিতে এদের অবদান বাড়াতে হলে এ খাতগুলোকে গতিশীল করতে হবে। শুধু কৃষি উৎপাদন নয়, পণ্য প্রক্রিয়াকরণেও মনোযোগ দিতে হবে। কৃষিপণ্যের বিপণনে জোর দিতে হবে।
কভিড-১৯-এর কারণে বিপুলসংখ্যক স্বল্প আয়ের মানুষ আবার গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গ্রাম তথা গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বটা আবারো সামনে চলে এসেছে। বিআইডিএসের সমীক্ষা বলছে, করোনার কারণে ১৩ শতাংশ লোক নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছে। এর মধ্যেই বিদেশ থেকেও লোকজন ফেরত আসছে। দেশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার। সব ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য প্রযোজ্য নয়, পর্যাপ্তও নয়। তার ওপর আছে দুর্নীতি। সব সহায়তা দীর্ঘস্থায়ী করাও সম্ভব নয়। অতএব, গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করাই বেশি জরুরি। গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। বহুমুখী সম্প্রসারণ হচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণ, গ্রামীণ পরিবহন ও যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধিতে কৃষির সঙ্গে সঙ্গে অকৃষি খাতে আয়, কর্মসংস্থান বাড়ছে। কৃষি এবং শিল্প দুটোতেই সঞ্চালনা ও প্রেষণাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারবে।
গ্রামীণ অর্থনীতির সুষম উন্নয়ন, বণ্টন ও পুনর্গঠনে রেল পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক। রেলপথ ও রেল পরিবহন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী, দীর্ঘস্থায়ী, নিরাপদ বলে রেল জনপ্রিয়ও বটে। সীমিত সম্পদ, অধিক জনসংখ্যা, নিম্ন আয় ইত্যাদি কারণে রেল পরিবহন এ দেশে গুরুত্বপূর্ণ। রেল ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন আধুনিক করতে পারলে দুর্ঘটনা, ক্ষয়ক্ষতি, পণ্য অব্যবস্থাপনা কমানো যাবে। এখন দেখা যাক রেল গ্রামীণ অর্থনীতিতে কী ভূমিকা রাখতে সক্ষম—
১. কাঁচামাল সংগ্রহ ও উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করে রেলওয়ে শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
২. পণ্য পরিবহনেও রেলওয়ের ব্যবহার সাশ্রয়ী, নিরাপদ। সব শহর, শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র রেলওয়েতে যুক্ত। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক সরবরাহেও রেলপথ প্রয়োজনীয়।
৩. কৃষিবীজ, সার, কীটনাশক, সেচযন্ত্র, মাড়াইকল ইত্যাদি পরিবহনসহ কৃষিপণ্য সরবরাহ ও বণ্টনে রেলওয়ে অপরিহার্য হয়ে ওঠা সম্ভব।
৪. কর্মসংস্থানেও এর অনুকূল ভূমিকা হতে পারে।
৫. দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতায় রেল হয়ে উঠতে পারে আদর্শ। দ্রুত উদ্বৃত্ত অঞ্চল থেকে ঘাটতি অঞ্চলে পণ্য সরবরাহে রেলওয়ের ব্যবহার স্থিতিশীল তার সহায়ক।
৬. জরুরি অবস্থায় যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, রাজনৈতিক দুর্যোগে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রেলপথ সহায়ক। দ্রুত রিলিফ, খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, প্রয়োজনে সৈন্য প্রেরণে রেলপথ ব্যবহূত হতে পারে।
৭. গ্রাম-শহরের যোগাযোগে রেলপথ নিরাপদ, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব।
৮. পণ্য পরিবহন সাশ্রয়ীও বটে। কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত, পণ্যের সরবরাহে স্থিতিশীলতা, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীলতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেলপথ আদর্শ।
৯. পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে বিপণন গুরুত্ববাহী। এতে পরিবহন ও বাজারজাত জড়িত। তাজা পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা, সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানো, তুলনামূলক অপচয় কমিয়ে সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিবহন বিপণনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। পরিবহন পণ্যের মূল্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিপণনের লক্ষ্য ক্রেতার হাতের নাগালে পণ্য নিরাপদে সরবরাহ করা। এক্ষেত্রে রেলওয়ে উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, আধুনিক উন্নয়নচিন্তার কেন্দ্রীয় বিষয়গুলো হলো দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। রেলওয়ে সর্বোত বিবেচনায় এগিয়ে এ ব্যাপারে যদি এর মান ও ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও সময়োপযোগী করে তোলা যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিবেশ, যানজট, নিরাপত্তা, ভূমির পরিমিত ব্যবহার, জ্বালানি সমস্যা, দেশী পণ্য পরিবহন মাথায় রেখে রেলের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
মালপত্রের ক্ষেত্রে ওজন, প্যাকিং ও গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারে রেলওয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে। রেলওয়ের কারণে বুককৃত পণ্য খোয়া গেলে, নষ্ট হলে প্রমাণসাপেক্ষে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা অথবা প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক দপ্তরে আবেদন করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কোনো পণ্য রেলওয়ের কারণে গন্তব্যে পৌঁছানো না গেলে যে পর্যন্ত পরিবহন করা হয়েছে, সেই পরিমাণ দূরত্বের ভাড়া ফেরত দেয়ার বিধান আছে। পণ্য পৌঁছানোর জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারিত না থাকলেও যথাসম্ভব দ্রুত গন্তব্যে পণ্য পৌঁছানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে সবসময় সচেষ্ট থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৭৯টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলো ডাবল লাইনে উন্নীত হলে এসব সেকশনে অধিকসংখ্যক ট্রেন পরিচালনা সময়ানুবর্তিতা রক্ষা ও ট্রেন যাত্রার সময় হ্রাস করা সম্ভব হবে। বন্ধ হওয়া অনেক রেললাইন চালুকরণেও পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে।
দ্রুত ও নিরাপদ রেলসেবা নিশ্চিত হলে উৎপাদনের উপকরণ, সম্পদ, পণ্য ও সেবার চাহিদা ও সরবরাহ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। দক্ষ ও নিরাপদ রেল পরিবহন পরিষেবা ব্যবহার করে দরিদ্র জনগণ সহজে ও সুলভে রেলে যাতায়াতসহ নিজেদের উৎপাদিত কৃষি ও কুটির শিল্পপণ্য পরিবহন করতে পারবে, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখতে পারছে এবং পারবে। শ্রমিকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিলে কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার, পণ্য লোডিংয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, ইঁদুর, তেলাপোকা ইত্যাদি রোধক ব্যবহার, অতিরিক্ত বোঝাই পরিহার ইত্যাদি লক্ষ রাখতে পারবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের অবদান ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর, শিল্প-বাণিজ্য কেন্দ্র ও বন্দরগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগ থাকায় এটি সম্ভবপর; দেশের ৬৪টি জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য যেসব মেগা প্রকল্প নেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে শুধু গ্রামীণ অর্থনীতি নয়, সার্বিকভাবেই অর্থনীতি গতিশীল হবে। অনগ্রসর অঞ্চলসহ সারা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নারী উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে গণপরিবহন হিসেবে রেলওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নিরাপদ, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, শক্তিশালী পরিবহন নেটওয়ার্ক হওয়ায় সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ রেলওয়েতে সম্ভবপর। তাই টেকসই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সক্ষম।
No comments