এ বছর চাঁদের কাছে যাবেন যে ৪ নভোচারী
১৯৬৯ সালে অ্যাপেলো-১১ মিশনে প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা। এই অভিযানে প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখেন মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। এরপর ১৯৭২ শেষ বারের মতো এক মহাকাশচারীকে নিয়ে চাঁদে গিয়েছিল মহাকাশযান অ্যাপোলো-১৭।
এরপর কেটে গিয়েছে
দীর্ঘ ৫০ বছর। আবারও মানুষবাহী চন্দ্রাভিযান শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসা জানিয়েছে, আগামী বছরের শেষে
আর্তেমিস-২ নামের এ চন্দ্রাভিযানে মোট চারজন নভোচারী থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছেন একজন
নারী এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ। বাকি দুজন শেতাঙ্গ পুরুষ। গত ৩ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সংস্থাটি।
নতুন
চন্দ্রাভিযানের এক মাত্র নারী নভোচারীর নাম ক্রিস্টিনা কোচ। তিনি নাসার ইতিহাসে
নারী হিসেবে সবচেয়ে লম্বা সময় মহাকাশে যাত্রা করার রেকর্ড গড়েছেন। এছাড়া নাসার প্রথম
তিনটি সর্ব-মহিলা মহাকাশযাত্রার অংশও ছিলেন তিনি। এবারের চন্দ্রাভিযানে তাকে মিশন
স্পেশালিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে
কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ নভোচারীর নাম ভিক্টর গ্লোভার। মার্কিন নৌ বাহিনীর সাবেক এ বৈমানিক
এখন পর্যন্ত চারবার মহাকাশে গেছেন। তিনি আর্তেমিস-২ চন্দ্রাভিযানে পাইলটের দায়িত্ব
পালন করবেন। অপর দুই শেতাঙ্গ নভোচারী হলেন জেরেমি হানসেন এবং রেড ওয়াইজম্যান।
জেরেমি হানসেন
কানাডার বিমানবাহিনীর একজন কর্নেল। তিনিই প্রথম কানাডিয়ান যাকে চন্দ্রাভিযানের
জন্য বাঁছাই করা হয়েছে। তিনি এ অভিযানে মিশন স্পেশালিস্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
অপর নভোচারী রেড ওয়াইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট। তাকে
আর্তেমিস-২ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে আর্তেমিস-২ মিশনে যেসব নভোচারী থাকবেন তারা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবেন না। এর বদলে চাঁদের পেছন দিক দিয়ে ১০ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত গিয়ে ঘুরে আসবে এই মিশনে ব্যবহৃত নভোযানটি। এর মাধ্যমে মানব ইতিহাসে মানুষকে বহনকারী কোনো নভোযান পৃথিবীর সবথেকে দূরে যাবে।
No comments