সংঘর্ষের পর আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, সংঘাত উসকে দিচ্ছে মস্কো। সংঘর্ষের এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে ইয়েরেভান ও বাকু কর্তৃপক্ষ।
আবারও সামনে এলো নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার অর্ধশত সেনা নিহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির সরকার। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।
আজারবাইজানের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল
ম্যাক্রোঁ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে যথাযথ জবাব দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
নিকোল পাশিনিয়ান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের অর্ধশত সেনার মৃত্যু
হয়েছে এবং দুর্ভাগ্যবশত এটিই চূড়ান্ত পরিসংখ্যান নয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে ইয়েরেভান ও বাকু কর্তৃপক্ষ। আর্মেনিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকটি ঘাঁটি, আশ্রয়কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আজারবাইজান
কর্তৃপক্ষ। হামলায় ড্রোন ও মর্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে
জানান সংশ্লিষ্টরা।
যদিও এ সংঘাতে নিজেদের কতজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে
কিছু জানায়নি আজারবাইজান সরকার। তবে বাকু সীমান্তে ইয়েরেভান সেনারা গুপ্তচরবৃত্তি
ও অস্ত্র মোতায়েনের পাশাপাশি স্থানীয় ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে বলে
অভিযোগ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে
প্রথম দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। এরপর কয়েক যুগ ধরেই লড়ছে আর্মেনিয়া
এবং আজারবাইজান। দীর্ঘ এ সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো মানুষ। সবশেষ ২০২০ সালে
সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান।
সে সময় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয় ওই যুদ্ধ।
No comments