Adsterra

ফারাক্কা বাঁধের আয়ু কতদিন?

ফারাক্কা বাঁধের আয়ু কতদিন? ঢাকা ভয়েজ  dhaka voice;


গঙ্গা নদীর পাশে ছোট্ট শহর ফারাক্কা। নামটি এতই আলোচিত যে  ফারাক্কা শুনলেই বুঝে নিতে হবে ফারাক্কা বাঁধের কথা বলা হচ্ছে।  বাংলাদেশের নবাবগঞ্জ জেলায় শিবগঞ্জে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মোটামুটি আঠারো কিলোমিটার দূরে ভারতের ফারাক্কার গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত এই বাঁধের বয়স  পঞ্চাশ বেরিয়ে গেছে।

দীর্ঘ পাঁচ দশকে  গঙ্গা জল অনেক গড়িয়েছে। তার কতটা ভারত পেয়েছে আর কতটা বাংলাদেশ তার হিসেব কসার অবকাশ এখন আছে কিনা তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। কারণ ফারাক্কা বাঁধ শুধু বাংলাদেশের উপরে বিপর্যয় ডেকে আনেনি ভারতীয় ও এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে শুরু হয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ফারাক্কায় শোধ চাচ্ছিলো। এখন এর সাথে যোগ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙ্গনের শিকার লাখো মানুষের দুর্ভোগ। উত্তরপ্রদেশ ও  বিহারের বন্যা কবলিত মানুষেরাও দোষ দিচ্ছেন ফারাক্কাকে। ফারাক্কা বাঁধ অপসারণের দাবি জোড়ালো হচ্ছে ক্রমশ। পরিবেশগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি গঙ্গা নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ও সম্প্রতির চিন্তিত করে তুলেছেন বিশেষজ্ঞদের। যে কারণে প্রশ্ন উঠতে পারে- কি আছে ফারাক্কা বাঁধের ভাগ্যে? ফারাক্কা বাঁধের আয়ুই বা আছে আর কত দিন?

যে সবই  জানার চেষ্টা করব আজকের এই  প্রতিবেদনে।

প্রায় ২২৪০ মিটার লম্বা ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে।  সোভয়াত রাশিয়ার  সহায়তায় বাঁধটি বানাতে খরচ পড়েছিল সেই সময়ের হিসাবে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। স্বাভাবিকভাবে এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল। তবে এখানে একটি তথ্য না জানলেই নয়গঙ্গায় বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা  কিন্তু শুরু হয়েছিল ব্রিটিশরা যখন এখানকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই।  উপলক্ষ ছিল কলকাতা বন্দর। হুগলি নদীর তীরে স্থাপিত কলকাতা বন্দর ছিল সেই সময়ের ওপৌনোবেশিক  ব্রিটিশদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দাস প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর ব্রিটিশদের আখের খামারে কাজ করার জন্য ১৮৩৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি ভারতীয় এই বন্দর দিয়ে পারি জমিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, উড়িষ্যার বা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।  পূর্ব ভারতের প্রবেশ পথ হিসেবে কলকাতা বন্দরের ভূমিকা যেমন দিন দিন বাড়ছিল, অন্যদিকে ধীরে ধীরে হুগলি ভাগীরথী নদী ও হারাচ্ছিলো নাব্যতা।

সমস্যার সমাধানের ব্রিটিশরা ১৮৫১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত পাঁচটি সমীক্ষা চালায়। যার উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে গঙ্গার একাংশের প্রভাব ঘটিয়ে হুগলি ভাগীরথী  নদীতে ফেলা যায়। মূলত পদ্মার মুখে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা এসেছিল তাদের মাথা থেকেই। ১৯৪৭ সালের বিদায় নিল ব্রিটিশরা। হলো দেশ ভাগ। কিন্তু গঙ্গায় বাঁধেরর পরিকল্পনা থেকে সরে আসলো না ভারত। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার একেবারে যে মুখে কুলু পেটে বসে ছিল তা কিন্তু না।  এ নিয়ে ১৯৭০  সাল পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক আর বিবৃতি  চললে ও ফারাক্কা ইস্যু ছাড়িয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছিল  সিন্ধুর পানি ভাগাভাগির বিষয়। আর সেখানে ফারাক্কা ছিল নিতান্তই দর কষাকষি মামলা।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪  সালের ১৬ই মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ে আলোচনায় বসে ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল উভয় দেশ চুক্তিতে না আশা পর্যন্ত ফারাক্কা চালু হবে না। তবে প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ব্যবধানে পার্থক্য রয়েছে। পরীক্ষামূলক  হলে ও ১৯৭৫ সালে ২১শে এপ্রিল থেকে মূলত ফারাক্কা বাঁধ চালু করে দেয় ভারত।

 

২০১৭ সালের জুনে, ভারতের সাত জন বিশেষজ্ঞের একটি দল ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন শেষে জানায় ফারাক্কার  বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে। বিহার বা উত্তর প্রদেশে বন্যা সমস্যার সমাধানে বাঁধটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ না করলেই নয়। মূলত আন্তর্জাতিক  আইন অনুযায়ী, নদীতে  দেয়া বাঁধের বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেই তার রিভিউ বা পর্যালোচনা করতে হয়। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ পর্যালোচনায় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি।

 

ফারাক্কা যে বাংলাদেশের জন্য আক্ষরিক অর্থে  মরণ ফাঁদ তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। এক সময়ের পদ্মা এখন নাব্যতা হারিয়ে আধমরা। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে ৪৯ টি শাখা নদী। পদ্মায় পলি প্রবাহ কমিয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়ছে পানিতে  লবণাক্তের পারিমাণ। এমনি নানা পরিবেশগত বিপর্যয়তো আছেই। কৃষি, মৎস্য, পরিবহন, জীবিকা অর্থনীতি ইত্যাদিতে মারাত্মক বিরোপ প্রভাব ফেলেছে এক ফারাক্কা বাঁধ।

গবেষকদের মতে ফারাক্কার কারণে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের লোকসান হয়েছে অন্তত ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তারপর থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে  ৫০০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।

ফারাক্কার কারণে ভাটির দেশ বাংলাদেশে   সমস্যা শেষ নেই। সমস্যা সমাধানের উপায় ও নেই। ফারাক্কার  নিমন্ত্রণ ভারতের হাতে থাকায়  দিন শেষে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে উজানের দিকেই। তাই আমরা এখন জানার চেষ্টা  করবো বা ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে ভারতের হিসাব-নিকাশ কি বলছে। 

২০১৬ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিস কুমার তার  রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সমাধানের জন্য ফারাক্কা বাঁধ অপসারণের জন্য দিল্লির কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের বন্যার সময়ও একই দাবি তুলেন তিনি। ঐ বছর বিহারে পানি সম্পদ মন্ত্রী সঞ্চয় কুমার জানিয়েছিলেন ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গায় এত পরিমাণ পলি জমেছে যে বর্ষা মৌসুমে গঙ্গার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পারছে না। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর জানানো এক সমীক্ষা বরাদ্দে তিনি বলেন, "এলাহাবাদ থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দূরত্ব  পাড়ি দিয়ে পাটনায় গঙ্গা নিষ্কাশিত হতে  সময় লেগেছে  মাত্র দুই দিন।  কিন্তু পাটনা থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত মাত্র ৪১৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সময় লাগছে সাত দিনের বেশি। গঙ্গায় পলি জমার কারণে সৃষ্ট এ পরিস্থিতির জন্য ফারাক্কাকে দায়ী করেন তিনি।"

২০১১ সালে প্রবীণ কুমার ঝাকুরশিবদিয়া আগারওয়াল এবং আরো কয়েকজন একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছিলেন।  সেখানে ১৯৫৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত গঙ্গা নদীর গতি প্রকৃতি, পলি জমা, চরাঞ্চল সৃষ্টি এবং নদী ভাঙ্গনের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।  গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদে নদী ভাঙ্গনের পরিমাণ শুধু বেড়ে যায়নি। ফারাক্কার মতো মানব সৃষ্ট বাঁধের কারণে গঙ্গা নদী ও তার গতিপথ পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগ পর্যন্ত এই অঞ্চলে গঙ্গা নদীর গতিপথ ছিল অনেকটাই সরল রেখায়। ১৯৭৭  সালের পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তথ্য উপাত্ত এবং স্যাটেলাইটের ছবি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই অঞ্চলে গঙ্গা ক্রমশ নিয়ান্ডার বা একে বেঁকে চলা নদীতে পরিনিত হয়েছে। ফাকাক্কা বাঁধের ২১ কিলোমিটার উজানে গঙ্গায় সৃষ্ট হয়েছে বিশাল বাঁধ। যা ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং উজানের দিকে নদীর পারাপার জুড়ে ব্যাপক ভাঙ্গনের কারণ হয়ে উঠেছে।

সেই সাথে পলি জমার কারণে নতুন চর সৃষ্টির হার ও বেড়েছে ব্যাপক হারে। ২০০৩ সালে জেগে উঠা চর গুলোর  মোট আয়তন ছিলো ১১৯ বর্গকিলোমিটার। যা নদীর মোট পরিসরের ৪৫.৫ শতাংশ।  আগামীতে এই শতাংশ ৮৬ দশমিকে উপনিত হওয়ার আশংকা ও প্রকাশ করা হয় ঐ গবেষণা পত্রে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারে হিসেবে ২০০৪  সাল পর্যন্ত মালদায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার, মুর্শিদাবাদে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার  জমি নদী ভাঙ্গনের কারণে বিলীন হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার পরিবার বাসস্থান হারিয়েছে।

পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান হিসেবে গঙ্গায় ব্যাপার পরিমাণে ড্রেইজিং এর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ড্রেইজিং এর মাধ্যমে বন্যা বা নদী ভাঙ্গনের গতি কতটুকু সামাল দেয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকেরই।

যে কলকাতা বন্দরকে বাঁচানোর জন্য এই ফারাক্কা বাঁধ সেই কলকাতা বন্দর ও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বাঁধ তৈরির আগে নদীতে যে পরিমাণ ড্রেইজিং করতে হতো বর্তমানে করতে হয় তার চারগুণের ও বেশি।  অর্থাৎ কলকাতা বন্দরের জন্য ফারাক্কা বাঁধ কোনো বাড়তি সুবিধা নিয়ে আসতে পারেনি।

 

ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করতে যে খরচ ছিলো তা নিয়ে ভারতের অবশ্য তেমন মাথা ব্যথা ছিলো না। পরিবেশ গত বিষয়ের এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা নিয়ে বাঁধ তৈরির আগে সতর্ক করে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন চীফ ইঞ্জিনিয়ার কোকিল ভট্টাচার্য।  ১৯৬১ সালের একটি রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বন্যা বা পলি জমার বিষয়টি চিন্তা না করেই বাঁধ নির্মাণের তোরজোর শুরু হয়েছে। এতে করে কলকাতা বন্দরকে তো বাঁচানো যাবেই না। নদীর প্রবাহকে বাঁধাগ্রস্ত করায় মালদা বা মুরর্শিদাবাদ জেলায় বিস্তৃত এলাকায় বছর বছর বন্যায় ভাসবে।

কোকিল ভট্টাচার্য  ফারাক্কা পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এজন্য তাকে পাকিস্তানের দালাল সাববোস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পাঁচ দশক পর তার প্রতিটি সাবধান বাণী একে একে সত্য বলে প্রমাণিত হতে থাকে।   ভারতের জন্য আরো চিন্তার বিষয় হচ্ছে, মুর্শিদাবাদের চাঙ্গীপুরে পদ্মা নদীর প্রবাহ ক্রমশ হুগলি নদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে যেখানে ২ নদীর মধ্যে ব্যবধান ছিলো ২.৮৬ কিলোমিটার। তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১.৩৪ কিলোমিটারে। প্রাকৃতিক নিয়মে দুই নদী যদি এক হয়ে যায় তাহলে পুরো ভাগীরথীতে দুর্যোগ নেমে আসবে। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ফিডার ক্যানেল দিয়ে হুগলি নদীতে পানি প্রবাহিত করার পদ্মার তুলনায় পানির উচ্চতা এই নদীতে বেশি। যে কারণে ২ নদী এক হয়ে গেলে হুগলি নদীর পানি পদ্মা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। আর ফারাক্কা বাঁধ হয়ে পড়বে মূল্যহীন। নদীর স্বাভাবিক গতিতে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত হস্তক্ষেপের পরিণতি কখনো ভালো হতে পারে না। এই সত্যটি হয়তো অনেকেই জানেন। ফারাক্কা বাঁধ যে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে এই অনুধাবন থেকে বাঁধ অপসারণের দাবিতে ১৯৭৬ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে লংবার ছুড়েছিলেন। তার সঙ্গী হয়েছিলো লাখো জনতা। ফারাক্কা বাঁধ শুধু বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবেশগত বিপর্যয় এবং বিপুল আর্থিক ক্ষতির কারণই হয়ে উঠেনি, পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ বা বিহার উত্তর প্রদেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে অসংখ্য বাঁধ অপসারণের নজর রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধের বেলায় ভারত সরকার কি সিদ্ধান্ত নিবে কেবল সময়ই বলতে পারে। হয়তো এখনো সময় রয়েছে। হয়তো নেই। তারপর ও আশা জাগে হয়তো একদিন যৌবন ফিরে পারে পদ্মা। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল আবার মুখর হয়ে উঠবে প্রাণপ্রাচুর্যে। নদী ভাঙ্গনের ফলে ঘর বাড়ি হারাতে হবে না মালদা মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষদের। বন্যায় ভাসবে না বিহার, উত্তর প্রদেশ।

No comments

Powered by Blogger.