Adsterra

পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে এবার কিসের উত্তেজনা

 

পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে এবার কিসের উত্তেজনা, ঢাকা ভয়েজ  dhaka voice;


পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ মানেই যেন এখন অন্য রকম এক আবহ। ভেন্যু বদলায়, ম্যাচের ধরন বদলায়তবু পাক-আফগান ম্যাচে থেকে যায় উত্তেজনার রেশ। 
হাম্বানটোটায় গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান। ম্যাচের শেষ ওভারের জন্যই যেন জমা ছিল সব রোমাঞ্চ। পাকিস্তানের জিততে যখন ১১ রান দরকার, বোলিংয়ে আসেন ফজলহক ফারুকি। প্রথম বলে শাদাব খানকে মানকাডিং করেন ফারুকি। পাকিস্তানের তখন উইকেট শেষ। একপর্যায়ে শেষ দুই বলে পাকিস্তানের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় রানের। ফারুকির বলে আউটসাইড এজ হয়ে শর্ট থার্ড পেরিয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর দেখা যায় হেলমেট, গ্লাভস খুলে নাসিমের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস। 

রুদ্ধশ্বাস জয়ের রেশ থেকে গেছে ম্যাচ শেষেও। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। শাহিন যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন বাবর আজম তাঁকে ফিরিয়ে এনেছেন। এরপর বাবরের দিকে রাগান্বিত হয়ে যান নাসিম। পাকিস্তানি পেসার কিছু একটা ব্যাপারে অভিযোগ করছিলেন। কী নিয়ে নাসিমের অভিযোগ, তা জানা না গেলেও গুঞ্জন চলছে শাদাবের মানকাডিং আউট নিয়ে। যেখানে দেখা গেছে, ফারুকি ক্রিজে পা রাখতে যাবেন, সে সময় ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যান শাদাব। আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার সুযোগ বুঝে রানআউট করে দেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে শাদাবকে আউট দেওয়া হয়। 

শাদাবের আউট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম মন্তব্য করতে দেখা যায়। পাকিস্তানি পেসার শাহনাওয়াজ দাহানি টুইটারে মানকাডিংয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। টুইটারে ভক্ত-সমর্থকদের একজন পোস্ট করেন, ফারুকি এটা আজীবন মনে রাখবেন। কেউ একজন টুইট করেন, নাসিম শাহ আফগানিস্তানের লড়াই মানে বিশেষ কিছু। নাসিমও ম্যাচ শেষে এই জয় উৎসর্গ করেন। ম্যাচ শেষে নাসিম এই জয় উৎসর্গ করেন শাদাবকে। 
 
এর আগে ২০২২ এশিয়া কাপেও দেখা গেছে পাক-আফগান উত্তেজনার মুহূর্ত। আসিফ আলির উইকেট নিয়ে তর্কে জড়ান ফরিদ আহমাদ। সেবারও উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। শারজায় সুপার ফোরের সেই ম্যাচে তখন পাকিস্তানের জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান, হাতে ছিল উইকেট। ফারুকির করা প্রথম দুই বলে টানা দুটি ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছিলেন নাসিম। পাকিস্তানও চলে গিয়েছিল এশিয়া কাপের ফাইনালে।

No comments

Powered by Blogger.