নতুন মায়েদের জন্য যে সাতটি খাবার নিষিদ্ধ || লিখেছেন ডা. আবিদা সুলতানা

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার আছে যা মায়েদের এড়িয়ে চলতে হয়। অনেক সময় দেখা গেছে এই খাবারগুলো খাওয়ার পর বাচ্চারা মায়ের দুধ পেতে চায় না, অথবা দুধ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই মায়েদের সচেতন থাকতে হবে সর্বক্ষণ। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না যাতে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

 

• লেবু জাতীয় ফল : লেবু জাতীয় সকল ফল এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এ জাতীয় ফলে অ্যাসিড থাকে যা শিশুর বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি শিশু শরীরের র‍্যাশ বা এলার্জি দেখা দিতে পারে। আপনি লেবুর  পরিবর্তে অন্য ভিটামিন সি এর উৎস যেমন:- পেঁপে, আম খেতে পারেন। 

 

•  চকলেট : এই সময় আপনার প্রিয় চকলেট খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। চকলেট বিশেষ করে ডার্ক চকলেট এ ক্যাফেইন থাকে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। চকলেট খাওয়ার পর দুধ খেলে আপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয় তবে চকলেট খাওয়া বন্ধ করে দিন।

 

• ব্রকলি : ব্রকলির পুষ্টিগুণ অনেক কিন্তু বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রকলি, ফুলকপি জাতীয় গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে যা বাচ্চার ক্ষতি করে। 

 

• কফি : আপনি যদি কফি বা চা পান করেন তখন ক্যাফেইনের কিছু অংশ দুধের সাথে মিশে যায়। ছোট শিশুদের বড়দের মতো ক্যাফেইন শোষণ করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে ওদের পেট ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তাই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

 

•  রসুন : আপনার যদি কাঁচা রসুন বা কাঁচা রসুনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।  রসুনের গন্ধ বুকের দুধের মধ্যে আসে যা আপনার বাচ্চা পছন্দ নাও করতে পারে। 

 

• কিছু মাছ :  প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে মাছে। কিন্তু কিছু মাছ যেমন:- টুনা  মাছ, আঁশযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

 

• দুগ্ধজাত খাবার : দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই জাতীয় খাবার সহজে হজম করতে পারে না। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন। চিজ, পনির, অন্য কোনো দুগ্ধ জাতীয় খাবার মা খেলে তা দুধের মাধ্যমে শিশু শরীরে চলে যায়। এতে শিশুর হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস এবং পেট ব্যথা সহ অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

- Dr. Abida Sultana

শেয়ার করে অন্যকে পয়রার সুযোগ করে দিন

 ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি