'কার্তিক কলিং কার্তিক’ সিনেমায় ফারহান আখতারের অভিষেক হয়েছিল যেভাবে
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিপায় ফারহান আখতার অভিনীত প্রথম সিনেমা 'কার্তিক কলিং কার্তিক '। যার আইএমডিবি রেটিং ছিলো ১০ এ ৭। সিনেমার কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। সিনেমাটি সেই সময়ে নির্মান করাটা ছিলো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। ফারহানের বলা যায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা প্রথম সিনেমা এবং দীপিকার জন্যেও যথেষ্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম বলা যায়। হালের ক্রেজদের বাদ দিয়ে প্রথমত ফারহানকে নেওয়ার পিছনে যে মজার ঘটনা তা হলো, ফারহান চাননি এত দ্রুত অভিনয়ে আসতে। তিনি বলেছিলেন আমি একজন নির্মাতা সেখানেই আমি সাচ্ছন্দ্য পাই এবং প্রযোজনা করি। তবে পরিচালক ফারহানকে রাজি করান।
ফারহানকে
নেবার কারনঃ যখন ফারহানের বাবা- মা (জাভেদ আকতার ও শাবানা আজমির)
বিচ্ছেদ ঘটে তখন ফারহান বাস্তব জীবনে সাইকোলজিক্যালী সিকড ছিলেন। 'দিল চা তা হ্যায়'
সিনেমা বানানোর আগে তিনি ২ বছর টানা
একই ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্দী রেখেছিলেন। সিনেমা তাকে হিপনোটাইজড করে রাখতো। তিনি বিভিন্ন সিনেমার পোস্টার এবং সিনেমার ক্যারেক্টর নিজের মধ্যে ধারন করে নিজের সাথে কথা বলতেন। ঠিক তেমনই সিনেমার কার্তিক ক্যারেক্টরটাও অনেকটা একই রকম। যে নিজের সাথে
নিজেই কথা বলে এবং সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত। যাকে প্রভাবিত করে একটা ল্যান্ড ফোন কল। এক অদ্ভুত ল্যান্ড
ফোন যেখানে নিজের কথা, ম্যাসেজ এবং টাইম সেইভ রাখা যায়। যে নিজেই নিজেকে
অপরাধী ভাবতে থাকে এমনকি কল্পনায় ভাবে সে তার কল্পিত
নিজের ভাইকে খুন করেছে।
সিনেমায়
নতুন যা যা বিষয় যুক্ত হয়েছেঃ ভারতে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরার সিনেমায় এক নতুন অধ্যায়ের
সূচনা করেছিলো সিনেমাটি। যুগের চেয়েও advance এই সিনেমা তখনকার
দর্শকদের কাছে আগ্রহ জাগাতে পারেনি। সিনেমাটি মুক্তির কয়েকবছর পর বিশেষ করে
ভারতে সাইকোপ্যাথ সিনেমা তৈরি হবার পর থেকে এই
সিনেমাকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হতে থাকে। সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশেষ করে একদম সিনেমার শুরুতে যা ইউজ করা
হয়েছে তা establish scene হিসেবে unique বিষয় ধারন করেছে৷ সিনেমায় কালারের যে ব্যবহার করা
হয়েছে তা ভারতের আগে
কোনো সাইকোপ্যাথ মুভিতে করা হয়নি। বিশেষ করে সিনেমার শুরুতে ফারহান যখন শুয়ে থাকে তখন তার মুখের এক পাশ সোনালী
আর এক পাশ ডার্ক
যা তার সাহসী এবং ভীতু দুটো চরিত্রকেই তুলে ধরেছে। তার প্রতিবিম্ব মানে তার ফোনের প্রতিধ্বনি যথেষ্ট সাহসী, অনুপ্রেরণাদাতা এবং বুদ্ধিমান। অন্যদিকে ব্যক্তি ফারহান তার উল্টো। ফারহান যখন দ্বন্দ্ব এবং সংশয়ে থাকেন তখন লাল এবং কালো দুটি রং এর ব্যবহার
হতো। লাল সব সময় বিপদ
সংকেত দেয় আর কালো অন্ধকার
নিয়ে আসে। তবে যখন দেখা যেতো পজিটিভ কিছু হচ্ছে তখন সাদা এবং সোনালী রং ব্যবহার হতো।
এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট দুর্দান্ত ছিলো। বিশেষ করে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের মস্তিষ্ক ইউনিক এবং জটিল। আমাদের ২ টা মাইন্ড
আছে ১। কনশাস ২।
সাবকনশাস তবে যারা মানসিক ডিজওর্ডারে ভোগে তারা এই দুটোর মাঝে
থাকে।
No comments