জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায় - লিখেছেন ডা. আবিদা সুলতানা

সবাই সুখী হতে চায়। যদিও সুখের সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে একেক রকম। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সত্যিকার অর্থে সুখী তারা  নিচের এই পাঁচটি গুণের অধিকারী। দেখে নিন সেগুলো কী কী-

 

•  ক্ষমা করার মানসিকতা : রাগ, দুঃখ, অভিমান, ঘৃণা- ভুলে যান। কেউ আপনাকে কখনো কোনো কষ্ট বা দুঃখ দিয়ে থাকলে তাকে ক্ষমা করে দিন। শেষ পর্যন্ত যে এতে নিজেরই ভালো হবে, ‘শান্তি’ পাবেন মনে।  

• বিশ্বাস রাখুন : নিজের যোগ্যতা এবং ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আত্মবিশ্বাস ছাড়া সুখ কাছে পাওয়া সম্ভব নয়

এর সঙ্গে আপনাকে অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে। আশায় যে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে! আমার দ্বারা হবে না!, পারব না!, আশা করে কি লাভ!- এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে।  

•  কৃতজ্ঞতা বোধ : জীবনে যা পেয়েছেন কিংবা যা পাননি, তা মেনে নিন। সাফল্য আসবে ভেবে নিয়ে নতুন কিছু করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। সুখ এবং দুঃখ জীবনেরই অঙ্গ। তাই কষ্ট পেলে ভেঙে পড়বেন না। দুঃখকে মোকাবেলা করতে হবে। তাছাড়া  ‘দুঃখ’ কি তা না জানলে আসল সুখের মূল্য বুঝতে পারবেন কি?  

• কৌতূহল :  নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করায় আগ্রহী হতে হবে। জীবনে একঘেয়েমি দূর করতে প্রয়োজন  নতুন অভিজ্ঞতার। এর মধ্যে দিয়ে খুঁজে বের করা যাবে বা বোঝা যাবে  কে কি চায়। 

• নিজেকে ভালবাসুন : নিজে কি করছেন, কি করতে পারেন বা কতটুকু করলে ভালো লাগে, সবকিছু নিয়েই ইতিবাচক চিন্তা করুন। নিজে থেকে আশা ছেড়ে দেওয়া মানে ইচ্ছে করে ভাগ্যকে ‘না’ করা বা মেনে না নেওয়া। যে মানুষটি শুধু নিজের যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে, সে-ই কেবল নিজেকে ভালবাসতে পারে এবং অন্য কেউ ভালোবাসা দিতে পারে। 

• অভিজ্ঞতা : জার্মান এক জ্যোতিষী তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, সুখী হওয়ার মন্ত্রই হচ্ছে বাস্তবকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে চলা। যেসব মানুষ ‘ইতিবাচক’ চিন্তা করেন, তাঁরাই জীবনে সত্যিকারের সুখি ও সফল হয়েছেন।

- ডা. আবিদা সুলতানা 

শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন। 

 ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি