‘দুই মিনিটের সুখের জন্য’ কিশোরীদের নিয়ন্ত্রণ না হারাতে বললেন কলকাতা হাইকোর্ট
একটি ধর্ষণ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এক যুবকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্য কতগুলো পরামর্শ দিয়েছেন। এসব পরামর্শে কিশোরীদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ এবং কিশোরদের বিপরীত লিঙ্গের মর্যাদা ও শারীরিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার এ বিষয়ে এনডিটিভিসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এক কিশোরীর সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ছিল নির্দোষ দাবি করা যুবকের। সম্পর্কে থাকাকালীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত বছর যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে যুবকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে বেকসুর খালাস দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক চিত্তরঞ্জন দাস এবং পার্থসারথি সেনের বেঞ্চ। কারণ ওই আবেদনের শুনানিতে কিশোরী মেয়েটি আদালতকে জানায়, সে তার নিজের ইচ্ছায় ওই সম্পর্কে ছিল এবং পরে তারা বিয়েও করেছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে অপ্রাপ্তবয়সে যৌন সম্পর্ক করলে ভারতীয় ‘পকসো ধারা’ প্রয়োগের ফলে যে ধরনের আইনি জটিলতা তৈরি হয়—তা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারক চিত্ত রঞ্জন দাশ এবং পার্থ সারথি সেন স্কুলগুলোতে বড় পরিসরে যৌন শিক্ষার আহ্বান জানান।
এ সময় বিচারক দ্বয় কিশোরীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন এবং দুই মিনিটের আনন্দের কাছে কিশোরীদের নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানান।
বেঞ্চের রায়ে বলা হয়—শরীরের অখণ্ডতা, মর্যাদা এবং আত্মসম্মানের অধিকার রক্ষা করা অল্পবয়সী মেয়েদের কর্তব্য। অন্যদিকে, একজন কিশোরের কর্তব্য হলো, একটি অল্পবয়সী মেয়ের উপরিউক্ত কর্তব্যগুলোকে সম্মান করা।
No comments