Adsterra

রঞ্জনা, যে সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেকে বাজিমাত করেছিলেন ধানুশ

রঞ্জনা, যে সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেকে বাজিমাত করেছিলেন ধানুশ

রঞ্জনা, যে সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেকে বাজিমাত করেছিলেন ধানুশ

আনন্দ এল রায় পরিচালিত রোমান্টিক-ড্রামা ঘরনার রঞ্জনা সিনেমাটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায়। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন তামিল সুপারস্টার ধানুশ, সোনাম কাপুর, অভয় দেওল সহ আরও অনেকেই। ২০১৩ সালের সেরা ১০ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় এই সিনেমাটি ছিলো। মুক্তির পর মাত্র সপ্তাহে ভারতের বক্স অফিস থেকে সিনেমাটি আয় করে ৭০ কোটি রুপি। 

রঞ্জনা শব্দের অর্থ হলো প্রিয়তমা। প্রিয়তমার জন্য একজন প্রেমিক কি কি করতে পারে এই সিনেমায় সেটা দেখা যায়। বেনারসি গ্রামের পুরোহিতের ছেলে কুন্দন এক মুসলিম প্রফেসরের মেয়ে জয়াকে ভালোবাসে সেই স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে। কুন্দন এবং জয়ার প্রেম কাহিনী গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে জয়ার মেয়েকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেন পড়াশুনা করাতে। সেখানে গিয়ে জয়ার সাথে কলেজের নেতা আকরামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। অনেক বছর পর জয়া কলেজের ছুটিতে গ্রামে আসে। এরপর আবার কুন্দনের সাথে তার দেখা হয়, সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ছোটবেলার বন্ধুত্ব অটুট থাকে। জয়ার প্রথম বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ের আসরে পাত্রের খারাপ চরিত্রের বিষয়গুলো প্রকাশ পায় এবং জয়ার বাবা সেই বিয়ে ভেঙ্গে দেন। এরপর জয়া ক্যাম্পাসে ফিরে আকরামের সাথে রাজনৈতিক কাজে সক্রিয় হয়ে উঠে এবং তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু এবার বিয়ের আগেই আকরামকে খুন করে বিরোধী দলের সদস্যরা। বিষয়টি কুন্দন একদমই মেনে নিতে পারেনা। আকরামকে শয্যাশায়ী অবস্থায় কুন্দন কথা দেয় যে সে রাজনীতিতে অংশ নিবে এবং আকরামের হয়ে দলের পক্ষে লড়াই করবে। এদিকে জয়া মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে, সে আকরামের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনা। এখন কুন্দন কি আকরামের হয়ে লড়াই করে দলকে জয়ী করতে পারবে? পারবে জয়ার মুখে হাসি ফুটাতে? জয়ার জীবনটা আসলে রক্তকরবীর নন্দিনীর মতোই হয়ে যায়। হাসিখুশি জয়ার মুখের হাসি কেড়ে নেয় রাজনীতি নামের নোংরা খেলা। এই সিনেমাটি ধানুষকে বলিউডে চিনিয়েছে। সোনাম কাপুরের ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা বলেই অনেকে মনে করেন। যদিও এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো শাহেদ কাপুর এবং সোনাক্ষি সিনহাকে কিন্তু তাদের আরেকটি সিনেমারাজ রাজকুমার’(যা পরবর্তীতে ব্যবসা সফল হয়) শিডিউল থাকায় তাদের আর এই ছবিতে কাজ করা হয়ে উঠেনি। পরিচালক হিসেবে আনন্দ এল রায় তখন বেশ সফল। তাদের বিগত দুটি সিনেমাতানু ওয়েডস মানুএবং তার সিক্যুয়াল বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো। কাজেই তিনি এই সিনেমা দিয়ে ব্যবসা সফল সিনেমার হ্যাট্রিক করেন। এই সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন আর রহমান। সিনেমার প্রতিটি গানই ছিলো বেশ শ্রুতিমধুর।




writer - saad drubo

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.