কীভাবে একজন অসামান্য জনপ্রিয় লেখক হয়ে উঠবেন?
ভারতীয় লেখক প্রীতি শিনয় তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। তাঁর প্রতিটি উপন্যাসই বেস্ট সেলার। তিনি ২০১৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ফোর্বস নির্বাচিত ১০০ প্রভাবশালী লেখকের তালিকায় স্থান পেয়ে আসছেন। ব্র্যান্ডস একাডেমি থেকে পেয়েছেন বর্ষসেরা ভারতীয় পুরস্কার। তরুণ লেখকদের উদ্দেশে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম।
১. লেখালেখিকে ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসা ছাড়া কোনো কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা যায় না। আপনি যে কাজই করুন না কেন তা ভালোবেসে করতে হবে।
২. পরিশ্রম করতে হবে কঠোরভাবে। আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। প্রথম বই প্রকাশে তেমন বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু আমার দ্বিতীয় বই প্রকাশকেরা অসংখ্যবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। কঠোরভাবে পরিশ্রম করে গেছি। এখন আমার বইয়ের সংখ্যা ১৩টি। অনেক বই হিন্দি, মারাঠি, তেলেগু, মালয়ালাম, তুর্কি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এসবই সম্ভব হয়েছে কঠোর পরিশ্রমের কারণে।
৩. নিজের প্রকাশভঙ্গির ওপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকুন। আপনি আপনার লেখাকে কীভাবে প্রকাশ করবেন তার একটি নিজস্ব ভঙ্গি তৈরি করুন। এমনভাবে লিখুন যেন আপনার প্রকাশভঙ্গিটা আবেগময় হয়। পাঠক যেন সহজেই আবেগাক্রান্ত হতে পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। কোনো পাঠক আবেগাক্রান্ত হলে তিনি সহজেই তাঁর বন্ধুর কাছে আবেগের বিষয়টি জানাবেন। এভাবে আপনার লেখা ছড়িয়ে পড়বে।
৪. লিখতে হবে নিয়মিত। লেখার মধ্যে বিরতি দেওয়া চলবে না। মনে রাখতে হবে, লেখালেখি একটি নিয়মতান্ত্রিক কাজ। আমি ১২ বছরে ১৩টি বই লিখেছি। কোনো বছর বিরতি দিইনি। প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের লেখার টেবিলে বসুন এবং কিছু না কিছু লিখুন। লেখালেখি একটি নিরন্তর অভ্যাসের ফল।
৫. লেখায় বৈচিত্র্য আনুন। আমি আমার প্রতিটি বইয়েই ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছি। যার জন্য আমার সব বই তথাকথিত ‘লাভ স্টোরি’ নয়। আমার লেখায় লিঙ্গ বৈষম্য, প্রবীণদের অবহেলা, মানসিক স্বাস্থ্য, আত্ম-উন্নয়ন ইত্যাদি স্থান পায়। অবশ্যই চরিত্রের প্রয়োজনে আমি এসব বিষয় যুক্ত করি। আপনার ও আপনাদের লেখায় বৈচিত্র্য আনুন এবং নিয়মিত লিখুন।
No comments