Adsterra

কারাগারে থেকেই শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তারা

 

কারাগারে থেকেই শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তারা, ঢাকা ভয়েজ,  dhaka voice;

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরানি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি। শুক্রবার বিকেলে নোবেলজয়ী হিসেবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি যখন তার নাম ঘোষণা করে তখনো তিনি ইরানের একটি কারাগারে বন্দি। তবে বাকস্বাধীনতা মানবাধিকারের এই লড়াকু সৈনিকই কারাগারে থাকা অবস্থায় নোবেল পাননি। তার আগে আরও চারজন কারাবন্দি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন।


১৯৩৫ : ভন অজিয়েস্কি, জার্মানি

ভন অজিয়েস্কি ১৯৩৫ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাকস্বাধীনতা শান্তির সপক্ষে উজ্জ্বল অবস্থানের কারণে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে পুরস্কার পাওয়ার পর তা গ্রহণ করতে তিনি যেন নরওয়েতে যেতে না পারেন সে কারণে তাকে জেলে পাঠান হিটলার। এমনকি তাকে নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল।

১৯৩৩ সালে হিটলারের ক্ষমতা দখলের আগে বার্লিনে পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত করা হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এই জার্মান নাগরিককে। সে সময় হিটলার এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তিনি কোনো জার্মান নাগরিককে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আইন চালু করেন।


১৯৯১ : অং সান সু চি, মিয়ানমার

মিয়ানমারে ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো গৃহবন্দি হন অং সান সু চি। এরপর ১৯৯১ সালে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তবে সু চি গৃহবন্দি থাকায় ১৯৯১ সালের ওই অনুষ্ঠানে তার পক্ষে দুই ছেলে তার স্বামী পুরস্কার গ্রহণ করেন। তবে তার সম্মানে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে মুক্ত হয়ে ২০১২ সালে ঐতিহ্যবাহী নোবেল বক্তৃতা দেন সু চি।

২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করলে সু চি আবারও কারাবন্দি হন। বিভিন্ন মামলায় তাকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তার সাজা ছয় বছর কমানো হয়েছে। জান্তা সরকারের বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে- ৭৮ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি হিসেবেই রাখা হবে।


২০১০ : লিউ শিয়াবো, চীন

লিউ শিয়াবো একজন চীনা মানবাধিকারকর্মী। চীনে অহিংস উপায়ে মৌলিক মানবাধিকারের আন্দোলন করে ২০১০ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। তবে পুরস্কার লাভের মাত্র এক বছর আগে তাকে জেলে পাঠানো হয়।

চীনে ক্ষমতার দান উলটে দেওয়ার কুশীলব অভিযোগে তাকে বিচার করে জেলে পাঠানো হয়। তার ১১ বছরের জেল হয়েছিল। তিনি চীনের একদলীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। উত্তর-পূর্ব চীনের একটি হাসপাতালে লিভার ক্যান্সারে ৬১ বছর বয়সে কারাবন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


২০২২ : অ্যালেস বিলিয়াতস্কি, বেলারুশ

গত বছর বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগের বছর ২০২১ সালে বেলারুশে বিতর্কিত নির্বাচনের সময় বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে তাকে গ্রেপ্তার করে সরকার। এরপর তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিলিয়াতস্কির সমর্থকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর প্রতিশোধমূলক আচরণের কারণেই বিলিয়াতস্কিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ১৯৮০-এর দশকে পশ্চিম ইউরোপে ৬০ বছর বয়সী বিয়ালিয়াস্কি মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেন। লুকাশেঙ্কো রুশদের ছায়ায় যখন বেলারুশকে গড়ে তুলতে চাইছিলেন তখনো তিনি প্রতিবাদ করেন।

 

No comments

Powered by Blogger.