খনিয়াদিঘি মসজিদ, বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য
খনিয়াদিঘি মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। এটি আনুমানিক ১৫'দশ শতকে নির্মিত হয়েছিলো, যা গৌড়ের প্রাচীন কৃতিগুলোর অন্যতম মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দে কোন এক রাজবিবি মসজিদটি নির্মাণ করেন।
১৪৫০ থেকে ১৫৬৫
খ্রিষ্টাব্দ অবধি গৌড় ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী। এ সময়ই এ মসজিদটি নির্মিত
হয়েছিল। এই মসজিদের পাশে বিশাল এক দিঘি রয়েছে যার নাম খনিয়া দিঘী নামে পরিচিত।
কাছাকাছি আরেকটি মসজিদের নাম দারাসবাড়ি মসজিদ। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত
হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান।
এই মসজিদটি
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ
থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি.।
এই মসজিদের মূল
গম্বুজটির নিচের ইমারত বর্গাকারে তৈরী,
যার প্রতিটি
বাহু ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। বড় কামরার সামনের দিকে একটি বারান্দা ছিল, যার অবশিষ্টাংশ বর্তমানে দেখা যায়। মসজিদটি ইটের তৈরী, বাইরেে দিকে সুন্দর কারুকাজ করা।
বর্তমানে খঞ্জনদীঘির মসজিদটির একটি মাত্র গম্বুজ ও দেয়ালের কিছু অংশ টিকে আছে।
কিন্তু এগুলোর অবস্থাও খুব জীর্ণ আকার ধারণ করেছে।
মসজিদটি দেখতে প্রায় মালদার চামকাটি মসজিদের মত।। এটি স্থানীয়ভাবে চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত।
No comments