Adsterra

তাপস-বুবলীর সম্পর্ক নিয়ে অপু-মুন্নীর ফোনালাপ ফাঁস

তাপস-বুবলীর সম্পর্ক নিয়ে অপু-মুন্নীর ফোনালাপ ফাঁস! ঢাকা ভয়েজ,  dhaka voice; গানবাংলা টেলিভিশন, কৌশিক হোসেন তাপস, অভিনেত্রী শবনম বুবলী, অপু বিশ্বাস


এই তো সেদিন গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নীর সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে তার স্বামী সংগীতশিল্পী ও গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস ও অভিনেত্রী শবনম বুবলীকে জড়িয়ে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। সেখানে জানানো হয়, তাপসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বুবলীর। অবশ্য পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মুন্নী। অভিযোগটি উড়িয়ে দিয়ে জানান তার ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল।


এদিকে সেই রেশ কাটতেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি কল রেকর্ড। বলা হয়েছে কল রেকর্ডটি মুন্নী ও অপু বিশ্বাসের মধ্যাকার। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই ফোন আলাপ।


শুরুতেই অপু বিশ্বাসকে মুন্নী বলেন, ‘সেদিন রাত তিনটার দিকে আমি ভিডিও কল দেই তাপসকে। সেসময় বুবলী তাপসের সঙ্গে ছিল। আমি জানতাম সেটা। কিন্তু আমি তাপসকে ফোন দিয়ে বুবলীকে চাইতেই সে আর সামনে আসেনি। বাথরুমে লুকিয়ে ছিল। তখনই তো আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি। রাত সাড়ে তিনটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত স্ট্যাটাস থাকল। পরে তাপসের সঙ্গে বসার পরে আমি স্ট্যাটাস দিলাম।’


এরপর অপুর উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘দেখো অপু, আমি তো সংসার করি। সে (তাপস) তো আমার স্বামী। এতক্ষণ যে স্ট্যাটাসটা ছিল। আমার কিছুই হ্যাক হয়নি শুধু স্ট্যাটাস হ্যাক হয়েছে না? কী বলব বলো! মেয়েরাও আমাকে বলল তুমি লিখে দাও আইডি হ্যাক হয়েছে। পরে আমি দিলাম। আমি অসুস্থ হয়ে গেছি।’


এ সময় বুবলীর ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে মুন্নীকে বলতে শোনা যায়, ‘ওর বিচার আল্লাহ করবে। এই মেয়েটার কথা কী বলব জানি না। আমি পৃথিবীর সবাইকে ভালো মনে করি। সবার ভেতর পজিটিভ এনার্জি খুঁজে পাই। আমার মতো মেয়ে ফেসবুকে লিখেছে! তুমি বোঝো নাই! আমার মাথা তো ঠিক নাই। এই মেয়েটা না...! আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম তোমার লজ্জা লাগে না? তুমি জানো না আমরা বিবাহিত? তাপসের সাথে রাতকে রাত বসে থাক। তোমার লজ্জা করে না একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সাথে এমন করছ, খারাপ লাগে না? আমার কথা শুনে ও হাসল। ওর হাসি দেখে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি অবাক যে একটা মানুষ এত লজ্জাহীন হয়!’


অপুর উদ্দেশে আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন মুন্নীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার এত খারাপ লেগেছে ওর হাসি দেখে। আমার একটা নাম আছে। আমাকে সবাই এত সম্মান করে। এত ভালোবাসে বাংলাদেশের মানুষ। আমার তিনটা মেয়ে আছে। আমাকে এটা মানায় না। আমি এটা করে ফেলেছি। আমি এরকম মেয়ে জীবনে দেখিনি। আমার তো বয়স হয়েছে। তোমরা তো ছোট। আমি অনেক কিছু দেখে এতদূর আসছি।’


বুবলী মূলত শাকিব খানের ওপর প্রতিশোধ নিতে তাপসের সঙ্গে ভিড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা কী জানো? ও এগুলো শুরু করেছে শাকিবের ওপর প্রতিশোধ নিতে। প্রথমে আমি তো বুঝিনি এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। আমি তো ওর সঙ্গে বসেছি। ওর সঙ্গে কথা বলতাম। শাকিব যখন তোমার সঙ্গে ক্লোজ হওয়া শুরু করল তখনই ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। শাকিব আর তোমার প্রতি ও প্রতিশোধ নিতে চায়। সে এজন্য টার্গেট করেছে তাপসকে। এই মেয়ে এত প্রভাবিত করতে পারে ছেলেদের তুমি ধারণাই করতে পারবে না। এই মেয়েটা ভয়ংকর। ও শাকিবকে ধ্বংস করবেই। আজ হোক আর দশ বছর পরে হোক। এসব মেয়েদের কখনও অবমূল্যায়ন কোরো না। ওর এত ছোট একটা বাচ্চা। আমি না বুঝতাম না। বাচ্চাকে স্কুলে দিল। কিন্তু সারাটা রাত এখানে বসে থাকে। একটাবার খোঁজও নেয় না।’


অপুকে তিনি বলেন, ‘আমি তো তিনটা বাচ্চার মা। আমি তো বাচ্চা পালি। আমার মেয়েরা বড় হয়ে গেছে। সারাটা রাত এখানে বসে থাকে। বাচ্চাটাকে একটাবার ফোনও করে না। কী যে ধৈর্য এই মেয়েটার! সারাটা রাত বসে থাকে। একদম দুপুর পর্যন্ত। তাপস যতক্ষণ থাকবে ও ততক্ষণ আছে। এমন ধৈর্যশীল মেয়ে আমি দেখিনি। আমি তো জিজ্ঞেস করি তোমার বাচ্চাকে স্কুলে নাও না। আমি তো এখন যাই না অফিসে। যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। যখন বাচ্চার স্কুল থাকে না তখন সে দুপুর পর্যন্ত থাকে। আমি না দুই তিনদিন নিতে নিতে না আরি পারি নাই। এটা কী ধরনের মেয়ে মানুষ আমি বোঝাতে পারব না। তাপস যদি বলে বুবলী ডানে যাও ও ডানে যাবে। বুবলী তুমি দাঁড়াও, বুবলী এটা করো, মিডিয়ায় এটা বলবা না, এটা লিখ। ও তাই করবে। মানে ছেলেরা যেটা পছন্দ করে মেয়ে মানুষের সেটাই হচ্ছে বুবলী। এই ডেন্জারাস মেয়েকে কীসের সাথে তুলনা দেব জানি না। আমাকে অফিসের অনেকে বলেছে। ভাবি আপনি অফিসে বসে থাকেন। আমি পারতেছি না। চোখের সামনে ওপেনলি করতেছে তো। এই যে তোমার সাথে কথা বলছি আমার হাত কাঁপছে। চোখের সামনে করে। আমি ওকে কোনো মেয়ের ক্যাটাগরিতে ফেলব না। এত ডেন্জারাস!  সোসাইটিতে ফারজানা মুন্নীর একটা ভ্যালু আছে। সবাই আমাকে আদর করে, সম্মান করে। আমার ক্যারিয়ার সবকিছু ছেড়েছি তাপসের জন্য। আমি শুধু তাপস তাপস করলাম।’


সংসার ধ্বংসে বুবলী পটু মনে করেন মুন্নী। বলতে শোনা যায়, ‘যেকোনো সংসার ধ্বংস করার জন্য এই মেয়ে যথেষ্ঠ। এই তাপসকে আমি চিনি না। তুমি জানো না কী হচ্ছে দুইজনের। আমি বলতে পারব না। তাপসের সঙ্গে আমার ১৫ বছরের সম্পর্ক। এগারো বছরের বিয়ে। ও শাকিবকে ধ্বংস করবে। ও তো তাপসকে ব্যবহার করছে। তাপস বুঝতেছে না। সে শাকিবকে শেষ করতে চায়। শাকিবকে খুন করতে চায়। কিন্তু প্রতিশোধটা নিতে পারছে না। এজন্য তাপসকে টার্গেট করেছে। তাপস বুঝতেছে না।’


বুবলী দিন-রাত গানবাংলা টেলিভিশনের অফিসে পড়ে থাকেন বলে জানালেন মুন্নী। চ্যানেলটির নিজস্ব গাড়িতে তাকে আনা-নেওয়া করা হয়। তার কথায়, ‘বুবলী কোনোদিন বাসায় থাকে না। কোনো সংবাদিক দিয়ে ওর বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করাও যে, ও কয়টার সময় বের হয় আর কয়টার সময় বাসায় আসে! গানবাংলার গাড়ি কয়টায় ঢোকে, কয়টায় নামিয়ে দিয়ে যায়! আমি হা হয়ে থাকি। কী হচ্ছে এসব! একটা মেয়ে সারাটাক্ষণ তাপসের সঙ্গে থাকে। ওর মতো ভালো মেয়ে নাকি তাপস কখনও দেখেনি।’


অপুকে মুঠোফোনে মুন্নী আরও বলেন, ‘শাকিব নাকি ওর বাসার নিচে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে। ও বাচ্চাকে দেখতে দেয় না। শাকিবের বাবা মাকে দেখতে দেয় না। ও সবার সামনে গান বাংলায় চলে আসে। তারপর তোমার শশুর শাশুড়ি নাকি একদিন বাসায় ঢুকে বাচ্চাকে দেখেছে। ও কারও সাথে কথা বলে না। ও এখন মজাটা নিচ্ছে। যেহেতু তাপসের সাথে রিলেশন। তাপসকে বোঝাতে চাচ্ছে শাকিবের বাবা মা চাচ্ছে বুবলী আর শাকিবের সম্পর্ক  ঠিক করতে কিন্তু বুবলী তা করবে না। দেখো না ও চুপ করে আছে। কোনো স্টেটমেন্ট দিচ্ছে না। ওর বাচ্চাকে দিয়ে তোমার বাচ্চার জন্মদিনে ভিডিও দিয়েছে। সব তাপসের বুদ্ধিতে। বুবলী কিন্তু এখন চেন্জ। তাপস জোর করে আমাকে দিয়ে ওর ফটোশুট করাল। বুবলীকে নিয়ে যে কী করছে। আর বুবলীও যে কী করছে। শাকিবকে পাত্তা দিচ্ছে না এসব বলে বলে তাপসকে বোঝায়। ও মিথ্যা কথাগুলো তাপসকে বানিয়ে বানিয়ে বলে। তাপস বোঝে ও এখন তাপস ছাড়া কিছু বোঝে না। ও মাই গড, তাপসের সেন্স নাই। আমি কনফিউজড হয়ে যাই এই তাপসকে দেখে। আমি জানি না বুবলী কী যাদু জানে। কী কী বলে যেন স্টোরি বানায়। সেসব তাপসকে বলে।’


তবে ফোনালপটি কে বা কারা ফাঁস তা জানা যায়নি। সেইসঙ্গে অপুর কথাবার্তাও শোনা যায়নি। তার প্রতিউত্তরগুলো যে কেটে দেওয়া হয়েছে সেটি বোঝা যাচ্ছে। তবে ফোনের অপর প্রান্তে যে অপু ছিলেন তার প্রমাণ মেলে অপু নাম ধরে তার সঙ্গে মুন্নীর কথা বলায়।


এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ও সত্যতা যাচাই করতে অপু বিশ্বাস ও ফারজানা মুন্নীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের দুজনের ফোন-ই বন্ধ পাওয়া যায়।


No comments

Powered by Blogger.