বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার কমেছে
ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা চায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে কোনো ভাটা না পড়ে।’
গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব বলেন। জাপানিরা বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ খাত, বন্দর ও পর্যটন নিয়ে আগ্রহ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা-নয়াদিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক, ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) যোগ দিতে আগামী ২৩ নভেম্বর ভারত যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এই বৈঠকে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি রুটিন ওয়ার্ক (নিয়মিত বৈঠক)। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।’ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আলাপ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তো ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়েই গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো আগেই আলোচনা করেছেন। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।’
কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি ‘ভেরি স্ট্রং প্রসেসেস’ (মজবুত উদ্যোগ)। এর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
মোমেন জানান, জাপানের কয়েকটি কোম্পানি মিয়ানমারে রয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ চায়। এ দেশে কয়েকটি জায়গা নির্বাচন করেছে তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিতে অন্তত পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ করতে চায় জাপানের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তিসহ বেশকিছু সেক্টরের প্রায় ৩১টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা সুখবর। আমরা তাদের নির্বাচনের পরে আসতে বলেছি।
No comments