Adsterra

পাখির কলতানে মুখর নলছিটির মরা নদী

পাখির কলতানে মুখর নলছিটির মরা নদী, ঢাকা ভয়েজ,  dhaka voice;


ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কুমারখালিতে প্রবাহমান সুগন্ধা নদীর একটি মরা শাখা আছে, যা এলাকাবাসীর কাছে মরগাঙ্গী নামেই পরিচিত। পাখির কলকাকলি ও সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঘেরা নলছিটি উপজেলার কুমারখালির সুগন্ধা নদীর মরা নদী অংশ (মরগাঙ্গী) হতে পারে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। নদীর প্রবাহমান স্রোত না থাকায় স্থানটি এখন একটি বিশাল লেকের মতোই হয়ে গেছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে এই জলরাশি। চারদিকে সবুজের সমারোহ সামনে বিশাল জলরাশিতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির ভেসে বেড়ানোতে সকাল সন্ধ্যায় যেন এক অপরূপ রূপ ধারণ করে।


অনেকেই দূর-দূরন্ত থেকে অনেক সময় ঘুরতে আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকায় বসার বা হাঁটার তেমন কোনো ব্যবস্থাও নেই। এর এক প্রান্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও সেটি উন্নয়নের বাইরে রয়ে গেছে।


প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে সেই অংশের রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিল। পর্যটকদের জন্য কিছু বসার বেঞ্চ, রাতের অন্ধকার দূর করতে কিছু বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলে ব্যাপক লোক সমাগম হতে পারে। এছাড়া পর্যটক টানতে কিছু পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এলাকাবাসীর আগ্রহে এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র বানাতে ইতোমধ্যেই এর লিজের মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য।


তিনি বলেন, আমরা গত বছর থেকেই লিজ গ্রহিতাদেরকে উৎসাহিত করছি এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চলে সামান্য কিছু বিনিয়োগ করতে। কিছু বসার বেঞ্চ আর লাইট হলেও এখানে প্রচুর লোক সমাগম হবে। পাখির কলকাকলীতে এলাকাটি মুখরিত থাকে। তাই এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এই জলাশয়ের সরকারি লিজ গ্রহীতাদের একজন অনুরাগ গ্রামের মৃত রুনু চৌধুরীর ছেলে রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘এখানে একটি পর্যটন স্পট বানানোর চিন্তাভাবনা আমাদেরও আছে।’ তবে আপাতত বাঁধ দেওয়ার কাজটি বাকি আছে। বাঁধের কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা চেষ্টা করব যাতে এটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সবাই পরিবারসহ এসে উপভোগ করতে পারেন। প্রতিবছর শীতে সবাই পরিবারসহ ঘুরতে পারবেন এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। যার ফলে এই অঞ্চলের অর্থনিতীতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনাময় সুযোগ আছে। ইউপি সদস্য সুজাত সিকদার বলেন, ‘আমরাও চাই স্থানটির কল্যাণে পুরো এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক।’


No comments

Powered by Blogger.