শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন নির্মমভাবে নিহত হন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন প্রজন্ম দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে-এ প্রত্যাশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করে। আওয়ামী লীগ দেশবাসীর সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে।
শহীদ ডা. মিলন দিবসে জাসদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেইটে জমায়েত হয়ে সকাল ৮টায় মেডিকেল কলেজে ডা. মিলনের সমাধিতে এবং ৮টা ৩০ মিনিটে টিএসসি সংলগ্ন ডা. মিলন সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিকেল ৩টায় তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
দলের জেলা ও কমিটিসমূহ শহীদ ডাক্তার মিলন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ডা. মিলনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভার কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস-এর কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একই ভাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বরাবরের মত যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য সকল জেলা/মহানগর ও উপজেলা কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments