হিমুর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মিহির
অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। গতকাল রোববার সকালে ১৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের সেই লাইভে মিহির জানান, হিমুর মৃত্যুর পর তাঁকে জড়িয়ে ফেসবুকে প্রকাশিত বিরূপ মন্তব্যগুলো তাঁকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।
মিহির কয়েক বছর ধরে হিমুর বাসায় থাকতেন। হিমুর দেখাশোনা করতেন। এ বিষয়ে মিহির বলেন, ‘হিমুর বাসায় থাকার কারণ আমার কাজ বন্ধ, বাসাভাড়া দিতে পারি না। আমার বাড়িওয়ালি আমার রুম তালা মেরে দিসে। আর এমনিতেও থাকতাম; কারণ, হিমুর মাকে আমি মা ডাকছি। হিমুর মা আমাকে বলছে, আমি না থাকলে আমার মেয়ের দেখাশোনা করিস।’
এই কয়েক দিন কোথায় ছিলেন জানিয়ে মিহির বলেন, ‘যখন ডাক্তার ঘোষণা দিয়েছে হিমু মৃত, সঙ্গে সঙ্গে হিমুর বয়ফ্রেন্ড (উরফি জিয়া) দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর ওর (হিমুর) খালারা আসছে, আমরা থানায় গেছি, স্টেটমেন্ট দিয়েছি। তখন থেকে আমি কালকে (শনিবার) পর্যন্ত থানায় বসা ছিলাম। শনিবার সকালে আমি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাক্ষ্য দিই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন। এসআই সাব্বির ভাই বলল, আপনার আর কোনো কাজ নেই, আপনি যেতে পারেন। এই তিন দিন আমাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, নজরবন্দীতে রাখা হয়েছে। আমার ফোন টেপ করা হয়েছে। আমাকে হাজার হাজার প্রশ্ন করা হয়েছে।’
মিহির জানান, তিনি কোনো অপরাধ করেননি, কোথাও পালিয়েও যাননি। বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে হিমুর স্বজনদের সাহায্য করেছেন। ভিডিওতে মিহির বলেন, ‘আমি যদি কোনো খারাপ কাজ করতাম, তাহলে ভয়ে পালাইয়া যাইতাম। আমার ভেতরে ভয় লাগে না। আমার ভেতরে ঘেন্না লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের জন্য মায়া হচ্ছে, আপনারা এতটা নেগেটিভ যে মানুষকে সাহায্য করতে পারেন না।...এটা তো কেউ বলেন না যে তুই ছিলি বলে হিমুকে আমরা বের করে আনতে পারছি...আমি ভালো করছি, এটা কেউ বলে না।...হিমু মরছে, আমি ছিলাম। আমি করছি, না ওই ছেলে করছে, সেটা তো ওই ছেলে নিজেই স্বীকার করছে।’
উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর উত্তরার নিজ বাসায় প্রেমিক উরফি জিয়ার উপস্থিতিতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু।
No comments