Adsterra

প্রবীর মিত্রের ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর কতটা সত্যি

প্রবীর মিত্রের ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর কতটা সত্যি, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, প্রবীর মিত্র মুসলমান হয়েছেন, মিথুন মিত্র, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম,

অভিনেতা প্রবীর মিত্রের বয়স এখন ৮২। শরীরে বাসা বেঁধেছে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা। তবু মনোবল ভাঙেনি একটুও। ঘরে শুয়ে-বসেই সময় কাটছে তাঁর। স্বপ্ন দেখেন সুস্থ হয়ে আবার ফিরবেন অভিনয়ে। এমনই সময়ে হঠাৎ করে গতকাল ভাইরাল হলো একটি খবর। প্রবীর মিত্র সনাতন ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছেন। খবরের ভিত্তি একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে প্রবীর মিত্রকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি তো কনভার্ট হয়েই ওর মাকে বিয়ে করেছিলাম। তখন মুসলমান হয়েছিলাম। তখন প্রয়োজন হয়েছিল মুসলমান হওয়া।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে প্রবীর মিত্র জানিয়েছেন তাঁর কষ্টের কথা। বলেছেন, ‘অভিনয় করতে না পারলে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি অভিনয় করতে পারছি না, এটাই আমার বড় কষ্ট। অভিনয়টা আমাকে খুব টানে। অপেক্ষায় আছি, সুস্থ হয়ে আবার অভিনয়ে ফেরার।’ ভিডিওতে সহকর্মীদের কথাও বলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁর খোঁজখবর নেন। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করেন। তিনিও সবার জন্য দোয়া করেন, সবাই যেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।


কথোপকথনের একপর্যায়ে ধর্ম নিয়ে জানতে চাইলে অভিনেতা জানান, বিয়ের সময় মুসলমান হিসেবে কনভার্ট হয়েই বিয়ে করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই খবর ছড়ায় প্রবীর মিত্র মুসলমান হয়েছেন। তবে ধর্ম নিয়ে প্রবীর মিত্রের ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে আমার কোনো বাড়াবাড়ি নাই। সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই। মানুষ সবার উপরে।’


এ বিষয়ে জানতে অভিনেতার ছেলে মিথুন মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘(প্রবীর মিত্রর) মুসলমান হওয়ার যে খবর নতুন করে ছড়িয়েছে, সেটা ঠিক নয়। এ রকম কিছুই ঘটেনি। এটা সত্যি, তিনি বিয়ের সময় ইসলাম ধর্মে কনভার্ট হয়েছিলেন। আমার মা মুসলিম ছিলেন। আমরা ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিন্তু বাবা হিন্দুধর্ম রীতি মেনে চলেন।’


প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজান্তা মিত্র। তিনি মারা গেছেন ২০০০ সালে। অভিনেতার তিন ছেলে মিথুন মিত্র, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম। এক মেয়ে ফেরদৌস পারভীন। এদের মাঝে সামিউল মারা গেছেন। প্রবীর মিত্র দীর্ঘদিন সেগুনবাগিচায় বাস করেছেন। এখন সন্তানদের নিয়ে তিনি ধানমন্ডিতে থাকেন।


প্রবীর মিত্রের জন্ম ১৯৪১ সালে। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জলছবি’র মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় নাম লেখান। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’ ইত্যাদি।


No comments

Powered by Blogger.