Adsterra

তবু এই বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির


তবু এই বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, সেমিফাইনাল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, শচীনের রেকর্ড ভাঙা, ২৬ হাজার আন্তর্জাতিক রান

শচীন টেন্ডুলকার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন লম্বা ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে। বিরাট কোহলি ভাগ্যবান—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার তৃতীয় বছরে পরেছিলেন বিশ্বজয়ের মুকুট। এক যুগ আগে শচীনকে কাঁধে নিয়ে কোহলির মুম্বাইয়ের পুরো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঘুরে বেড়ানো ক্রিকেট বিশ্বেরই আইকনিক দৃশ্য হয়ে আছে। যেন এই ভক্তি ও ভালোবাসা দিয়ে ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ থেকে বর চেয়ে নিচ্ছিলেন কোহলি।


এরপরই ‘কিং’ হয়ে ওঠা তাঁর। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডেতে যাঁর সেঞ্চুরি ছিল ৪টি, সেটি এখন ছুঁয়েছে ৫০—ভেঙে দিয়েছেন এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক শচীনের রেকর্ড। সেটিও বিশ্বকাপে, সেই ওয়াংখেড়েতে। একদিন ড্রেসিংরুমে যিনি শচীনকে দেখে পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন, দিন পাঁচেক আগে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর জানালেন কুর্নিশ।


এ বিশ্বকাপে যেন শুধু শচীনের রেকর্ড ভাঙাকেই পাখির চোখ করে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন কোহলি। শচীনকে ছাড়িয়েই গড়লেন এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ও দ্রুততম ২৬ হাজার আন্তর্জাতিক রান। শিরোপা জিতুক বা না জিতুক—ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপটাকে তো রাঙালেন ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটারই। ১১ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে করলেন ৭৬৫ রান, গড় ৯৫.৬২ ও স্ট্রাইক রেট ৯০.৩১। বিশ্বকাপে তৃতীয়বারে মতো টানা পাঁচটি ৫০+ ইনিংস হয়েছে, যার দুটিই কোহলির। এক বিশ্বকাপে ৫০০+ রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ও তাঁর।


কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে কিউইদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে ২০ বছর পর ফাইনালের টিকিট পাওয়া ভারতের। গতকাল আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দলের দুঃসময়ে খেললেন ৬৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। এক বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে পেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের দেখা। এমন স্মরণীয় বিশ্বকাপ কাটানোর আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের কঠিন সময় পার করেছেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে, কিউইদের কাছে হেরে। এরপর তো নেতৃত্বও হারান ভারতের। দল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কাও কী ছিল না! গত বছর সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় ৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন কোহলি। এরপর উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতানো রোমাঞ্চ।


ভারতের এই স্কোয়াডের শুধু বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি আছে কোহলি ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের। গতকাল অজিদের হারালে দুজনের সেটি দাঁড়াত দুইয়ে। শিরোপা জিততে না পারলেও ভারতের এবারের অভিযানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় রেখেছেন কোহলি। ২০১৬ আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিপক্ষে ৫৪ রান করেছিলেন তিনি। সেবারও আরসিবির হয়ে শিরোপা জেতা না হয়নি তাঁর। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ৫৪ রান করেও শিরোপা  জেতা হলো না কোহলির।


No comments

Powered by Blogger.