পিরোজপুরের নামকরণের ইতিহাস
কচা, কালিগঙ্গা, পোনা,
বলেশ্বর, সন্ধ্যা, নলছিটি,
তালতলা, স্বরূপকাঠি, বিষারকান্দি, সাপলেজা নদী বিধৌত পিরোজপুর জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক কথার প্রচলন আছে।
১৮৫৯ সালের ২৮ অক্টোবর পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হয়। এরপর ১৯৮৪ সালে জেলায় রূপান্তরিত হয়। পিরোজপুরের নামকরণের একটি সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলাল উদ্দীন মোগল নিজেকে মোগল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবি করেছিলেন। তার মতে, আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার কাছে পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন বাংলার সুবেদার শাহ সুজা। আত্মগোপনের একপর্যায়ে নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পাড়ে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন তিনি। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয়। শাহ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকান রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী ও এক শিশুপুত্র রেখে যান। পরবর্তী সময়ে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে পশ্চিমে এসে বর্তমান পিরোজপুরের পাশ্ববর্তী দামোদর নদীর মুখে আস্তানা তৈরি করেন। ওই শিশুর নাম ছিল ফিরোজ।
শাহ্ সুজার পুত্র ফিরোজ শাহ্ এই এলাকায় মারা গেলে তাকে এখানকার একটা পুরনো মসজিদ
সংলগ্ন কবর স্থানে সমাহিত করা হয়। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামানুসারে জেলার নাম হয় ‘ফিরোজপুর’। কালের বিবর্তনে ফিরোজপুরের নাম হয়ে যায় ‘পিরোজপুর’।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
follow our Facebook page DHAKA Voice
follow our Twitter account Dhaka Voice
No comments