Adsterra

সরিষা শাক খাওয়ার ১০ উপকারিতা


সরিষা শাক খাওয়ার ১০ উপকারিতা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, ভিটামিন সি এবং কে, দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমায়, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, গ্লুকোসিনোলেটস,

পালং শাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় সরিষা শাকে- এমনটা বলছেন গবেষকরা। শীতের অন্যতম সুপরিচিত শাক হচ্ছে সরিষা শাক। ভাজি, পাকোড়া কিংবা সালাদে মিশিয়ে খেতে পারেন পুষ্টিগুণে অনন্য এই শাক। উচ্চ আঁশযুক্ত সরিষা শাকে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। জেনে নিন শাকটি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।


ক্যালোরি কম থাকলেও ফাইবার এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে সরিষা শাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং কে-এর একটি চমৎকার উৎস এই শাক। ফলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খান সরিষা শাক।

দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমায় সরিষা শাক। এতে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এই উদ্ভিদভিত্তিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষের বার্ধক্য, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার আচরণ থেকে আমাদের শরীরে জমা হওয়া ফ্রি র‍্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট স্ট্রেস এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে ক্যানসারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। সরিষার শাকে গ্লুকোসিনোলেটস পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা তিক্ত স্বাদ দেয় শাকে। গ্লুকোসিনোলেট ক্যানসারের কোষের সাথে লড়াই করতে পারে এবং টিউমার গঠন প্রতিরোধ করতে পারে।

ভিটামিন কে এর অন্যতম উৎস বলা হয় সরিষা শাককে। এই ভিটামিন হাড় ও হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।

মাত্র এক কাপ সরিষার শাক দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি পূরণ করতে পারে। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য এই ভিটামিন। পাশাপাশি সরিষার শাকে থাকা ভিটামিন এ  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। 

দেহের দূষিত পদার্থ দ্রুত বের করে দিতে সাহায্য করে সরিষা শাক।

সরিষার শাকে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। 

সরিষা শাকে থাকা ভিটামিন কে হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে-এর অভাব হাড়ের খনিজে অস্বাভাবিকতা এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়

সরিষার শাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই দুই উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য অপরিহার্য। 

লুটেইন মস্তিষ্কের টিস্যুকেও ভালো রাখে। 

সরিষা শাকে থাকা পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, রিবোফ্লেভিন ও কপার সাহায্য করে রোগমুক্ত থাকতে।

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.