Adsterra

যেভাবে হেরা ফেরি একটা কাল্ট ক্লাসিক কমেডিতে পরিণত হল

যেভাবে হেরা ফেরি একটা কাল্ট ক্লাসিক কমেডিতে পরিণত হল, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, হেরাফেরি সিনেমার মূল আকর্ষণ এর টান টান স্ক্রিন প্লে, Top News

খড়গ
সিং এর পাওনা শোধ করার জন্য শহরের একটি ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করে শ্যাম। ব্যাংকের কাজ শেষ করে সে একটি মফোস্বল এলাকায় কম খরচে থাকার জন্য একটি বাসার খোজ করে। একসময় তার সাথে বাবুরাওয়ের আলাপ হয়। 

বাবুরাওয়ের একটি ভাঙ্গাচোরা গাড়ির সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। গ্যারেজের সাথেই তার বাসা। মাত্র ২০০ রুপির বিনিময়ে সে বাবুরাওয়ের বাসায় থাকার সুযোগ পায়। সেই বাড়িতে তার সাথে রাজুর পরিচয় হয়। রাজু একজন শিক্ষিত, বেকার, ধোকাবাজ। সে দুই বছর ধরে কোনো ভাড়া না দিয়েই বাবুরাওয়ের বাড়িতে পায়ের উপর পা তুলে দিন পার করতে থাকে। একদিন শ্যামের কাছে চাকরির অনাপত্তি পত্র নিয়ে আসে অনুরাধা নামের এক নারী। যার নিজেরও চাকরিটা দরকার। শ্যাম সেখানে সাইন করতে চায়না কিন্তু রাজু বিষয়টি আড়াল থেকে দেখার পর অনুরাধাকে সাহায্য করে এবং শ্যামকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেই কাগজে সাইন করায়। ওদিকে রাজুর মা ছেলের কর্মস্থল দেখার জন্য শহরে আসে। বেকার রাজু তার মাকে জানায় সে একজন কনস্ট্রাকশন ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার। এদিকে সহজ সরল বাবুরাও শ্যাম রাজুকে নিয়ে নিশ্চিন্তে দিন পার করতে থাকে কিন্তু একদিন বাবুরাওয়ের কাছে কাবির নামক একজন কিডন্যাপারের ফোন আসে যে কিনা দেবীপ্রসাদের নাতনীকে কিডন্যাপ করে এবং বাবুরাওকে দেবীপ্রসাদ ভেবে তার কাছে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি যখন সে শ্যাম রাজুর সাথে শেয়ার করে তখন রাজু দুষ্টু বুদ্ধি খাটিয়ে সত্যিকারের দেবীপ্রসাদকে ফোন করে এবং ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে তার নাতনীকে ফিরিয়ে দেবার আশ্বাস দেয়। ধার-দেনায় থাকা এবং দারিদ্রের সাথে দিন পার করা এই জন এমন একটি সুযোগ পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পেরেছিলো কিনা তা জানতে হলে আপনাকে হেরা ফেরি দেখতে হবে। 

 

হেরাফেরি সিনেমার সিনেমার মূল আকর্ষণ এর টান টান স্ক্রিন প্লে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছিলেন নিরাজ ভোরা। চমৎকার হিউমারে পরিপূর্ণ এবং সাথে রয়েছে দূর্দান্ত পাঞ্চ লাইন যা সিনেমাটিকে একটা ক্লাসিক অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। সহজ-সরল বাবুরাওয়ের মুখ থেকে বের হওয়া সংলাপগুলো ছিলো জীবন্ত যা আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে হাসাতে বাধ্য করবে। সংলাপের সাথে সাথে চরিত্রগুলোর মুভমেন্ট হাসির উদ্রেক না করে পারেনা। সংলাপের সাথে সাথে কিছু কিছু দৃশ্যে সিনেমাটোগ্রাফি ছিলো চমৎকার। বেশ কিছু স্পিন শটের ব্যবহার দেখা যায়। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন প্রিয়দর্শন এবং মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠী এবং পরেশ রাওয়াল। 

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.