অধরা খান এত বিদেশে কেন যায় ?
দেশীয় চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা গ্ল্যামার গার্ল অধরা খান সুযোগ পেলেই বিদেশ ঘুরে বেড়ান। যদিও তার এই ঘুরে বেড়ানো পারিবারিক ব্যবসার কারণে। এরপরেও তার নিন্দুকদের বলতে শোনা যায় - অধরা এত এত বিদেশে কেন যায় ? অধরা যখনই তার পেশাগত কিম্বা পারিবারিক ব্যবসার কাজে পৃথিবীর কোনো দেশে যান, তখনই আলোচনা - সমালোচনার ঝড় তুলেন - কেনো তার ঘন ঘন বিদেশ যাত্রা ? গেল এক বছরে ট্যালেন্টেড গ্ল্যামারাস নায়িকা অধরা দুইবার যুক্তরাষ্ট্র, তিনবার সংযুক্ত আরব আমিরাত, একবার কানাডা, একবার থাইল্যান্ড, ভারত দুইবার, একবার মালদ্বীপ, নেপাল একবার। বর্তমানে তিনি নতুন পোর্টফোলিও ফটোশুট এবং ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় অবস্থান করছেন।
বিদেশ ঘোরাঘুরি নিয়ে নিন্দুকদের সমালোচনার প্রেক্ষিতে অধরা'র কাছে প্রশ্ন ছিল - এত দেশ যখন ঘুরে বেড়ান তাহলে অভিনয় করেন কীভাবে ? আর ঘুরে বেড়ানোর খরচ নির্বাহ করেন কীভাবে ? এর উত্তরে তিনি বলেন, এই বছর আমি তিনটি নতুন ছবিতে অভিনয় করেছেন। জানুয়ারি থেকে শুটিং করেছি অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড এর দখিন দুয়ার, মার্চ থেকে মাজহার বাবুর ঠোকর ও জুলাইতে শুটিং করেছি অপূর্ব রানার দ্য রাইটার। তিনটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর বাইরে আমাদের পারিবারিক তথ্য - প্রযুক্তি ব্যবসায় সময় দিতে হয়েছে। যেটা আরব আমিরাতের দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা পর্যন্ত সংযুক্ত। আমি নিজেও একজন প্রযুক্তিবিদ। তাই ব্যবসার কাজে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন দেশে ছুটতে হয়। এক্ষেত্রে আমি প্রতি মাসেই লভ্যাংশ পাই। মূলত পারিবারিক এই ব্যবসার কারণেই আমার আগামীর পরিকল্পনা হলো - চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিলে পুরোপুরো প্রযুক্তির ব্যবসায় নিযুক্ত হবো।
অধরা বলেন, এই বছরে তিনটি নতুন ছবির শুটিং ছাড়াও সুলতানপুর ছবিটি মুক্তির সময় এই ছবির প্রচারে সময় দিতে হয়। সুলতানপুর ছবিটি আলোচনায় ছিল, এটা সবাই জানেন। আর এসবের মধ্যেই আমাকে বিদেশ যেতে হয়, দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত আমাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজ সেরে কানাডা গিয়েছিলাম, আমার ছোট বোন অর্থি সেখানে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। এই দুই দেশে আমাদের আত্মীয়স্বজনও রয়েছে। মাঝখানে থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম, গলার সমস্যা নিয়ে। সেখানে আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটা ছবির ডাবিংয়ের জন্য ফিরে আসতে হয়েছিল। ডাবিং শেষে আবার ব্যবসায়ের কাজেই দুবাই গিয়েছিলাম।
অধরা তার বিদেশ সফরের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে জানান, মালদ্বীপ গিয়েছিলেন, বান্ধবী সুমির মেয়ে হবে এজন্য। আর নেপালে কানাডা থেকে সরাসরি ফেরার সময় নেমেছিলেন। বলেন, আমি জানি আমাকে নিয়ে গসিপ হয়। তবে এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমার রেসিডেন্স ভিসা রয়েছে, আমার বড় বোন থাকেন সেখানে। স্বাভাবিকভাবে ও সংগত কারণেই আমাকে বিদেশ ঘুরতে হয়। তাছাড়া আমি কিন্তু বিদেশে নতুন যাচ্ছি না, বা নায়িকা হওয়ার পর যাচ্ছি না। আমি একযুগেরও বেশি সময় ধরে পারিবারিক ব্যবসায়ের কাজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করছি। ভবিষ্যতেও করতে হবে।
No comments