Adsterra

তুরস্ক - সুলতান সুলেমানের দেশ


তুরস্ক - সুলতান সুলেমানের দেশ, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, আন্তর্জাতিক মানের ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তুরস্কে, Today Trending News, Today Viral News

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন দেশ তুরস্ক। বিশেষ করে মুসলিম ইতিহাসের জীবন্ত দলিল বলা হয়। আজকের আমরা তুরস্ক সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় জানব।

আয়তনে বাংলাদেশের থেকে পাঁচ গুণ বড় এবং জনসংখ্যায় তুরস্কের জনসংখ্যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। ঢাকা থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ তুরস্ক। তুরস্ক ইউরোপে অবস্থিত হল এর বেশিরভাগ অংশই কিন্তু এশিয়া মহাদেশে। দেশটির শতকরা ৯৭ ভাগ অংশই পড়েছে এশিয়া মহাদেশে। তাই অনেকে বলে থাকেন তুরস্ক আসলে ইউরেশিয়াতে অবস্থিত। এর পশ্চিমে রয়েছে বেলজিয়াম সাগর এবং উত্তরে ব্ল্যাক সি ও দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর। আর উত্তর-পশ্চিমে ঘেরা রয়েছে মারমারা সাগর দিয়ে। তুরস্কের রাজধানী হচ্ছে আংকারা তবে সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুল। সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত গোটা তুরস্ক এর ৯০ শতাংশ বেশি মানুষ মুসলিম। সংগীত থেকে চিত্রকলা বা স্থাপত্য, প্রতিটি বিষয়ে নান্দনিক ছাপ ফেলে যাওয়া এই দেশটির অনেক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

তুরস্কের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে প্রথমে তুরস্কের আনাতোলিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমান তুরস্কের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রাচীন নাম আনাতোলিয়া। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের ১০ হাজার বছর আগে থেকে এখানে মানুষের বসবাস ছিল। অটোমান সুলতানের পূর্ব পুরুষ যে তুর্কিকরা। এই তুর্কিকরা মূলত মধ্য এশিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। যাযাবর ছিলেন তারা। তারা একসময় ঘুরতে ঘুরতে এই অঞ্চলটিতে আসে এবং এখানকার যে বাইজেন্টাইন শাসক ছিলেন তাদের হারিয়ে, তারা এখানে একটি সালতানাত বা রাজস্ব প্রতিষ্ঠা করে। এরপর থেকে এই অঞ্চলে তুর্কিদের বসবাস। পরবর্তীতে তেরো শতকের শেষে শক্তিশালী ওসমান খেলাফত শাসন শুরু হয় এখানে। এ সময় এই অঞ্চলটিতে আসেন ইবনে বতুতা। এর ৬০০ বছর পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় মোস্তফা কামাল আতার্তুক কে। ১৯২৩ সালে তার হাত ধরে রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র। আর ঐ প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ইসলামি পঞ্জিকার বিল্পতি ইউরোপীয় ধাচের পোশাক, শিক্ষার, সাংস্কৃতিক এমন বেশ কিছু সংস্কার করেন তিনি। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তিনি ।

বাংলাতে তুরস্ক বলা হলে ও ইংরেজিতে তুরস্ক, টার্কি নামেই পরিচিত। তবে নামটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। ২০২১ সালে দেশটির নাম পরিবর্তন করে করা হয় তুর্কিয়ে। তুর্কিয়ে নামের অর্থ তুর্কিদের অঞ্চলের। এর কারণ হিসেবে দেখানো হয়, বড়দিন কিংবা ইংরেজিতে নববর্ষ, বা থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপন করার সময় খ্রিস্টানদের অন্যতম আকর্ষন থাকে টার্কিবার্ড। এর সাথে মিল থাকাকে তুরস্কের জন্য অপমান জনক বলে মনে করা হয়। এছাড়া ক্যামব্রিজের অভিধানের টার্কি শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে চরমভাবে ব্যর্থ। বা বোকা মানুষ।

তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুল। শহরটি এত জনপ্রিয় যে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তুরস্কের রাজধানী কোনটি? হয়তো অনেকেই আঙ্কারার বদলে ইস্তাম্বলের কথা বলবেন। ইইস্তাম্বুলে ৯২ লাখ মানুষ বসবাস করে। প্রাচীন কাল থেকে অনেক সাংস্কৃতিক জাতি তুরস্ক শাসন করতে এসেছে। এর কারণে তুরস্কের মানুষের লাইফ স্টাইল বা খাদ্যাভাসে এর কিন্তু আভাস ও রয়েছে।তুরস্ক এমন একটি দেশে যা সেই প্রাচীন কালের উসমানি আমলের অনেক ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছে।

তুরস্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হয়েছিল, তখন জাতিসংঘ আর ন্যাটোর যোগ দেয় এই দেশটি। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি তুরস্ক। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও ২০১৭ সালে এই পদটি বিলুপ্ত করা হয়। আর সেই থেকে তুরস্কে একটি প্রেসিডেন্ট শাসিত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র মানে সমস্ত ক্ষমতার প্রেসিডেন্টের হাতে। দেশটিতে নির্বাচন হয় প্রতি ৫ বছর পর পর। বর্তমানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসেন তিনি।ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক বেশ কয়েকবার সিরিয়ার সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে। আবার পাল্টা হামলাও দেখেছে। বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে তুরস্কে।

সাম্প্রতিক সময় ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের সময় তুরস্ক কিন্তু বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে। তারা এই যুদ্ধের মধ্যস্থ প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করছে যা গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে । ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যখন বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার সংখ্যা দেখা যায়, তখনই তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেনের শষ্য পৌঁছে যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ন্যাটোতে তুরস্কের রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান। সুইডেন আর ফিন্ডল্যান্ড এই প্রতিরক্ষা জোটে সদস্য হতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় ইস্তাম্বুল।

ন্যাটোতে তাদের বিচরণ চাননি এরদোয়ান। তাই আজও আটকে আছে তাদের সদস্য।

২০২৩ সালের হিসেবে সামরিক শক্তিতে বিশ্বে ১১ তম তুরস্ক। করোনা মহামারী আর এরপর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে অর্থনীতি কিন্তু টালমাটাল অবস্থায় হয়েছে। তবে তুরস্ক বেশ ভালো ভাবেই সামাল দিয়েছে এই সংকট। দেশটি বর্তমানে ১৯ তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। জি-২০ এর সক্রিয় সদস্য তুরস্কের GDP ৭২০ বিলিয়ন ডলার। দেশটিতে দরিদ্রতার হার গত ১ দশকে কমে সাড়ে আট শতাংশতে নেমেছে।

বিশ্ব ব্যাংক এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বছর ২.৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখবে তুরস্ক। এই বছর বেকারত্বের হার ছাড়াবে ১০ শতাংশের কোঠা, এমনটিই বলছে দেশটি ।

 

তুরস্কের পর্যটন :-

বলা হয় প্রকৃতি তার সবটুকু ঢেলে দিয়েছে এই একটি দেশে তুরস্কে। শত শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য থেকে শুরু করে মেঘ, পাহাড়, পর্বত, তুষার কি নেই তুরস্কে! পর্যটকরা সাধারণত ইস্তানবুল দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এর পর যদি আপনি যদি ইউরোপীয় নিদর্শন দেখতে চান তাহলে এখানে কিন্তু ধ্বংসাবেশ রয়েছে। চলু জেনে আসা যাক, তুরস্কে গিয়ে কি কি দেখতে পারবেন।

ভূমধ্য আর কৃষ্ণ সাগরের পাড়ের হাওয়ায় বেড়ে ওঠা এক জলপদ। যেখানে পাহাড়, সমুদ্র, হ্রদ, বনায়ন আর বিভিন্ন স্থাপত্য কোনটিতে পিছিয়ে নেই তুরস্ক। যেন সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করে একাই একটি দেশ।

তুরস্কে ঘুরতে গেলে শুরু করা উচিত ইস্তাম্বুল থেকেই। এখানে রয়েছে বিখ্যাত গ্রান্ড বাজার। যাতে শুধু ভালো পণ্যের জন্য নয়, সাক্ষী হবেন বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ব্যস্ততম বাজারের। এখানে রয়েছে অন্তত ৩০০০ দোকান। এছাড়া মিশরের স্পাইস বাজার ও আপনাকে ফিরতে দেবে না খালি হাতে।

তুরস্কের রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আঙ্কারা। এখানেই তুরস্কের বেশিরভাগ তারকারা বাস করেন। এ শহরেই আছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি। অ্যানাটোলিয়ান সভ্যতার জাদুঘরসহ আরও অনেক দর্শনীয় জাদুঘর আছে এ শহরে।এ ছাড়াও নামকরা সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও আঙ্কারায়। যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন শিল্প ও সংস্কৃতির বিশাল ভাণ্ডার। শহরের প্যানোরামিক ভিউ উপভোগ করতে ওল্ড কোয়ার্টারের উলুস বেন্টড্রেসে অবস্থিত আঙ্কারা সিটাডেলে যেতে পারেন।

তুরস্কের ইজমির প্রদেশের সেলকুক জেলা সংলগ্ন এলাকা ইফেসাস। সেখানে রয়েছে বহু ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে আর্টেমিসের মন্দির, পাহাড়ের ওপর ঈসা বে মসজিদ, অটোমান এস্টেট, গ্রান্ড দুর্গ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

বিশ্বের প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি এই ইফেসাস শহর। জায়গাটি একসময় আর্টেমিসের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত ছিল। মার্বেল পাথরের তৈরি মন্দিরের ১২৭টি স্তম্ভের প্রতিটি ছিল ৬০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। দেয়ালজুড়ে বসানো ছিল মণি, মুক্তা, রুবি, পান্না আর হীরক খণ্ডের মতো মহামূল্যবান রত্ন।আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দে গ্রিকরা আর্টেমিস মন্দির নির্মাণ করে। ২৬৩ সালে পূর্ব জার্মানির গোথ উপজাতি আক্রমণ করে শহরটিতে লুটতরাজ চালায়। প্রাকৃতিক কারণে ৪০১ সালে মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়।প্রায় ছয় বছরের অনুসন্ধান শেষে ১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের অনুসন্ধানি দলের অভিযানে নতুনভাবে আবিষ্কৃত হয় আর্টেমিস মন্দির। এ দফায় খননকাজ চলে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত। পরে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ডেভিড জর্জ হগার্থের নেতৃত্বে পুনরায় খননকার্য চলে ১৯০৪ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে এই মন্দিরের যাবতীয় তথ্য ও নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে।

যদি তুরস্কের শিক্ষার কথা বলতে যাই, তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র- ছাত্রছাত্রীরা যারা তুরস্কে পড়তে যেতে চান, তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারেন। অর্থাৎ একই সাথে উন্নত আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী সব জায়গা প্রদর্শনের সুযোগ ও পাবেন।

ইউরোপীয় শিক্ষা ব্যবস্থা তুরস্ক এত ভালোভাবে রপ্ত করেছে যে, তুরস্কের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ইউরোপের প্রায় সব দেশেই গ্রহণযোগ্য।

তুরস্কে শিক্ষার হার ৯৪ শতাংশ এর বেশি। উচ্চশিক্ষার সুবিধার দিক থেকে বিশ্বে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রতি বছর তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করে বিশ্বের ১৭৮ দেশের ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

আন্তর্জাতিক মানের ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তুরস্কে। বিনামূল্যে পড়তে রয়েছে পাঁচ হাজারের ও বেশি স্কলারশিপের সুযোগ। যারা ভাবছেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন তারা নিঃসন্দেহে ভাবতে পারেন কানকায় ইউনিভার্সিটি, সাবাঞ্চি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইস্তাম্বুল আর ভোগাজিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।

নাগরিকত্ব কিংবা চাকরির জন্য যারা তুরস্কে যেতে চান; তাদের জন্য এই পথটা খুবই একটা কঠিন হবে না। কারণ দেশটির নাগরিক না হয়ে শুধুমাত্র ভ্রমণ ভিসা কিংবা বসবাসের ভিসা পেলেই কিন্তু আপনি তুরস্কের চাকরিতে ঢুকতে পারবেন না। এর জন্য আপনার আলাদা করে ওয়ার্ক পারমিট এর দরকার হবে। আর এই ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। মোটামুটি ওদের দাপ্তরিক ভাষা, তুরস্কের দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি। ইংরেজি জানা থাকলেই খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য হাজার পন্থা রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু শর্টকাট উপায়ও। যেমন :- তুরস্কে যে কোন একটি শহরে ৫০০০০ টাকার বাড়ি কিংবা সরকারি বন্ট কিনলে তিন বছরের মধ্যে পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব। এছাড়া দেশটিতে ব্যবসা করলে নাগরিকত্ব পাওয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। তবে ব্যবসাটা এত বড় হতে হবে যাতে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থান হয়।

তুরস্ক নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য রয়েছে। যেমন :-

তুরস্কে রয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মসজিদ। দেশটি মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল তাই মসজিদের দিক থেকে প্রাচুর্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মসজিদের সংখ্যা যখন ছাড়িয়ে যায় ভাবনার গন্ডি। তখন তো অবাক হতেই হয়। তুরস্কে ছোট-বড় মিলিয়ে মসজিদের সংখ্যা ৮২ হাজার প্রায় ৬০০। এর মধ্যে ৩ হাজারই ইস্তাম্বুল।

লাল সাদা পোশাক আর বাহারি দাড়ি দেখে অনেকেই ধারণা করেন সান্টাক্লজ এর জন্ম হয়তো ইউরোপ কিংবা উত্তর মেরুতে। কিন্তু মজা তথ্য হচ্ছে সান্টাক্লজ হিসেবে পরিচত সেইন্ট নিকোলাসের তুরস্কের পাতারা অঞ্চলে। ৪ শতকে তার বাবার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণের অর্থ বিতরণ করেন গরিবদের মাঝে। এখনো সেইন্ট নিকোলার চার্চের দেখা মিলবে তুরস্কে।

নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নৌকা।ধারণা করা হয় হযরত নূহ (আ.) এর বিখ্যাত সেই নৌকা বন্যা শেষে ভিড়েছিল তুরস্কে। ইতিহাসবিদদের মধ্যে যদিও এই নিয়ে নানা ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। তবে নৌকা সদৃশ একটা গাহামোর দেখা কিন্তু আজও পাওয়া যায় তুরস্কের আরারাত অঞ্চলে।

তুরস্ক এমন অনেক পণ্যের জনক যা এতদিন ইউরোপীয় উদ্ভাবন বলে ধারণা ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, চেরি ও কফি। মূলত তুরস্কই প্রথম ইউরোপের পাতে তুলে দেয় বিখ্যাত এই পানীয়টি। এছাড়াও বিখ্যাত টিউলিপ ফুলের জন্ম তুরস্কে। ওয়াইনন্ড উৎপাদনে বিশ্বের চতুর্থ দেশ তুরস্ক।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেরই লোকজ বিশ্বাস "সাত" হচ্ছে শুভ সংখ্যা। তবে তুরস্কে সংখ্যাটা সাত নয়, এই সংখ্যাটি হচ্ছে "চল্লিশ"। জনশ্রুতি আছে কোনো কিছু চল্লিশ বার চাইলে তা পূরণ হয়ে যায় আপনাতেই। মূলত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওয়াতের বছর এবং যিশু মেরি কোলে শুরু হয় ৪০ বছর বয়স থেকে।

চা দেশটির সবথেকে জনপ্রিয় পানীয়। কথিত রম্য জনশ্রুতি রয়েছে, এক পেয়ালা চায়ের জন্য সংসার ও ভাঙতে রাজি হন তুর্কির নারীরা।

 চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.