মোবাইল-কম্পিউটার থেকে শিশুদের যেভাবে দূরে রাখবেন
বর্তমান শিশুরা মারাত্মক আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইল-কম্পিউটারে। এর ফলে শিশুরা তাদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ মহামারি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে এ প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে হবে।
বর্তমান শিশুরা অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন সময়, যা তাদের মানসিক ও স্বভাবগত পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। খেলাধুলা ফেলে মোবাইল-কম্পিউটারের পেছনে বেশি সময় দিচ্ছে শিশুরা তারা।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, কিছু কৌশলে শিশুদের মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মতো এইসব প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা যায়।
যেসব কাজ শিশুদের প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা যাবে-
শিশুদের শারীরিক কাজ, ছবি আঁকা কিংবা বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত রাখুন। এজন্য বাজার থেকে এমন খেলনা আনতে পারেন যাতে শারীরিক পরিশ্রম হবে। শিশুর পছন্দ বুঝে খেলার সামগ্রী আনুন। সাইকেল এনে দিতে পারেন। এতে সৃজনশীল কাজ করার প্রতি শিশুর আগ্রহও বাড়বে।
সন্তান সারা দিনে কতক্ষণ ফোন, টেলিভিশন বা কম্পিউটারে সময় অতিবাহিত করবে, সেই সময় বেঁধে দিতে হবে অভিভাবককেই। সন্তান সেই সময় মেনে চলছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
ছুটিতে পার্কে ঘুরত্যে নিয়ে যান। শিশুরা যত খেলাধুলা বা অন্য শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবে, তত তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। আর বাড়িতে বসিয়ে রাখলে ফোন, না হয় ভিডিও গেম, কম্পিউটার, টিভিতে থাকবে। এছাড়া সন্তানের সঙ্গে নিজেও সময় কাটান। ব্যাডমিন্টন খেলুন বা অন্যান্য খেলাধুলা করুন। আপনার যাওয়ার সময় না থাকলে, অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে পার্কে পাঠান।
সন্তানের কাছ থেকে ফোন নেওয়া কিংবা টিভির সুইচ বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহনশীল হোন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে তাকে আদর করুন। ভালোভাবে ডেকে স্কুল বা অন্য কোনো শিশুর ভালো লাগার বিষয় নিয়ে কথা বলে তাকে ভুলিয়ে দিন। শিশুকে ভালোবেসে বোঝান এবং তার ক্ষতির কথাও তাকে জানান।
বাচ্চাদের প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা কঠিন তবে আপনি চান না তারা সর্বদা এতে নিমগ্ন থাকুক। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা দরকার। আপনার সন্তানকে গ্যাজেট দেওয়ার বা স্মার্ট টিভি দেখার নিয়ম তৈরি করুন। এর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাকে বলুন কোন সময় থেকে এবং কতক্ষণ শিশু এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
বাচ্চাদের সামনে নিজেরা উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য নিজেরা মোবাইল-টিভি ব্যবহার করুন। নিজেরা যা করবেন, বাচ্চারা তা অনুকরণ করবে। তাই নিজেরা বই পড়ুন, বাচ্চাদের খেলায় সঙ্গ দিন।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments