কোন দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কত শক্তিশালী
প্রতিবছর প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে থাকে প্রায় সবকটি দেশ।
নিজেদের আত্মরক্ষার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপি প্রভাব বিস্তারের নিত্যনতুন অস্ত্র ও তৈরি করেন তারা। যার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র অন্যতম। যেকোনো যুদ্ধে বা আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে নিজেদের শক্তিশালী প্রদর্শন করার একমাত্র উপায় ক্ষেপণাস্ত্র। আর তাই দেশের পরাশক্তি গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে মিসাইল তৈরির প্রতি ঝুকছে অন্যান্য দেশগুলো।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা ঘিরে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। অন্যদিকে অন্যদের হুমকি ধামকি তোয়াক্কা না করে নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে একের পর এর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বন্দ্বতে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষার বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে।
ইসরায়েলের কাছে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চেয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জেলেনস্কির আকুতি ইতিমধ্যে দেখেছে বিশ্ববাসী। বিবিসি জানায়, গত রোববার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে দেওয়া ভার্চ্যুয়ালি ভাষণে ইউক্রেনের কাছে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিক্রিতে ইসরায়েলের অনীহা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জেলেনস্কি। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকলে নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন বলেই বিশ্বাস জেলেনস্কির।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক সমরাস্ত্রের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার ঘটনায় শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিষয়টি আবার নতুন করে সামনে এসেছে। ইউক্রেনের ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জরুরি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চেয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আবেদন সেটিই তুলে ধরেছে।
শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায় বলে মনে করেন সমর বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর সব দেশের কাছেই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক দেশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আরও উন্নতি করছে।
শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকলে সে দেশ নিজেকে অনেকটাই সুরক্ষিত বলে মনে করে। দেশের সুরক্ষায় শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত শনাক্ত করে তা ধ্বংস করতে পারে এসব ব্যবস্থা। বিশ্বের কয়েকটি দেশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে ব্যবসাও করে। দেখা নেওয়া যাক উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের কাছে কী ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র : শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কথা বললে সবার আগে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। দেশটির কাছে আছে থাড নামের বিশেষ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। থাড অর্থ, টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে থাডকে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে ফেলার ক্ষমতাসম্পন্ন এ ব্যবস্থা। এর সফলতার হারও প্রায় শতভাগ। উৎপাদন শুরুর পর থেকে ১৬ বার এ নিয়ে পরীক্ষায় এই ফল পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও আছে ডেভিডস স্লিং নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। একে আগে বলা হতো ম্যাজিক ওয়ান্ড বা জাদুদণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের রেথিওন ও ইসরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম এটি তৈরি করেছে। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট রুখে দিতে দক্ষ এই হাতিয়ার। ডেভিড স্লিংয়ে রয়েছে বিশেষ রাডার ও স্ক্যানিং–সুবিধা; যাতে আগত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তা ধ্বংস করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট নামে আরেক ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও রয়েছে। যেকোনো আবহাওয়া ও পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট। যেকোনো পাল্লা বা উচ্চতার ব্যালিস্টিক, ক্রুজ বা উন্নত এয়ারক্র্যাফট মোকাবিলায় এটি কার্যকর। ম্যাসাচুসেটসের রেথিওন এবং ফ্লোরিডার লকহিড মার্টিন মিসাইল ও ফায়ার কন্ট্রোল নামের সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি।
মিডিয়াম এক্সটেন্ডেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (মিডস) নামে আরেক ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এই ব্যবস্থা ৩৬০ ডিগ্রি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। যেকোনো দিক থেকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে মিডস। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালি—এই তিন দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে এই অস্ত্র।
ইসরায়েল : আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই আলোচনায় আসে ইসরায়েলের নাম। দেশটির কাছে ডেভিডস স্লিং ছাড়াও রয়েছে আয়রন ডোম নামের বিশেষ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ছোড়া রকেট ঠেকিয়ে আলোচনায় আসে আয়রন ডোম। ইসরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি ও রাফাল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি। ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম এ ব্যবস্থা। বর্তমান বিশ্বে ইসারয়েলের আয়রন ডোম অনেক বেশি কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
রাশিয়া : আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দিক বিবেচনায় রাশিয়াও কোনোভাবে পিছিয়ে নেই। রাশিয়ার কাছে রয়েছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ নামের অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট প্রতিরোধব্যবস্থা। ১৯৯০ সালে রাশিয়ার আলমাজ সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরো এটি তৈরি করেছিল। এটি তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে একসঙ্গে। এটি একটি মাল্টি-ফাংশন রাডার, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ, লক্ষ্য ঠিক করাসহ নানা কাজ করতে পারে। রাশিয়ার কাছে আরও রয়েছে এস-৩০০ভিএম বা অ্যান্টি-২৫০০ নামের দূরপাল্লার অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। আলমাজ-অ্যান্টে নামে একটি সংস্থা এটি তৈরি করেছে। স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখতে পারে এটি।
ভারত : ভারতের কাছে রয়েছে আকাশ নামের স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থা। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও কাজ করতে পারে। ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এটি। যুদ্ধবিমান এবং ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে আকাশ।
ভারতের কাছে আরও রয়েছে বারাক-৮ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। যেকোনো দিক থেকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র ৩৬০ ডিগ্রি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এটি। ভারতের ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে ভারত।
পাকিস্তান : গালফ নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর চীনের কাছ থেকে এইচকিউ-৯ পি নামের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে পাকিস্তান। ভারতের এস-৪০০–এর মোকাবিলা করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া দেশটির কাছে এইচকিউ-৭, চীনের তৈরি এলওয়াই ৮০ ও এইচকিউ-১৬ নামের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে।
ইউরোপ : ইউরোপীয় সংস্থা ইউরোস্যাম তৈরি করেছে অ্যাস্টার ৩০ এসএএমপি/টি নামের বিশেষ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ফ্রান্স, ইতালির কাছে রয়েছে ব্যবস্থাটি। এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুরও ইউরোপের এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে। এটি মূলত সহজে স্থানান্তরযোগ্য অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। জার্মানি ও ইতালির কাছে মিডস নামের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও রয়েছে।
চীন : চীনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে হং কিউআই ৯ এর নাম বলা যায়। রাশিয়ার এস-৩০০ এর সমতুল্য এটি। ১৯৯৭ সালে প্রথম এই হাতিয়ার তৈরি হয়। যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ছাড়াও বোমা ও স্বল্প থেকে মধ্যম পাল্লার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে পারে এটি।
ইরান : ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। ইরানও বেশ গর্ব করে তাদের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কথা বলে থাকে। ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমআইএম-২৩ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা রয়েছে। এরপর অবশ্য রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৩০০ পিএমইউ-২ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে ইরান। এগুলো অনেক উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এবং শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে।
ইরান নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তৃতীয় খোরদাদ। এতে স্থানীয়ভাবে তৈরি তাইর ২-বি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হয়েছে, যা ২৫ মাইল পর্যন্ত শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। ২০১৯ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার সময় পারস্য উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থপ গ্রুম্যানের আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নামের ড্রোন ভূপাতিত করে খোরদাদ।
এরপর রাশিয়ার এস-৩০০ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে ইরান ২০১৯ সালে বাভার-৩৭৩ নামে একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে। তেহরানের দাবি, ১৮০ মাইল দূর থেকে একসঙ্গে ৩০০ লক্ষ্যবস্তুকে একসঙ্গে শনাক্ত করতে পারে এ সিস্টেম। সায়াদ-৪ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ১২০ মাইল রেঞ্জের ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতও করতে পারে এটি।
আরব বিশ্ব : যদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায় তবে দেখা যাবে, সেখানে মাঝারি পাল্লা ও অধিক উচ্চতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। আবুধাবি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দীর্ঘ পাল্লার এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট পিএসসি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও থাড ব্যবহার করে থাকে। দেশটির কাছে রাশিয়ার তৈরি প্যান্টসির এস১এস নামের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও রয়েছে। আরব আমিরাতের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষায় প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের চুক্তি রয়েছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সৌদি আরবের কি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আছে? সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। রিয়াদ ইতিমধ্যে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। সৌদি তাদের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার কথা ভাবছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো অবশ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বেশ দুর্বল। ইরাকের হাতে মাত্র কয়েক ডজন রাশিয়ার তৈরি প্যান্টসির-এস১ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের শাসনামলে এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছিল দেশটি; যা উল্লেখ করার মতো।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখে। সিরিয়ায় ইরানের সৈন্যদের মোকাবিলায় ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১৮ সালে সিরিয়াকে এস৩০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে রাশিয়া। তবে সেটা রাশিয়ার কর্মকর্তারাই শুধু চালু করতে পারেন। সিরিয়ার সেনাদের তা চালু করার অনুমতি নেই। এস-৩০০ ছাড়া সিরিয়ায় কাছে বাক-এম২ ও প্যান্টসির-এস১ রয়েছে। জর্ডানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা খুবই সামান্য। লেবাননেরও একই পরিস্থিতি।
আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিষয়টিতে তুরস্ক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটির কাছে পুরোনো এমআইএম-২৩ ও ব্রিটিশদের তৈরি র্যাপিয়ার রয়েছে। আঙ্কারা এখন পুরোনো সিস্টেমের বদলে হিসার পরিবারের স্বল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। গত বছর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের সঙ্গে তেল-গ্যাসখনির সন্ধান নিয়ে উত্তেজনার মধেই রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার কথা জানায় তুরস্ক। এ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি নিয়ে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ওই সময় এস-৪০০ নিয়ে তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে কিছু উন্নত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী বিমানবাহিনীর জন্যও সম্ভাব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments