৯৬ঃ পুরোনো প্রেম যখন ফিরে আসে
৯৬ঃ পুরোনো প্রেম যখন ফিরে আসে
বিজয়
সেতুপাথি এবং তৃষ্ণা কৃষ্ণন অভিনীত ৯৬ সিনেমাটি ২০১৮
সালে তামিল ভাষায় মুক্তিপ্রাপ্ত একটি রোমান্টিক চলচ্চিত্র। রামু একজন ফটোগ্রাফার। সে ছন্নছাড়া জীবন
যাপন করে। এক বিশেষ কারণে
সে অবিবাহিত। প্রায় ২২ বছর আগে
১৯৯৬ সালে ক্লাস টেনে থাকা অবস্থায় তার সাথে জানু নামের এক মেয়ের মন
দেওয়া-নেওয়া থেকে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণতি পায়। তবে কলেজ জীবনের পর তাদের মধ্যে
আর কখনোই যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু রামু কথা দিয়েছিলো সে জানু ছাড়া
আর কাউকে কখনো বিয়ে করবেনা। ঠিক ২২ বছর পর
স্কুলের বন্ধুরা মিলে ঠিক করে তাদের একটা বড় রিইউনিয়ন হবে
যেখানে রামু সেই অনুষ্ঠানের স্মৃতি তার ক্যামেরায় বন্দি করবে এবং রামু জানতে পারে সেই রিইউনিয়নে জানুও আসবে। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের রাতে জানা যায় জানু বিশেষ কারণে আসতে পারবেনা। রামুর প্রচণ্ড মন খারাপ হয়
তবে তারপরেও সে তার মানিব্যাগে
যখন জানুর ছবি দেখতে পায়, তাকে মনে করে সে অনুষ্ঠানে হাসিমুখে
অংশ নিতে চায়। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। একে একে সব বন্ধু-বান্ধব
আসে। কিন্তু জানু! সে আর আসেনা।
তবে অনুষ্ঠানের মাঝখানে জানু এসে হাজির হয়। জানু জানতে পারে রামু অনুষ্ঠানে এসেছে। সে ততদিনে জেনে
গিয়েছে রামু একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার। সে অনুষ্ঠানের ফাকে
এক পর্যায়ে রামুর সাথে দেখা করে। জানু তখন রানুকে নিয়ে নিজের মতো সময়টা কাটাতে চায়। তারা এক রাতের জন্য
আবার সেই স্কুল জীবনের প্রেমের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায়। রামু জানুর ছবি তুলে দেয়। ঠিক স্কুল জীবনে তারা যেই নিয়ন আলোর নিচে হাটতো সেখানে হাটে। জানু রামুকে চুল কাটাতে নিয়ে যায় যেমনটা সেই স্কুল জীবনে জানু রামুকে কাটতে বলতো। এদিকে রাত শেষে ভোর শুরু হয়ে গেলো। অনুষ্ঠানের সময়ও শেষ। এবার তো জানুর বিদায়
নেবার পালা। জানু এয়ারপোর্টে চলে যায় তার সাথে রামুও আসে। জানু জানায় রামু একা দিন পার করলেও জানু তার স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সুখের দিন পার করছে। কিন্তু বিদায় নেবার সময় জানু রানুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। সেই ২২ বছর আগের
রামুর শরীরের সেই চেনা গন্ধ, সেই অশ্রু ভেজা চোখ সে আবার ছুয়ে
দেখে। এই সিনেমায় সিনেমাটোগ্রাফি
চমৎকার। বেশ কিছু মেটাফোরিক শট দেখা যায়।
যেমন শান্তির প্রতীক দুটো কবুতর পাশাপাশি থাকার পর এক ঝটকা
বাতাসে তারা দূরে সরে যায় সেভাবে রামুর জীবন থেকেও জানু যে এভাবেই সরে
গিয়েছিলো! চমৎকার ছিলো ফ্রেমিং, বিশেষ করে যখন নিয়ন আলোর নিচে দাড়িয়ে তারা যখন হাটছিলো মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সমস্ত সুখ তাদের মধ্যে চলে এসেছে যেনো অন্ধকারও আলোকিত হয়ে যাচ্ছে।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments