Her অসাধারণের উপরে থাকা সিনেমা
প্রেম
বিষয়টা সর্বজনীন সেটা মানুষের সাথেই যে শুধু হয়
তা নয় বিভিন্ন জীবের
সাথেই হতে পারে। তবে প্রনয়টা যদি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের সাথে হয় তখন ব্যাপারটা
কেমন হতে পারে?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির ফলে আমরা যে অনেকটাই প্রযুক্তির
উপর ভবিষ্যতে নির্ভরশীল হবো তা অনেক গবেষকরা
কয়েকবছর আগে থেকেই বলে যাচ্ছে। এমনকি এধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (হোক সেটা রোবট কিংবা কম্পিউটারের কোনো প্রোগ্রামিং সিস্টেম) কারও জীবন সংগীর চাহিদা মিটাবে, যৌন আকাংখা পূরণ করবে এমনটাও কি ভাবা যায়!
পরিচালক স্পাইক জোঞ্জ এমনই এক উদ্ভট প্রেম
এবং তার পরিনতি কি তাই দেখিয়েছেন
এই সিনেমায়। সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করা ফিনিক্স একজন প্রেসে চিঠি লেখক। তার স্ত্রীর সংগে সুন্দর জীবনের বিচ্ছেদ হয়েছে পরকীয়ার কারনে। একাকী বিষন্ন জীবন কাটানো ফিনিক্সের সংগি হিসেবে আসে তার পকেট কম্পিউটার। ২৪ ঘন্টার অর্ধেকেরও
বেশি সময় কাটে তার এই যন্ত্রটার সাথেই।
কম্পিউটারে সে এক মহিলা
ভয়েস সেট করে,যা গুগোল এসিস্ট্যান্ট
এর চেয়েও অনেক দায়িত্বশীল কাজ করে। দৈনন্দিন খোজ নিতে থাকে সেই কম্পিউটারের মহিলা কন্ঠটা। খুব কাছের বন্ধু হয় তার। আশেপাশের
সত্যিকারের মানুষগুলোকে কেমন অচেনা লাগে! আবেগ অনুভূতিগুলো ঠিক নাড়া দেয়না। অথচ কম্পিউটারের কন্ঠ এক অন্যরকম মোহ
তৈরি করে, যা এক অদৃশ্য
অনুভূতি তৈরি করে এমনকি যৌন কামনাও পূর্ন করে। যার প্রভাব পড়ে বাস্তব সমাজে। আকার আকৃতিবিহীন এক কন্ঠ যেনো
তাকে স্পর্শ এবং দর্শনের জন্য ব্যকুল করে তোলে। সত্যিকারের মানুষের প্রতি বিতৃষ্ণা শুরু হয়। তবে দিন শেষে ফলাফল কি হয়? সেই
সুকন্ঠি কম্পিউটার কি আসলেই বাস্তবতার
স্বাদ দিতে পারে? নাকি দৃশ্যমান কোনো নারীকেই দিন শেষে খুজে নিতে হয়?নাকি সমস্ত
দুনিয়াই আসক্ত হয় ভার্চুয়াল প্রেমের
উপর। পুরো সিনেমা দেখলে এর উত্তর পাবেন।
সিনেমার
মূখ্য চরিত্রে আছেন ফিনিক্স এবং স্কারলেট জোহানসন। এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে আছেন অলিভিয়া এবং রুমি। কিন্তু সিনেমায় স্কারলেট এবং ফিনিক্স যেনো পরস্পরকে ছাড়িয়ে গেছে। পুরো ২ ঘন্টা ৫
মিনিটের সিনেমায় স্কারলেট তার অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে তার কন্ঠের দৃঢ়তা এবং আবেগ দিয়ে। প্রোগ্রামের ভিতর থেকে স্কারলেটের কন্ঠ যেনো এক সত্যিকারের নারীর
মন এবং প্রমের জন্ম দিয়েছে। ঘুম থেকে তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে যৌন তৃপ্তি দেওয়ার যে ক্ষমতা তা
দর্শকদের হিপনোটাইজড করতে বাধ্য করবে। ফিনিক্সের একাকিত্বের যে অভিব্যক্তি এবং
অদৃশ্য কাউকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাওয়ায় তার চোখে মুখে যে আনন্দের ছাপ
আর ছোট ছোট অভিমানে চাপা কান্না আপনার হৃদয়ে মোচড় দিবে নিশ্চিত। পরিচালক স্পাইক জোঞ্জ যুগের চেয়েও আপডেট এবং প্রেমের নতুন এক ডায়মেনশন তিনি
তৈরি করেছেন। এই অবাস্তব, হাস্যকর
এবং মরিচিকাময় প্রেমের হয়তো আজ থেকে ১০০-১৫০ বছর পরে হাজারও পুরুষের জীবনে দেখা মিলবে।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments