প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে
বাংলাদেশের মতো একটি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুটি দিক আছে। আমরা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা মানুষের পার্থিব উন্নয়নের কথা বলি, তখন দুটি জিনিসের ওপর আমরা বেশি নজর দিই। একটি হলো প্রবৃদ্ধি এবং সঙ্গে সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন। দ্বিতীয়টি হলো সার্বিক উন্নয়ন।
দুটির মধ্যে কিছুটা গুণগত পার্থক্য আছে। প্রবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক উন্নতি বলতে সাধারণত মানুষের আয়ের সংস্থান, কর্মসংস্থান—এগুলোই আমরা বুঝে থাকি। প্রবৃদ্ধি যদি বেশি হয়, তাহলে কাজের ওপর প্রভাব পড়ে। তবে গ্রোথ বেশি হলে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে, সেটি আবার ঠিক নয়।
যেটি আমাদের দেশে দেখা গেছে যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নও কিছু বাড়ছে, কিন্তু সার্বিক উন্নয়ন আশানুরূপ হচ্ছে না। আমাদের যে মৌলিক চাহিদা আছে—তার মধ্যে খাদ্য, বাসস্থান, এর সঙ্গে আরো কতগুলো মৌলিক চাহিদা—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কথা বলার অধিকার, মতামত ব্যক্ত করার অধিকার এবং দেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অধিকার—এগুলো সার্বিক উন্নয়নের একটি দিক।
সাধারণত যেকোনো দেশের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি গোল থাকবে এবং অভীষ্ট লক্ষ্য থাকবে সার্বিক উন্নয়নের দিকে। আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসস্থান—কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে।
কিন্তু সেটি কাঙ্ক্ষিত নয়। সামষ্টিক সূচকগুলোতে আমরা ভালো করছি। যেমন—আয়, রপ্তানি আয়, কৃষি, যোগাযোগব্যবস্থা, প্রযুক্তি—সামষ্টিক ব্যাপারগুলো, সেগুলোতে আমরা লক্ষণীয় উন্নতি দেখতে পাই। কিন্তু সেগুলোর যে নানা রকম সুফল মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা, মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দেওয়া; সেটির ব্যাপারে কিন্তু আমাদের অনেক রকম প্রশ্ন আছে!
নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল বলেছে, উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকতা দরকার। কারণ তারা উন্নয়নের ব্যাপারে বহু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেটি তারা জনগণের কাছে তুলে ধরছে।
আমাদের প্রশ্ন হলো, অর্থনীতিতে উন্নয়ন বা প্রবৃদ্ধি কেন হলো? সেটির সাতটি ক্ষেত্র আমি বিশেষ করে চিহ্নিত করতে চাই। এক. কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতির রূপান্তর। সঙ্গে সঙ্গে কৃষি প্রক্রিয়াকরণের ব্যাপারগুলো আমরা বেশি উন্নত করতে পেরেছি। কৃষি বলতে শুধু শস্য উৎপাদন নয়—পশুসম্পদ, প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গেমৎস্যসম্পদ, পোলট্রি—এগুলোরও মোটামুটি একটি ভালো ফল আমরা পেয়েছি। দুই. আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে একটি ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমাদের রপ্তানিটা সীমাবদ্ধ—সেটা হলো গার্মেন্টস সেক্টর। বাকিগুলো কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তবু সেটা প্রশংসাযোগ্য। তিন. দেশে বৃহৎ শিল্প অনেকগুলো উন্নতি করেছে। বৃহৎ শিল্প বলতে আমি বলছি, রড, সিমেন্ট, ইস্পাত, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি—এগুলো কিন্তু আমাদের বেশ সন্তোষজনক। এবং এগুলো শুধু দেশের চাহিদাই মেটায় না; বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। চার. রেমিট্যান্সের আয়। আমাদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে শ্রম দিয়ে বিদেশে আয় করছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাচ্ছি এবং সাপোর্ট পাচ্ছি। আমাদের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স—দুটিই কিন্তু আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মূল অংশ। পাঁচ. যেটি সবচেয়ে লক্ষণীয়, কিন্তু লোকজন সেটি এড়িয়ে যায়—সেটি হলো ক্ষুদ্রঋণের যে কন্ট্রিবিউশন। ক্ষুদ্রঋণ বলতে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা নয়; এখন পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ, মানে ছোট বা মাঝারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে অবদান কিন্তু বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। ছয়. ভৌত অবকাঠামো। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বড় বড় রাস্তা হয়েছে, সেতু হয়েছে, টানেল হয়েছে বা অন্যান্য রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, রেল হয়েছে। এবং লোকজন সুফল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাচ্ছে। সাত. প্রযুক্তি। প্রযুক্তিগত দিক আমাদের উন্নতি হয়েছে। আইসিটিগত যেটি উন্নতি হয়েছে, সেটি হলো ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে আমরা যে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস দেখি, তারপর অন্যান্য যে যোগাযোগ দেখি, প্রযুক্তি কিন্তু মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের জীবনযাত্রা সহজ করে তুলেছে। প্রযুক্তিতে আমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে।
এখন আসা যাক ভবিষ্যতের জন্য আমরা এগুলোর উন্নতির ধারাবাহিকতা কিভাবে রাখব। এই সাতটি জিনিসের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কতগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। প্রথমত, আমি বলব, আমাদের সবচেয়ে বেশি এখন নজর দিতে হবে কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখন নানা রকম চ্যালেঞ্জ চলে এসেছে। যেমন—আমরা আলুর ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম। প্রশ্ন হচ্ছে, আলুতে কি আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ? পেঁয়াজের ব্যাপারেও এমন প্রশ্ন। চালের ব্যাপারে আমরা বলেছি, চাল তো এখন আমদানি করতে হয় অনেক। গমও করতে হয়। খাদ্যে যে আমরা কিছুটা স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম, সেটা কিছুটা কমে যাবে কি না—এটা একটা বড় প্রশ্ন।
দ্বিতীয়ত আমি যেটা মনে করি, সেটা হলো রপ্তানি। ইদানীং আমরা দেখছি, রপ্তানি আয় কমে গেছে। মানে গ্রোথ কমে গেছে। শুধু আমি দেখলাম পোশাকশিল্পে, তা-ও নিটওয়্যারে কিছুটা গ্রোথ পজিটিভ হয়েছে সার্বিকভাবে। বাকিগুলো কিন্তু হয়নি তেমন। আর কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু চামড়াশিল্প, পাট অন্যান্য শিল্পে কিন্তু একেবারেই হয়নি। মানে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।
তৃতীয়ত, আমাদের রেমিট্যান্স বাড়াতেই হবে। এবং সেটার জন্য যারা বাইরে যাচ্ছে, তাদের সহায়তা দিতে হবে। এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট—এটা-সেটা আসছে, আমাদের টাকার মূল্য কী হবে, এটাতে যাব না, কিন্তু এটা একটা বড় ফ্যাক্টর।
চতুর্থত, ক্ষুদ্রঋণ। আমাদের ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলো কিন্তু একটা বৃহৎ কর্মসংস্থানের বড় দিক। বড় বড় শিল্পে বিনিয়োগের তুলনায় কর্মসংস্থান কম হয়। কারণ এগুলো উচ্চ প্রযুক্তির জিনিস। ছোট ও মাঝারি শিল্পে লোকজনের কর্মসংস্থান এবং সেখানে সাধারণ মানুষ লাভবান হয়। তাদের আয়ের সংস্থান হয়। অতএব কর্মসংস্থান ও আয়ের দিক দিয়ে এটা বড়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ এবং সরকার যে প্রণোদনা দেয়, সেটা ছোট ও মাঝারি শিল্পে, যেটাকে আমরা সিএসএমই (কটেজ স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ) বলি, উল্লেখযোগ্যভাবে সেখানে যায়নি।
আর সবচেয়ে বড় হলো প্রযুক্তির ব্যাপারটা। আমরা দেখছি, এখানে মানুষকে সঠিক সেবা দেওয়া, সঠিক মূল্যে সঠিক সময়ে দেওয়া—অনেকটা ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। এই যে আমরা মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস বলছি, টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করছি। এতে কিছুটা সুবিধা হচ্ছে, কিন্তু সার্বিকভাবে আরেকটু সুবিধা পাওয়া অর্থাৎ স্বল্প ব্যয়ে সুবিধা পাওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত হয়নি। আর এখানে সিকিউরিটিরও ব্যাপার আছে। প্রযুক্তির আরো উঁচু ধাপে যেতে হবে।
এখন আসা যাক ভিন্ন একটি দিকে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো, তা ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান বলি, বাংলাদেশ ব্যাংক বলি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন বলি বা টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন—আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো, যেগুলো নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান—সেগুলোর কার্যক্রম নিয়ে আমরা দিন দিন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। এখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, নিষ্ঠা—এগুলোর অভাব কিন্তু আমরা অনুভব করছি। প্রতিষ্ঠান ছাড়া কিন্তু একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা যাবে না। এটি অনস্বীকার্য।
সে জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভালো এবং আরো দক্ষ করতে হবে। এখানে আমাদের কতগুলো বেসিক সংস্কার আনতে হবে। প্রথমত, নীতিমালা পরিপালনের ক্ষেত্রে কতগুলো সংস্কার আনতে হবে। এটি নিয়ে আমরা দেখি যে আইএমএফ বারবার বলছে, সংস্কার করো, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করো। রাজস্ব আদায়ের খাতে সংস্কার—এই সংস্কারগুলো কিন্তু হচ্ছে না। এটি ছাড়া আমরা কিন্তু সুফল পাব না। কারণ পুরনো আইন, পুরনো ধ্যান-ধারণা বা পুরনো ব্যবস্থা দিয়ে কিন্তু সামনে এগোনো যাবে না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, অর্থের সদ্ব্যবহার—বিশেষ করে সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার। এটির অপচয় রোধ করতে হবে। সর্বোপরি দেশ থেকে অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে। কারণ অর্থপাচার বন্ধ না করলে কিন্তু আমাদের গ্রোথ, উন্নয়ন বা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারব না।
একটি উদাহরণ দিই। আমাদের রেমিট্যান্স কমেছে, কিন্তু খুব যে কমেছে, তা কিন্তু নয়। দেশে রেমিট্যান্স আসছে, কিন্তু আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট পলিসির কিছুটা দুর্বলতার কারণে বা গলদের কারণে বেশির ভাগ রেমিট্যান্স আসছে হুন্ডির মাধ্যমে। এতে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে না। একটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, রেমিট্যান্সের বহু অর্থ কিন্তু ওখানে কিছু এজেন্ট আহরণ করে—যারা সুবিধাবাদী লোক, তারা আহরণ করে বিদেশে রেখে দেয়। দেশে শ্রমিকরা টাকা পায়, কিন্তু তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে থেকে যায়। যারা ধনী বা অর্থপাচারে জড়িত, তাদের কাছে চলে যায়।
অতএব এখন সময় আসছে এই জায়গাগুলোতে কাজ করার। আমি মনে করি, নতুন সরকার গঠনের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রমে অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দিতে হবে। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আর সর্বশেষ এই কার্যক্রমের কতগুলো বড় দিক লক্ষ করতে হবে, সেটি হলো উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। শুধু ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম তথা শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন করলে হবে না। যদিও গ্রামে-উপশহরে উন্নয়ন হচ্ছে—সেটি সমানভাবে নয়। সার্বিক উন্নয়ন নয়। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—সব কটির ব্যালান্সভাবে উন্নয়ন করতে হবে।
সবচেয়ে বড় হলো, গণতন্ত্র এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। এখন অনেকে নানা রকম কথাবার্তা বলছে যে আমাদের গণতন্ত্র একেবারে এসেনশিয়াল দরকার কি না বা গণতন্ত্র ছাড়াও তো উন্নয়ন হয়! অনেকে অনেক রকম বিকৃত যুক্তি এবং উদাহরণ দেয়। গণতন্ত্রে ভুলত্রুটি থাকতে পারে, কোনো জিনিসই পারফেক্ট নয়, কিন্তু সেখানে একটি সুবিধা হলো, জনগণের ইচ্ছার কিছুটা হলেও প্রতিফলন হয়। অংশগ্রহণটা নিশ্চিত থাকে। এবং যখনই তারা অংশগ্রহণ করে, তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তখন সরকার ও শাসন ব্যবস্থায় যারা জড়িত, তারা কিন্তু দায়বদ্ধ থাকে। সেটি যদি না থাকে—অন্য যেকোনো ব্যবস্থায় যতই উন্নয়ন করি না কেন—লোকের মুখে ভাত তুলে দিলাম, তার সুযোগ-সুবিধা করে দিলাম, কিন্তু সেটি হবে এক ধরনের আনুকূল্যের মতো—এটি জমিদাররা আগে করত। রাজা-মহারাজারা করত যে তোমার হাতে অন্ন, খাদ্য দিলাম। আধুনিক যুগে যদি সরকার এ ধরনের অ্যাপ্রচ নেয়, ভঙ্গি নেয়, এ ধরনের কৌশল নেয়, তবে কিন্তু এটি মোটেও কার্যকর হবে না। বিশ্বের দরবারে কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে। এগিয়ে যেতে হলে যুগপৎ প্রয়োজন গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন দুটিরই।
লেখক : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
No comments