অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর হবে যেসব খাবার খেলে
আজকাল অনেকের মাঝেই বিশেষ করে তরুণদের মাঝে পরিচিত শব্দ এংজাইডি, সহজ কথায় দুশ্চিন্তা। জীবনে কম-বেশি সবাই নানা সময়ে দুশ্চিন্তা করে, যা স্বাভাবিক। তবে অনেকেই ভোগেন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার অবিরত ঘূর্ণিতে। এই অতি চিন্তা-দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যার প্রথম চিকিৎসা আত্মনিয়ন্ত্রণ, ধ্যান, কাউন্সেলিং। তবে কিছু খাবারও আপনাকে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকতে ম্যাজিকের মতো কাজে দিতে পারে।
মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে ফুরফুরে রাখার কয়েকটি খাবার :
গাজর ও আপেল
নিউট্রিশান নুপটিয়ালসের প্রতিষ্ঠাতা মান্ডি এনরাইট বলেন, মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম সেরা খাবার হচ্ছে তাজা সবজি ও ফল। এরমধ্যে গাজর ও আপেল মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি চোয়ালের অনমনীয়তা দূর করে। চিবিয়ে বা কামড়িয়ে খেতে হয় এমন খাবার ফোকাসকে পুনর্নির্দেশিত করতে পারে এবং মানসিক চাপ কমাতে পারে।
নানাজাতের বাদাম
কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদামে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এবং সবচেয়ে উপকারী উপাদান ম্যাগনেশিয়াম। বাদামের এই সব উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক। নিয়মিত রসুন খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওটস
প্রচুর আঁশযুক্ত ওট খাবার শরীরের নানা চাহিদা মেটায়। বিশেষত মস্তিষ্কে ‘সেরোটোনিন’ নামের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরিতে খুবই সহায়ক ওট। সেরোটোনিন এমন এক রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কে ‘ভালো লাগার’ অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এই অনুভূতি মানসিক অবসাদ দূর করতে দারুণ কার্যকরী।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।ভিটামিন সি
কমলা, আঙুর, গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি, লেটুস পাতার মতোকিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার স্নায়ুকে শান্ত রাখতে এবং উদ্বেগ কমাতে অত্যন্ত সহায়ক।
পালংশাক
যখন আমরা মানসিক চাপে থাকি আমাদের মাংসপেশীগুলো টাইট হয়ে পড়ে। এই সময়ে আমরা কোনো কিছু চিন্তা করতে পারি না। ঘুমাতে সমস্যা হয় ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। যে পুষ্টি এসব উপসর্গকে প্রশমিত করতে পারে তা হলো ম্যাগনেসিয়াম। কিন্তু মানসিক চাপে থাকলে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। ‘ডায়েট ডায়াগনোসিস: নেভিগেটিং দ্য মেইজ অব হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন প্ল্যানস’ বইয়ের লেখক ডেভিড নিকো বলেন, ‘পালংশাকের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটি মানসিক চাপ নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।’
সুগন্ধি চা
ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইল ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ চা স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এছাড়াও চা পানের অভ্যাস শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়।
টক দই
টক দই মানসিক চাপ কমাতে খুবই উপকারী। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে আত্মবিশ্বাস ও সাহস বাড়ায়। পাশাপাশি চাপ কমায়। টক দই খেলে সাময়িকভাবে মানসিক অশান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ডার্ক চকোলেট
দুশ্চিন্তা কমাতে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি যৌগ যা মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
চর্বিসমৃদ্ধ মাছ
স্যামন, দেশীয় নদীর পাঙ্গাস, বোয়াল, আইড়, সামুদ্রিক কড মাছের মতো উপকারি চর্বিসমৃদ্ধ মাছ খেলে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের ব্যালান্স নিশ্চিত হয়। মন প্রফুল্ল থাকে।
No comments