Adsterra

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল



মাইকেল মধুসূদন দত্ত ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, ছাত্রজীবনে মধুসূদন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, Today Trending News, Today Viral News

অনন্য বৈশিষ্ট্য ও ব্যতিক্রমী ঢঙের বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও নাট্যকর্মের পথিকৃেদর কথা স্মরণ করতে গেলে অনিবার্যভাবে উনিশ শতকের কাব্য ও নাট্যস্রষ্টা মধুসূদন দত্তের কথা মনে পড়ে। ট্র্যাজিক এপিক ‘মেঘনাদবধ’-এর স্রষ্টা এই ব্যতিক্রমী নাট্যকার ১৮৭৩-এর ২৯ জুন ওপারে চলে যান। ইংরেজি কাব্য রচনায় প্রবল আসক্তি থাকলেও অবশেষে বাংলার জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেননি। জীবনের শেষভাগে তিনি বাংলা ভাষার মাঝেই বিচরণ করেছেন।


তিনি রেখে যান বাংলায় রচিত তাঁর অনন্য কীর্তি, যা আজও আমাদের নিয়ে যায় বিষাদ, ভালোবাসা ও জীবনের অতলে। বিশুদ্ধ অনেক অনুভূতি উচ্চকিত হয়ে ওঠে তাঁর রেখে যাওয়া কাব্য ও সাহিত্যের গভীরে গেলে। আজ তাঁর ১৪৬তম প্রয়াণ দিবসে তাই তাঁকে নিয়ে লেখার ইচ্ছাটা দমিয়ে রাখতে পারছি না। বাংলা সনেটের এই ব্যতিক্রমী স্রষ্টা এবং ইংরেজি রীতি ও ঢঙে বাংলায় রচিত নাট্যকর্মের পুরোধা মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম আমাদের যশোর জেলার কেশবপুরে।


এ আমাদের গর্ব।

কবি মধুসূদনকে বোঝার জন্য সাহিত্যজ্ঞান আমার নেই। কেননা আমি কোনো কবি বা সাহিত্যিক নই। কিন্তু কবির প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ থেকেই আমি সাগরদাঁড়িতে কবির জন্মস্থান, ফরাসি রাজ্যের ভার্সাইতে কবির সাময়িক আবাসস্থল ও কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডে কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের জন্য ছুটে গিয়েছি বিভিন্ন সময়ে।



আমার মতো হয়তো প্রত্যেক বাঙালিই কবিকে স্মরণ করেন বিনম্র শ্রদ্ধায়। সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে আমরা যখন স্কুলের ছাত্র তখন কপোতাক্ষ (কবতক্ষ) নদ কবিতাটি সম্ভবত নবম বা দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই কবিতাটি পড়েই প্রথম চতুর্দশপদী কবিতার কথা শুনি ও ধারণা পাই। বাংলায় যাকে চতুর্দশপদী কবিতা বলে ইংরেজিতে সেটা হলো ঝড়হবঃ। জানা যায়, ষোড়শ শতাব্দীতে ইংরেজি সাহিত্যে এর প্রথম প্রচলন হয়।


বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার পথিকৃৎ হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

সনেট শব্দটির বাংলায় ভাষান্তর কবি মধুসূদন নিজেই করেছিলেন। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে কবি যখন ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থান করছিলেন তখন ইতালির এক কবির লেখা একটি সনেট কবিতা পড়ে তিনি এই রীতির কাব্য রচনায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে অনেকের ধারণা। সনেটের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, কবিতাটি চৌদ্দ লাইনে লিখিত এবং প্রতিটি লাইনে সাধারণত চৌদ্দটি অক্ষর থাকে। এ ধরনের কবিতাকেই সম্ভবত অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতা বলা হয়। আগেই বলেছি, আমি কবি বা সাহিত্যিক নই, তাই চতুর্দশপদী কবিতা বা অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতা সম্পর্কে ওপরে যা বলেছি তাতে যদি কোনো ভুল থেকে থাকে, তাহলে যে কেউ আমাকে শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ হব।


মধুসূদন আমাদের বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত কেশবপুর থানার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মেছিলেন ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি। তাঁর বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন এলাকার বড় জমিদার। মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। ছাত্রজীবনে মধুসূদন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। স্কুলের পাট চুকিয়ে কলকাতার হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময় দুজন ইংরেজ শিক্ষকের বেশ প্রভাব ছিল মধুসূদনের ওপর। তাঁরা হলেন ডিরোজিও (ডি রোজারিও) ও রিচার্ডসন। ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি—এসব বিষয়েরই দোষগুণ আলোচনা করে নিজেদের কর্তব্যপথ নির্ণয় করতে শিক্ষা দিতেন। রিচার্ডসনও কবির একজন আদর্শ পুরুষ ছিলেন। তাঁর অনুপ্রেরণায়ই কবি কলেজজীবনে শুধু ইংরেজিতেই কাব্যচর্চায় আকৃষ্ট হন।


খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নামের আগে ‘মাইকেল’ শব্দটি যুক্ত হয়। তখন থেকেই তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত নামে পরিচিতি লাভ করেন। তখনকার গোঁড়া হিন্দু সমাজ কবির এই ধর্মান্তরিত হওয়াটাকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। পরিণতিতে কবিকে ছাড়তে হয় হিন্দু কলেজ, বিশপস কলেজে ভর্তি হন। এ সময় কবির এমনতর কর্ম ও ধ্যানে বিরূপ পিতা রাজনারায়ণ দত্তও ছেলেকে অর্থ প্রেরণ বন্ধ করে দেন। বিশপস কলেজে অধ্যয়নের পাট চুকিয়ে ১৮৪৮ সালে কবি মাদ্রাজ গমন করেন। মাদ্রাজে এসে তিনি প্রথমে কোনো চাকরি পাননি। অবশেষে অতি অল্প বেতনে একটি অনাথ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। পরে অবশ্য তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষকতার পদে এবং স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্তি পান। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘Spectator’। পত্রিকাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি মাদ্রাজের বিভিন্ন পত্রিকায় ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন।

শাহরিয়ার সোহাগ উপন্যাস "মানুষ" - ভিন্ন চোখে মানুষের গল্প

১৮৪৯ সালেই তিনি ‘Captive Lady’ কাব্য রচনা করেন। কিন্তু কবির এই অনন্য প্রতিভার কথা তৎকালীন কলকাতার সংবাদপত্রসমূহ তেমনভাবে প্রচারে আগ্রহী হতো না। এমনকি বাঙালি পাঠকরাও কবির এই কাব্যকর্মকে প্রসন্নচিত্তে গ্রহণ করেননি। এ কারণে তাঁর গুটিকয়েক বাঙালি বন্ধু তাঁকে মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে ১৮৫৬ সালে কবি মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন এবং নিজ ভাষায় সাহিত্যকর্ম রচনায় নিবিষ্ট হন। এখানে উল্লেখ্য, ১৮৪৮ সালে মাদ্রাজে অবস্থানকালে রেবেকা নাম্নী এক স্কটিশ মেয়েকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের সাত বছর পর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১৮৫৬ সালে কবি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজের এক অধ্যাপকের মেয়ে কুমারী হেনরিয়েটাকে বিয়ে করেন। তিনিই মাইকেল মধুসূদনপত্নী হিসেবে সমধিক পরিচিত।


১৮৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দে তাঁর মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ’ প্রকাশ করেন। যদিও কবি কলকাতায় এসে বাংলা সাহিত্যচর্চায় মন দিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁর মন থেকে ইউরোপ যাওয়ার বাসনাটি তিরোহিত হয়নি। ১৮৬২ সালের জুন মাসে কবি ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হন। আর্থিক অনটনের জন্য ১৮৬৩ সালে তিনি একটু সাশ্রয়ী জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসবাস শুরু করেন। এ সময়ও তাঁর অর্থকষ্টের তেমন কোনো সুরাহা হয়নি। পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অর্থানুকূল্যে তিনি ১৮৬৫ সালের শেষার্ধে আইন পড়ার জন্য আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং ১৮৬৬ সালের শেষভাগে মধুসূদন লন্ডনের গ্রেইজ ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করেন।


১৮৬৭ সালের গোড়ার দিকে মাইকেল মধুসূদন কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেছিলেন। এ পেশায় তাঁর আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। ১৮৭০ সালে তিনি আইন পেশা ছেড়ে মাসিক এক হাজার টাকা বেতনে কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদ বিভাগের পরীক্ষকের চাকরি গ্রহণ করেন। দুই বছর চাকরি করার পর মধুসূদন আবার আইন পেশায় ফিরে যান। কিন্তু তখনো এই পেশায় তিনি সাফল্যের মুখ দেখেননি। অবশ্য তত দিনে তিনি সাহিত্যকর্মে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় একজন বড় কবি এবং সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতির চরম শিখরে পৌঁছে যান।


কবির আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁর শরীরে নানা ধরনের রোগব্যাধি বাসা বাঁধে। ঋণের যন্ত্রণায় তিনি ছিলেন জর্জরিত। শুধু ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণেই জমিদার পিতার বিশাল সম্পদ থেকে কবি যেমন বঞ্চিত হয়েছিলেন, তেমনিভাবে গোঁড়া হিন্দুসমাজ কর্তৃক পরিত্যাজ্যও হয়েছিলেন। আর এরূপ কষ্ট নিয়েই ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন এই মহান কবি এ পৃথিবী ছেড়ে পরপারে গমন করেন।


আমি সপরিবারে ২০০০ সালে যশোরের কেশবপুর থানার সাগরদাঁড়ি গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটা দেখতে গিয়েছিলাম। একদিন যে বাড়িতে কবির প্রবেশাধিকার ছিল না বাবা রাজনারায়ণ দত্তের নিষেধের কারণে, সেই বাড়িটি আজ পরিচিতি লাভ করেছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি হিসেবে। সযত্নে রাখা আছে বিরাট বাড়িটি। এখন সেখানে প্রতিবছরই কবির জন্মদিনে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়।


২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডন থেকে সড়কপথে প্যারিস পৌঁছি। লন্ডন থেকে দুই বাঙালি ভদ্রলোক মাইক্রোবাস জাতীয় একটি বেশ আরামদায়ক গাড়িতে করে আমাদের প্যারিসে পৌঁছে দেন। পরদিন ২০ তারিখ আমি ও আমার স্ত্রী ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে কবির স্বল্পকালের আবাসস্থল দেখতে গিয়েছিলাম। সুপ্রিয় বন্ধু বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমও সস্ত্রীক আমার সঙ্গে ভার্সাই সফর করেন। প্যারিস থেকে আমাদের হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা আমাদের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন এবং তিনিই কবির এই আবাসস্থলটিতে আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন।


প্যারিস থেকে ভার্সাই আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার পথ। ৩০ মিনিটেই এ দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। আবাসস্থলটির অফিশিয়াল ঠিকানা :


12 Rue Des Chantier, 78000, Versailles, France. বাড়িটির দোতলায় ছিল কবির থাকার ঘর। নিচতলায় বর্তমানে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। একটি বইয়ের দোকানও আছে নিচের দোকানগুলোর মধ্যে। শোপিসের দোকানের মালিক একজন ফরাসি ভদ্রমহিলা। তাঁকে অনেক কষ্টে বোঝাতে সক্ষম হই যে আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি এখানে কবি মধুসূদন দত্তের স্বল্পকালের আবাসস্থলটি দেখতে। ভদ্রমহিলা কিছু একটা আন্দাজ করে তাঁর দোকানের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দোতলার একটি ঘরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলছিলেন, ‘ইন্ডিয়ান পয়েটে’—‘ইন্ডিয়ান পয়েটে’। বাড়ির দোতলায় একটি কক্ষের বাইরের দিকে কালো পাথরের একটি নেমপ্লেট লাগানো আছে, এতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম লেখা আছে।


গেল বছরের (২০১৮) ২২ ফেব্রুয়ারি আমি কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডে অবস্থিত সিমেট্রিতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমাধিস্থল দেখতে যাই। আমি যখন লোয়ার সার্কুলার রোডের সিমেট্রিতে প্রবেশ করছিলাম, তখন সেখানে কর্মরত একজন নিরাপত্তাকর্মী আমার এই সিমেট্রিতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে আমি বলি, ‘আমি ঢাকা থেকে এসেছি, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমাধিস্থলটি দেখতে চাই।’ তখন নিরাপত্তাকর্মীটি আমাকে একটি রেজিস্টারে আমার নাম, ঠিকানা ও পরিচিতি লিখতে বলে তাঁর বসার স্থান থেকে উঠে গিয়ে আমাকে সিমেট্রির ভেতরে কবির সমাধিস্থলটি দূর থেকে দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘ওইটিই হচ্ছে আপনাদের দেশের কবির সমাধি।’ নিরাপত্তাকর্মীটির কথা শুনে আমি সমাধিস্থলে যাই। কিছু ফুল সমাধিস্থলে রেখে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কবির সমাধিস্থলে মার্বেল পাথরের তৈরি তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। তার পাদদেশে পাথরে খোদাই করা কবির একটি আহ্বান ও তাঁর নিজ পরিচয়ের কয়েকটি পঙিক্ত লেখা রয়েছে, সেগুলো হলো—


দাঁড়াও, পথিক-বর, জন্ম যদি তব


বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধিস্থলে


(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি


বিরাম) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত


দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন;


যশোরে সাগরদাঁড়ী কবতক্ষ-তীরে


জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি


রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী!


—মাইকেল মধুসূদন দত্ত।


কবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে একজন বঙ্গসন্তান হিসেবে তাঁর সমাধির পাশে ‘ক্ষণকাল’ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধাটুকু প্রকাশ করি। যখন আমি দাঁড়িয়ে কবির আহ্বানটি পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল অনেক অধিকার নিয়েই যেন কবি আমাকে তাঁর সমাধিস্থলে দাঁড়াতে আহ্বান করছেন।


সমাধিস্থল থেকে আমি যখন বেরিয়ে আসছি তখন নিরাপত্তাকর্মীটি দাঁড়িয়ে আমাকে সালাম দিয়ে বিনয়ের সঙ্গে সিমেট্রির প্রবেশ গেটে অবস্থিত তাঁদের অফিস কক্ষে যেতে অনুরোধ করেন। সম্ভবত রেজিস্টিতে আমার নাম, ঠিকানা ও পরিচয় দেখে নিরাপত্তাকর্মীটি আমাকে তাঁদের অফিস কক্ষে যেতে বলেছিলেন। আমার সময়ের তাড়া ছিল বলে সেখানে যেতে পারিনি। আমার জিজ্ঞাসায় নিরাপত্তাকর্মী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কদাচিৎ কেউ আসেন কবির এই সমাধিস্থলে।’

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.