কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার উপায়
জীবনে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস ঠাণ্ডা মাথায় যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার শক্তি যোগায়। আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির কাজের পারফরম্যান্স ভালো হয়, এটা তাকে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করে
একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি যেকোনো কাজ খুব সুন্দরভাবে এবং আরও ভালোভাবে করতে পারে। জীবনে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস ঠাণ্ডা মাথায় যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার শক্তি যোগায় এবং শক্তিশালী পেশাদার সম্পর্ক স্থাপন করতেও সাহায্য করে। তাই জীবনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার বিকল্প নেই।
কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস থাকার সুবিধা
১. কর্মক্ষেত্রে একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির কাজের পারফরম্যান্স ভালো হয়, এটা তাকে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করে।
২ কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস আপনার ভালো কাজ এবং কৃতিত্বের জন্য গর্বিত বোধ করতে সাহায্য করে এবং মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস আপনাকে যে কোন সমস্যা সমাধানে রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে। বিশেষ করে এটি আপনার নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ সর্বদা চিন্তামুক্ত এবং ইতিবাচক থাকে। আত্মবিশ্বাসী মানুষের ইতিবাচক মানসিকতা থাকায় এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস তৈরির উপায়
১. জ্ঞান অর্জন
কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস তৈরির প্রথম উপায় হল যত বেশি সম্ভব জ্ঞান অর্জন করা। যত বেশি জানবেন তত বেশি আত্মবিশ্বাস বাড়ানো আপনার পক্ষে সহজ হবে। তাই সব সময় কীভাবে শেখা যায় সেই চিন্তা করবেন এবং জ্ঞান অর্জনের মধ্যেই থাকবেন।
২. ইতিবাচক মনোভাব
জীবনে নেতিবাচক ধারণা আত্মবিশ্বাসহীনতার মূল কারণ। তাই যারা এমন ধারণা দেয়, এমন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন এবং সর্বদা ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। নিজের ভুলগুলো স্বীকার করার সৎ সাহস রাখুন। নিজেকে প্রতিনিয়ত শোধরানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিজের ভুলগুলো সবার আগে স্বীকার করা। এরপর সেগুলো সংশোধনে উদ্যোগী হওয়া।
৩. শারীরিক ভঙ্গি
মানুষের শারীরিক ভঙ্গি, চোখের চাহনি এবং কথা বলার ধরন ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক ভঙ্গি এবং ভাষা চারপাশের মানুষের কাছে আমাদের আত্মবিশ্বাসেরই প্রকাশ করে না, সেইসঙ্গে এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসকেও উন্নত করে।
৪. পোশাক
সবসময় গোছানো এবং পছন্দের পোশাক পরুন। পোশাকটি হতে পারে আপনার প্রিয় রঙের, আরামদায়ক, স্বাচ্ছন্দ্যের অথবা প্রিয় কোনো স্মৃতির। এমন পোশাকও আপনাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। অগোছালো বা কুচকানো পোশাক আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
৫. সুস্থ থাকুন, ব্যায়াম করুন
শরীর সুস্থ থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে বহুগুণ। আপনি যদি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন; সেক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন ও সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন।
৬. কথা বলার ধরন
নিজেকে কখনোই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। অন্যদের সাথে ইতস্তত বা মাথানত করে কথা বলার ধরন আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে দেন। এটি অন্যদের সামনে আপনাকে দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে। কখনো ভুল না হলে ভুল স্বীকার করবেন না। তবে ভুল করলে তা অবশ্যই স্বীকার করার মানসিকতা রাখুন। বিনয়ী হোন, দুর্বল নয়।
No comments