ভোটার টানার চেষ্টায় আওয়ামী লীগ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ভোটারদের রোববার কেন্দ্রে নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য ভোটার উপস্থিতির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগও। তাই শেষ সময়েও ভোটার কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দলটি। ভোটকেন্দ্রে ৪৫-৫০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে নানা কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাঁদের কেন্দ্রে আনার কাজটা আমাদের নেতা-কর্মীরা করবে। এ জন্য টিম করা হয়েছে। বেশির ভাগ ভোটার স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবেন। কেউ ভোট দিতে আসতে একটু দেরি করতে পারেন, তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের টিম কাজ করবে।’
দলটির কয়েকজন নেতা বলেন, লড়াইয়ে দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নির্বাচন যেমন জমেছে, তেমনি কেন্দ্রে ভোটারও আসবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের দলের কেউ কেউ বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করছেন। স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার হওয়ার সম্ভাবনা বা আভাস আমরা দেখতে পাচ্ছি। এতে এক অর্থে আমরা সফল হয়েছি বলেও বলা যেতে পারে।’
ভোট বর্জনের আহ্বানে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এতে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার ভাবছে, ৭ জানুয়ারি তাদের জয়লাভের দিন। আমি বলব, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয়ের দিন।’
No comments