মহানবী (সা.)-এর পরিবারের নারী সদস্যদের বিশেষ মর্যাদা
মহানবী (সা.)-এর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন তাঁর জীবনচরিতের সর্বোত্তম ভাষ্যকার। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনযাত্রায় তাঁরাই ছিলেন তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযাত্রী, তাঁর সুখ-দুঃখের সবচেয়ে বড় অংশীদার, বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে নবী পরিবারের নারীদের অবদান অবিস্মরণীয়। কেননা তাঁদের মাধ্যমেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে ইসলামের প্রায়োগিক রূপরেখা উম্মাহর সামনে প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামের অন্য বিষয়গুলোও তাঁদের বক্তব্যের সংযোগে পূর্ণতা লাভ করেছে।
নবী পরিবারের বিশেষ মর্যাদা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের মর্যাদা কোরআনের একাধিক আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৩)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করছ? হে পরিবারবর্গ! তোমাদের প্রতি আছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ। তিনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
নবী পরিবারে নারীর মর্যাদা
পরিবারে নারীদের প্রতি নবীজি (সা.) অত্যন্ত স্নেহশীল এবং তাঁদের অধিকার রক্ষায় সচেতন ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, পার্থিব বস্তুর মধ্যে স্ত্রী ও সুগন্ধি আমার কাছে পছন্দনীয় করা হয়েছে এবং নামাজে রাখা হয়েছে আমার চোখের প্রশান্তি। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৯৩৯)
কন্যা ফাতিমা (রা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে নবীজি (সা.) বলেন, প্রকৃতপক্ষে ফাতিমা আমারই অংশ, যা তাকে কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়, যা তাকে ক্লান্ত করে তা আমাকেও ক্লান্ত করে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৬৯)
যাঁরা যেভাবে অবদান রেখেছেন
সার্বিক বিবেচনায় নবী পরিবারের নারীদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
তা হলো— ১. যাঁরা নবীজি (সা.)-এর জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন, ২. যাঁরা নবীজি (সা.)-এর পরও জীবিত ছিলেন। প্রথম শ্রেণি মহানবী (সা.)-এর সেবা, ইসলামের জন্য কষ্ট স্বীকার ও আত্মত্যাগ বেশি করেছিলেন। আর দ্বিতীয় শ্রেণি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রাপ্ত ইসলামের শিক্ষা ও নবীজি (সা.)-এর বাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন।
No comments