Adsterra

অতিধনীরা কেন ম্যাড়ম্যাড়ে পোশাক পরেন ?


অতিধনীরা কেন ম্যাড়ম্যাড়ে পোশাক পরেন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, ধনকুবেরদের পোশাকে কখনোই আতিশয্য দেখা যায় না, Today Trending News, Today Viral News

ইন্টারনেটে মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে ট্রল করা হয়। এই বিলিয়নিয়ার যেন একটাই ধূসর টিশার্ট পরে কাটিয়ে দিচ্ছেন যুগের পর যুগ। কোনো প্রেজেন্টেশন হোক বা মিটিং—বাহারি পোশাকে তাঁকে দেখতে পাওয়া দুষ্কর। 


আরেক বিলিয়নিয়ার বিল গেটসকেও আটপৌরে পোশাকেই দেখা যায় সব সময়। হয়তো কখনো কোনো অনুষ্ঠানের জন্য চাপিয়ে নেন একটা কোট। তাও হয় চোরা রঙেরই। 


বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ উদাহরণ মাত্র। বিশ্বের যত ধনীই আছে বেশির ভাগের মধ্যেই এমন প্রবণতা দেখা গেছে। ধনকুবেরদের পোশাকে কখনোই আতিশয্য দেখা যায় না। যত বেশি বনেদি ঘরের মানুষ তার পোশাক যেন তত বেশি চাপা। নেই কোনো চাকচিক্য, নেই কোনো রঙের বাড়াবাড়ি, নেই প্রদর্শনের ইচ্ছা। 


পোশাক ধনী লোকদের কখনোই সাধারণের ভিড় থেকে আলাদা করে ফেলে না। যাকে দেখে মনে হয়, এ কখনোই অতিধনী হতে পারে না, দেখা যাবে তিনি তত বড় ধনকুবের! 


এমনটি কেন হয়? মানুষ তো ভোগের জন্যই উপার্জন করে, প্রদর্শনের নেশাও তাকে আরও উপার্জনের জন্য সর্বক্ষণ তাড়িত করে। আলিশান বাড়ি, গ্যারেজ ভর্তি দামি গাড়ি, ব্যক্তিগত জেট, ইয়ট কত কিছুতেই না তাঁরা টাকা ঢালেন। কিন্তু পোশাকে এই আপাত গরিবি কেন? 


বিশেষজ্ঞরা বলেন, কারও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যখন শত শত কোটি ডলার জমা হয় তখন তাঁর আর কাউকে মুগ্ধ করার প্রয়োজন পড়ে না। 

শাহরিয়ার সোহাগ এর  নতুন উপন্যাস "মানুষ" - ভিন্ন চোখে মানুষের গল্প

মার্কিন টিভি শো ‘সাকসেশন’—যুক্তরাষ্ট্রের অতি ধনী পরিবারদের পোশাক–রুচি কেমন হয় তা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছে। এ সিরিজটি নির্মাণের সময় ধনীদের ছোট ছোট আপাত নগণ্য বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য একজন পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 


সিরিজের প্রধান চরিত্র শিভ রয়, দামি যে কোনো ব্র্যান্ডের গাউন পরার মতো সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও একটা সাদামাটা পোলো গলার কালো টপ আর বাদামি ট্রাউজার বা হলদে বাদামি রঙের শার্টই পরেন। তবে তা অবশ্যই উৎকৃষ্ট মানের সিল্কের তৈরি। 


শুধু এ টিভি শো–ই নয়, খেয়াল করলে দেখা যাবে, সিনেমায় ধনী বা অভিজাত বোঝাতে সব সময় উজ্জ্বল রংগুলো এড়ানো হয়। এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় চাপা, অনুজ্জ্বল রংগুলো। আভরণ যেন কখনোই ব্যক্তিকে ছাপিয়ে না ওঠে সে ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা হয়। পোশাকগুলো তৈরিও হয় বেশ সাদামাটা ভাবে। বাহারি কাট ছাঁট এড়িয়ে ব্যক্তিত্বের প্রকাশে সহায়ক ডিজাইনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। 


পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য ফ্যাশন বেশ শক্তিশালী একটা মাধ্যম। এতে ব্যক্তি কোন ধরনের সামাজিক শ্রেণি থেকে এসেছে তা প্রকাশ পায়। পোশাক এবং অনুষঙ্গের মাধ্যমেই ব্যক্তি নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারে। তাই ধনীরা পোশাক ও অনুষঙ্গ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এর মান, সৌন্দর্য ও দুষ্প্রাপ্যতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। সাধারণ মানুষের কাছে ওই পোশাক নিতান্তই সাধারণ, সাদামাটা, আকর্ষণহীন–ম্যাড়ম্যাড়ে মনে হলেও, একই শ্রেণির লোকেরা ঠিকই সে পোশাকের মূল্য বোঝেন। 


পোশাক নিয়ে ধনীদের মধ্যে একটি আধা–গুপ্ত কোড আছে, এই কোড শুধু তাঁরাই বোঝেন! 


ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস রাজা হওয়ার আগে পর্যন্ত পোশাক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ট্রলের শিকার হয়েছেন। তিনি যেন আজীবন এক কাপড়েই কাটিয়ে দিলেন! 


প্রকৃত ঘটনা হলো, ধনীরা ঘন ঘন পোশাক না কিনে পোশাকের মানের ওপর জোর দেন বেশি। সে দিক বিবেচনা করলে চার্লসকে বলা যেতে পারে ফ্যাশন আইকন!

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.