Adsterra

আত্রলিতা || সাদিয়া শাহরিণ শিফা || পর্ব : ১২

আত্রলিতা, সাদিয়া শাহরিণ শিফা, পর্ব ১২, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice,  প্রেমের উপন্যাস, romantic bangla story, bangla story for love, short bangla story


উপন্যাস : আত্রলিতা
লেখিকা : সাদিয়া শাহরিণ শিফা
পর্ব : ১২



খুব সকাল সকাল ঘুম ভাঙল আহিলের। মেসের বুয়া আজ তাড়াতাড়ি এসে অনর্থক শব্দ করছে। বিরক্তি নিয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থেকে শেষমেশ উঠেই বসলো আহিল। খামোখা ঘুম থেকে উঠেই এখন তার চিল্লাচিল্লি করতে ইচ্ছা করছে না। গতকাল একটা জব ইন্টারভিউ ছিল। ভাইভা বেশ ভালো হয়েছে। মনেহয় এই জবটা হয়েই যাবে। সেই থেকেই মেজাজ বেশ ফুরফুরে। আরো বেশি তার মনটা হালকা লাগে কারন গত পরশুই সে আত্রলিতাকে বন্ধু হবার জন্য বলে এসেছে। মেয়েটার চোখদুটো দেখলেই কেমন মনে হয় পাহাড়সমান দুঃখ নিয়ে সে একদম একা! আর এই বাস্তবতার পেছনের কারণ টাও আহিল বুঝতে পারে।


বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্রাশ করতে করতে আরেকটা সমীকরণ মেলাতে চেষ্টা করে। এতদিন তার দেয়া‌ শখানেক জব ইন্টারভিউগুলোর একটাও তেমন ভালো হয়নি, ভাইভার মধ্যে কথা আটকে গিয়েছে, নাহয় কোনো প্রশ্নে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছে, কখনও চুপ থেকেছে আবার কখনও ভুলভালও বলেছে। এমন কিছু না কিছু সব ভাইভাতেই ঘটছিল। বাসায় ফিরে উত্তরগুলো মাথার মধ্যে তর্জমা করতে করতে নিজের উপর নিজেরই রাগ হতো। এমন হলে কোন ব্যাটা তাকে বাড়ি বয়ে চাকরি দিয়ে যাবে!

কিন্তু আত্রলিতার সাথে কথা বলার পর যেন তার সাথে সবকিছু ভালোই হচ্ছে। গতকালকের ভাইভাটার কথাই ধরা যাক! ইন্টারভিউ টেবিলের মাঝখানে বসা মোটাসোটা ভদ্রলোক হুট করে জিজ্ঞাসা করলো,“আপনি কি বিসিএসের কথা ভেবেছিলেন?”

আহিলও বিনয়ী কণ্ঠে উত্তর দিল,“ জ্বি স্যার”

-“তবে এখানে এলেন কেন? এই বেসরকারি কোম্পানীতে?”

ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মতন প্রশ্ন। কিন্তু আহিল বললো,

“স্যার সবাই সরকারী চাকরী করলে বেসরকারি চাকরির জন্য লোক থাকবে? এই চাকরি আমার হলে আমি সরকারি চাকরির চাইতে কিছু কম খুশি হবো না।”

উত্তর দিয়ে নিজেই চমকে গেল আহিল, নিজের প্রতি ইম্প্রেশড হয়ে গেল, দারুণ!

কি ম্যাজিক হলো আহিল জানে না, তবে সবকিছু অসাধারণ, ভালো হচ্ছে। সবকিছু কি আত্রলিতার জন্য হচ্ছে? মেয়েটা কি মন‌ পড়ার সাথে সাথে জাদুটাদুও জানে নাকি!

নিজের মনেই মুচকি হেসে ফেললো আহিল। আত্রলিতার কথা সে এত কেন ভাবছে‌ কে জানে? তবে মনে মনে এর একটা ব্যাখ্যা সে দাঁড় করিয়েছে। তা হলো, মেয়েটি দেখতে পরীর মতন। চলাফেরা কথাবার্তা সবকিছু মুগ্ধ হবার মতন। অন্য কেউ হলে আহিল এতটা মাথা ঘামাতো না, এমনকি  ওর স্বভাবের মধ্যে কোনো মেয়ের সাথে যেচে‌ কথা বলাই নেই, এসব ভাবা তো দূরের কথা। তবে পরীদের‌ তুলনা মানুষের সাথে করলে হয় না। সমাজে আমাদের সাথে পরীরা বসবাস করলে নিশ্চয়ই তাদের জন্য আলাদা সুযোগ সুবিধা থাকতো!

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই  "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই  "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।

নাস্তা করতে বসেই ছটফট করতে লাগলো আহিল। আজ তার টিউশনির ডেট।  ঘড়িতে সময় সকাল ‌দশটা। হিসেব করলে সন্ধ্যা এখনও অনেক দেরি। তবুও ঠিকমত খাওয়াও হলো না আহিলের। 

বারোটা নাগাদ আহিলের বাবার ফোন এলো। সে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। ডাক্তার দেখাতে এসেছে। আহিল যেন তাকে আনতে সেখানে যায়। আহিল বুঝতে পারলো আজ তার টিউশনে যাওয়া হবে না। তবে সবকিছু বাদ দিয়ে হলেও আহিল বাবাকে ডাক্তার দেখানোটা জরুরী মনে করে। কারণ সে তার বাবাকে খুব ভালোবাসে, আর এই ভালোবাসাই কখনও তাকে তার বড় ভাইয়ের মতন দায়িত্ব জ্ঞানহীন হতে দেয়নি।

আহিল চট করে রেডি হয়ে গেল। সিএনজি নিয়ে গাবতলী রওনা হলো। আর ফোনে যোগাযোগ করে একজন খুব নাম করা মেডিসিন ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে ফেললো। 


চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.