অলিক সুখের ব্যঞ্জনা
অলিক সুখের ব্যঞ্জনা
- আহসান হাবীব রকি
যেদিন আমার অনেক টাকা হবে
এই সমাজ যেদিন বলবে-
আমি নিজের পায়ে দাড়িয়েছি ; আমার বিয়ের বয়স হয়েছে...
যেদিন মেয়ে পক্ষের কাছে আমি বর হিসেবে গণ্য হবো
সেদিন সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
পেশাদার এক বেশ্যাকে কোনো অবান্তরীন প্রশ্ন ছাড়াই
বিয়ে করে ফেলবো
জানি, সে অন্ততো মিথ্যে কুমারিত্বের বড়াই আমাকে দেখাবে না।
তথাকথিত গড় আয়ুর সীমারেখায়
জীবনের এই অর্ধেকটা সময় পার করে
এটুকু অন্ততো বুঝেছি...
পেশাদার বেশ্যারা অন্ততো ফ্যান্টাসি পূরণ করা আর পাঁচটা ছলনাময়ীর মত স্বেচ্ছায় দেহ বেঁচে দেয় না ।
এটুকু আমার দীর্ঘ বিশ্বাস,
পেটের দায়ে আর অসহাত্বের কাছে না হারা অবধি
কোনো "নারী" স্বেচ্ছায় তাঁর সতীত্ব বেঁচে দেবে না।
কিন্তু যারা যৌবনের ঢেউয়ে নাগর ভাসিয়ে
মনের নামে শরীর ঘঁষে খায়-
নিত্য-নতুন উচ্চাবিলাশিতায় ভালোবাসার ছলনায় বহুপুরুষের মন যোগায়...
তাঁদের আর যাই হোক ;
মা-বোন, প্রেমিকা অথবা স্ত্রী বলতে আমার ভীষণ ঘেন্না হয়।
দুনিয়াদারির এই যামানায় দ্বীনদারির এই ঝাপসা মুখশে
যেসব পুরুষের মন পুড়েছে তাঁদের কাছে বলতে চাই...
মিথ্যে কারো জন্য নিকোটিনে বুক পুড়িয়ে আর কি হবে!
ছলনাময়ীরা কখনো অনুতপ্ততার অনলে পুড়তে শেখে নি,
সে আর কি বুঝবে কারো মন পুড়লে কতটা দুঃখ হয়..
হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণে ক'ফোটা চোখের জল গড়ায় ;
তারপরো কেন সেই মরীচিকার পিছেই ছুটতে হবে?
কেন তার পিছেই ভাসাতে হবে জীবনের সব সৌন্দর্যের মহিমা?
"ও মন" এবার তবে তুমি চুপটি মেরে থেকে যাও
পাপ তো কখনো তার বাপকেও ছাড় দেয় না ;
কাউকে ঠকিয়ে কেউ খুব ভালো থাকে, এমণটাও কখনো হয় না ।
No comments