অবাধ্য শিশুকে বাগে আনবেন কীভাবে
সন্তান কেন কথা শোনে না, সেটা আমাদের বুঝার চেষ্টা করতে হবে। আপনার সন্তানকে অন্য মানুষের আবেগ এবং অনুভবের সম্মান করতে শেখান। সন্তান অবাধ্য— এই অভিযোগ নেই এমন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। এই অবাধ্য বাচ্চাদের দৌরাত্ম্যি নিয়ে কম অভিযোগ শুনতে হয় না। স্কুল-প্রাইভেট টিউশন, আঁকার ক্লাস-সব জায়গায় ওই এক রিপোর্ট।
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন কথা শোনে না বাচ্চারা? এই স্বভাব কি কেবলই তাদের দোষেই হয়, নাকি কোথাও কোনও ফাঁক রয়ে যাচ্ছে আপনাদের দিক থেকেও। সন্তান কেন কথা শোনে না, সেটা আমাদের বুঝার চেষ্টা করতে হবে। সমস্যাটা কোথায় সেটা অনুসন্ধানে মনযোগ দিতে হবে, তবেই এর সহজ সমাধান প্রত্যাশা করা সম্ভব।
তবে কিছু সহজ উপায় রয়েছে যাতে করে দুষ্টু শিশুকে বাগে আনতে পারেন। এখানে এমন কিছু পদ্ধতির কথা বলা হল, যা বাবা-মাকে দুষ্টু বাচ্চাদের সামলাতে সাহায্য করবে।
সীমাবদ্ধতা তৈরি করুন
আপনার সন্তান যা বলবে তাই গ্রহণ করবেন না। কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি করা জরুরি। সে কী চায় বা কী না চায় তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আপনি ছেড়ে দেবেন না। নির্দেশের ভঙ্গিতে কথা বললে তা শিশুর পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বরং তাকে খেলার ছলে নির্দেশ দিন। বেশির ভাগ শিশুই বুঝতে পারে না ঠিক কী করলে সে বকুনি খাবে না, এই টেনশন থেকেই সে কথা শোনার প্রবৃত্তি হারায়।
সহানুভূতি ও সম্মান শেখান
আপনার সন্তানকে অন্য মানুষের আবেগ এবং অনুভবের সম্মান করতে শেখান। অন্য কারও উপর তার আচরণের প্রভাব কি হতে পারে তা বুঝিয়ে বলুন। অন্যের প্রতি সহানুভূতি মানুষকে আরও সামাজিকভাবে পারদর্শী এবং সচেতন হতে সাহায্য করে।
সারাক্ষণ সমালোচনা নয়
সন্তানের সমালোচনাই করে যান? অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে সর্বদা অপমান করেন। এমন করলে কিন্তু সন্তান বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হারাতে পারে। আপনার যদি এমন স্বভাব থাকে তাহলে আগেই তা বদলে ফেলুন। এতে আরও অবাধ্য হয়ে উঠবে সে। বরং তার সামনে সব সময় তার ভালো কাজের প্রশংসা করুন।
কড়া শাসন নয়
সামান্য অবাধ্য হলেই কি তাকে কড়া শাসন করেন, এমন হলে কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। সন্তানের ভালোর জন্য যে কাজটা করছেন, তা যেন তার মনে উল্টো প্রভাব ফেলে দেয়। তার চেয়ে ছোটখাটো ভুল করলে একটু বন্ধুর মতো বোঝান, দেখবেন, ফল মিলবে হাতেনাতে।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
সন্তান কোন সমস্যায় পড়লে আগেভাগেই আপনি সমাধান করবেন না। সেই সমস্যার সমাধান সে করতে পারে কিনা তাকে চেষ্টা করতে দিন। তাকে সমস্যা সমাধানের কৌশল বা গঠনমূলক পদ্ধতি দিয়ে সাহায্য করুন। তাদের বুঝতে সাহায্য করুন যে চেষ্টার অভাব বা হতাশা অবাধ্য আচরণের মূল কারণ হতে পারে।
আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখান
আপনার সন্তানকে কীভাবে তাদের আবেগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং স্ব-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় তা শিখতে সাহায্য করুন। বাচ্চাদের বিরক্তি এবং রাগ মোকাবেলা করার পদ্ধতি শেখান। যেমন গভীর শ্বাস নেওয়া, ১০ পর্যন্ত গণনা করা ইত্যাদি। রাগের মাথায় করা কাজ ভুল হতে পারে সেটা সন্তানকে বুঝানো উচিত।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments