শিশুকে মোবাইল-কম্পিউটার থেকে দূরে রাখার ৫ কৌশল
প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে আমরা তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। বড়রা তবু জেনে বুঝে বা কাজের সূত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু শিশুরা অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন সময়, যা তাদের মানসিক ও স্বভাবগত পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুর মনের সুষ্ঠ মানসিক বিকাশের জন্য এটি শুরুতেই বন্ধ করা দরকার। তবে অনেক সময় বকাঝকা করলে উল্টো ফল হয়। তাই কিছু কৌশল রয়েছে, যা মেনে চললে আপনি শিশুদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে অনেকাংশে দূরে রাখতে পারবেন।
শিশুকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখুন
আপনি তাদের শারীরিক কাজ, ছবি আঁকা, খেলায় ব্যস্ত রাখুন। এজন্য বাজার থেকে এমন খেলনা আনতে পারেন যাতে শরীরে পরিশ্রম হয়। শিশুর পছন্দ বুঝে খেলার সামগ্রী আনুন। সাইকেল এনে দিন। ক্যারাম আনুন, দাবা খেলা শেখান, লুডো খেলতে পারেন। এ ধরনের সৃজনশীল কাজ করার প্রতি শিশুর আগ্রহও বাড়তে থাকবে এবং সে এসব কাজে বেশি সময় ব্যয় করবে।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক নতুন বই "মানসিক স্বাস্থ্য"। অর্ডার করতে 01745676929 নাম্বারে আপনার নাম, ঠিকানা, কনটাক্ট নাম্বার লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠান।পার্কে নিয়ে যান
ছুটির দিন তাকে খেলতে নিয়ে যান। পার্কে নিয়ে যান। শিশুরা যত খেলাধুলা বা অন্য শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবে, তত তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। আর বাড়িতে বসিয়ে রাখলে হয় ফোন, না হয় ভিডিও গেম, কম্পিউটার, টিভিতে থাকবে। সন্তানের সঙ্গে নিজেও সময় কাটান। ব্যাডমিন্টন খেলুন বা অন্য খেলাধুলা করুন। আপনার যাওয়ার সময় না থাকলে, আপনার সন্তানকে অন্য শিশুদের সঙ্গে পার্কে পাঠান।
কথা বলার সময় গুরুত্ব দিন
সন্তানের কাছ থেকে ফোন নেওয়া বা টিভির সুইচ বন্ধ করার ক্ষেত্রে নরম হন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে তাকে আদর করুন। ভালোভাবে ডেকে স্কুল বা অন্য কোনও শিশুর ভালোলাগার বিষয় নিয়ে কথা বলে ভুলিয়ে দিন। শিশুকে ভালোবেসে বোঝান এবং তার ক্ষতির কথাও তাকে জানান।
নিয়ম তৈরি করুন
শিশুদের হাতে গ্যাজেট বা স্মার্ট টিভি সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় মধ্যম পথ বের করা প্রয়োজন। আপনার সন্তানকে গ্যাজেট দেওয়ার বা স্মার্ট টিভি দেখার নিয়ম তৈরি করুন। এজন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাকে বলুন কোন সময় থেকে এবং কতক্ষণ এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
নিজেরা মোবাইল-টিভি কম দেখুন
শিশুদের সামনে নিজেরা উদাহরণ সৃষ্টি করুন। নিজেরা মোবাইল-টিভি কম ব্যবহার করুন। নিজেরা যা করবেন, শিশুরা তা অনুকরণ করবে। নিজেরা বই পড়ুন, খেলা নিয়ে আলোচনা করুন।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments