সাকিবরা চাইলেই যে চুক্তি করতে পারবেন না
মেয়াদপূর্ণ হওয়ার ১০ মাস আগে বিসিবির সঙ্গে সর্বশেষ চুক্তি শেষ করেছিল রবি। সেটি ছিল ২০১৮ সালের আগস্টের ঘটনা। যে ইস্যুতে সেবার বিসিবির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি, এবার নতুন চুক্তিতে সেই সমস্যাগুলো আগেই পরিষ্কার করেছে উভয় পক্ষ।
নতুন চুক্তির শর্ত, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোনো খেলোয়াড় নতুন করে অন্য কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী কাজে জড়াতে পারবেন না। যাঁরা ইতিমধ্যে অন্য টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আছেন, তাঁদের মেয়াদপূর্ণ হলে চুক্তি নবায়ন করতে পারবেন না। আগের ধাপে এই আপত্তি জানিয়ে মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে সরে গিয়েছিল রবি।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা কেউ স্পনসরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হতে পারবেন না। ইতিমধ্যে অন্য মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যে চুক্তিগুলো আছে, সেগুলোর মেয়াদ তারা পুরো করতে পারবেন।’
গত পরশু আজকের পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সাড়ে ৩ বছরের জন্য জাতীয় দলের স্পনসর হিসেবে বিসিবির সঙ্গে গতকাল মিরপুরে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রবি। স্পনসর স্বত্বও ৫০ কোটি টাকা। এই সময়ে ১২টি হোম, ১১টি অ্যাওয়ে সিরিজ,৩টি আইসিসি এবং ২টি এসিসি টুর্নামেন্ট রয়েছে।
২০১৭ সালে রবির সঙ্গে বিসিবির সর্বশেষ চুক্তি ৬০ কোটি পেরিয়েছিল। প্রথাগতভাবে এখন সেটি আরও বাড়ার কথা ছিল। বরং আরও কমল। সবশেষ দারাজের সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি ছিল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ টিটু অবশ্য কম বলতে নারাজ, ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় টাকার অঙ্ক কমেছে বলা যাবে না। সর্বশেষ ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল দারাজ, তাদের সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তির অঙ্ক ছিল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এবার রবির সঙ্গে সাড়ে তিন বছরে ৫০ কোটি টাকা। দারাজের তুলনায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেড়েছে।’
No comments