সাহাপুর জমিদার/রাজবাড়ি/চৌধুরী বাড়ি
সাহাপুর জমিদার/রাজবাড়ি/চৌধুরী বাড়ি। সাহাপুর,শাহরাস্তি,চাঁদপুর।
মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত বাড়িতে তাতে আবার সুলতানি স্থাপত্যেরও একটা ছোয়া আছে।
বাড়িটিতে এখন তেমন কিছু টিকে নাই দুটো দরজা একটি দ্বিতল ভবন এবং একটি মন্দির টিকে আছে।
ইতিহাস বলছে, আনুমানিক পনের শতকের সময় এ রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা শিবানন্দ খাঁ। ৷ তবে, এর স্বপক্ষে কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। এ সাহাপুর রাজবাড়িটি ছিল প্রাচীন মেহের পরগণার রাজধানী। স্থানীয়ভাবে এ রাজবাড়িটি অনেকের কাছে সাহাপুর চৌধুরী বাড়ি নামেও পরিচিত।মেহের পরগনার ইতিহাস ঐতিহাসিক ভাবে অনেক বিস্তৃত, বাড়িটি চারদিকে বিশাল সীমানা প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলো এখন সেই মোটা পুরু দেয়াল চোখে পরে।
গাছ পালায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে পুরো বাড়িটা,দ্বিতল ভবনটার ভিতরে প্রবেশ করা যায় না এখন আর।প্রায় ছয়শ’ বছর পূর্বে এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শিবানন্দ খাঁ নিজমেহের হতে সাহাপুর গ্রামে আসেন এবং এ রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন।
রাজবাড়ির দেয়ালের নকশাগুলো এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। চমৎকার নির্মাণশৈলীর জঙ্গলে ঘেরা এ রাজবাড়িটির অভ্যন্তরে সুড়ঙ্গপথ, বিশ্রামকক্ষ, এবং পানশালা রয়েছে। কথিত আছে রাজার বিরোধিতাকারীদের এ সুড়ঙ্গ পথে ফেলে দেওয়া হতে। যেখান থেকে কোনোদিন কেউ ফিরে আসেনি আর। বর্তমানে এ স্থাপত্যটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।
এবার বাড়িটি দেখে মন্দিরের কাছে আসলাম নানাবিধ কারুকার্যে মন্দিরটি আচ্ছাদিত। এই মন্দিরের পাশেই রয়েছে মূল সিংহদুয়ার। বাড়িতে প্রবেশের এই দেয়ালটি সুলতানি এবং মোগল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত।এখনো মূল দরজাটি অবিকল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments