ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে ‘কাজলরেখা’
‘মনপুরা’ মুক্তির পরে ২০০৯ সাল থেকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা শেষে ২০২২ সালে এসে ছবিটির শুটিংয়ে নামেন। আসন্ন ঈদে ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
শনিবার (০৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘কাজলরেখা’র শিল্পী কলাকুশলীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্মাতা। সেখানে জানানো হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এর শিল্পী শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের, সাদিয়া আয়মান, আবুল কামাল আজাদ প্রমুখ। ছবিতেও আরও অভিনয় করেছেন মিথিলা, খায়রুল বাশার, শাহানা সুমি, সুজয়।
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহের গীতিকার একমাত্র রূপকথা অবলম্বনে ‘কাজল রেখা’ তৈরি করেছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। এর আগে চারটি ছবি মুক্তি পেলেও নির্মাতা জানান, তার পঞ্চম ছবি ‘কাজলরেখা’ হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি।
ষোল শতকের গল্পে কাজল রেখা নির্মাণ করা থেকে শিল্পী নির্বাচন ও কারিগরি দিকসহ প্রতিটি সেক্টরকে সঠিকভাবে সমন্বয় করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মনে করেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। বলেন, প্রতিটি সেক্টরকে এক সুতোয় একটি মালা হিসেবে গাথতে হয়েছে। ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
সেলিম বলেন, তৎকালীন আপামর মানুষের যে বিনোদন ছিল সেটি এখনো প্রাসঙ্গিক। এ কারণে আমি মনে করি ছবিটি দর্শক দেখবে। ঈদে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাবে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকাটা ইতিবাচক দিক। আর যে ছবির দম থাকবে সেই ছবি মানুষ দেখবে।
“বড় আয়োজন এর কাজলরেখা মুক্তির উপযুক্ত সময় হচ্ছে উৎসব। ঈদ ও বৈশাখ একসাথে আমরা পাচ্ছি। এ কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে এই সময় ছবিটি মুক্তি দেয়া উচিত। সিনেমা নির্মাণ থেকে মুক্তি দেয়া সবকিছুই আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ। তাই আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, দেখা যাক ফলাফল কি আসে।”
২০ এর অধিক গান নিয়ে নির্মিত এ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান প্রত্যেকেই দর্শকদের ঈদে ভিন্ন ধাঁচের ‘কাজলরেখা’ দেখার আমন্ত্রণ জানান। দুই বছর ধরে ৫০ দিনে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে ‘কাজলরেখা’র শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
No comments