সন্তানকে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দেবেন যেভাবে
অল্প বয়স থেকেই শিশুদের মাঝে রোজা রাখার চেষ্টা করানো উচিত। রোজা রাখার জন্য শিশুকে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দিন এতে শিশু উৎসাহিত হবে।
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। বছর ঘুরে রমজান মাস এলে মা-বাবা, পরিবারের অন্যদের দেখে শিশুরাও রোজা রাখতে আগ্রহী হয়ে উঠে। আর রমজান আসলে বড়দের তুলনায় শিশুদের মাঝে দেখা যায় অন্যরকম এক উৎসাহ এবং উদ্দীপনা।
বড়দের সাথে শিশুরাও ইফতার সাজানো ও একসঙ্গে ইফতার খেতে পছন্দ করে। তাই অল্প বয়স থেকেই শিশুদের মাঝে রোজা রাখার চেষ্টা করার মাধ্যমে অভ্যাস গঠন করা উচিত। এতে করে প্রাপ্ত বয়স হলে সন্তানকে রোজা রাখাতে যেন কষ্ট না হয়।
চলুন জেনে নেই কিভাবে শিশুদের রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দেওয়া উচিত…
১. শিশুদের কাছে রোজার ফজিলত সম্পর্কিত হাদিসগুলো তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে সিয়াম পালন জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। জান্নাতের একটি দরজার নাম হচ্ছে আর-রাইয়্যান। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররা প্রবেশ করবে।
২. ছোট থেকে প্রথমদিকে দিনের কিছু অংশে রোজা পালন করানো। অর্থাৎ রোজার শুরুতে দিনের কিছু অংশ রোযা রেখে পরে ক্রমান্বয়ে সেই সময়কে বাড়িয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে অভ্যাস গঠন করুন।
৩. রোজা রাখার জন্য শিশুকে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দিন এতে শিশু রোযা পালনে উৎসাহিত হবে।
৪. রোজার রাখার জন্য পরিবারের সব সদস্যের সামনে শিশুর প্রশংসা করুন। এতে করে শিশু আরো উৎসাহিত হবে।
৫. সেহরি ও ইফতারে শিশুর পছন্দের খাবার রাখুন যাতে করে শিশু রোজা রাখতে উৎসাহবোধ করে। তবে খেয়াল রাখবেন রোজাদার শিশুর ইফতার বা সেহরি যেন অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
৬. রোজা রাখার জন্যই কখনই শিশুকে চাপ দেবেন না। এতে করে পরবর্তীতে রোজা রাখতে অনীহা তৈরি হবে শিশুর মাঝে।
চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com
No comments